শসা খাওয়ার উপকারিতা - শসা খাওয়ার সঠিক সময়
ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না তালিকা জেনে নিনসম্মানিত পাঠক আজকে আমরা জানবো আমাদের খুবই পরিচিত এবং সবসময় সকলের হাতের
নাগালে থাকে। সেটা হচ্ছে শসা অনেক গুণ রয়েছে এই শসাতে কেননা শসা ওজন কমাতে ও
বিভিন্ন রোগ প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
পোস্ট সূচীপত্রঃশসা অনেক গুণ কিন্তু এই শসা যদি আমরা সঠিক নিয়ম এবং সঠিক সময় না খায় তাহলে
আমাদের ক্ষতি হতে পারে। তাহলে শসা সম্পর্কে অবশ্যই ভালোভাবে জেনে এবং খাবার সঠিক
পদ্ধতি জেনে খাওয়া উচিত।তাহলে আমরা থেকে অনেক গুনাগুন পেতে পারি তাহলে চলুন জেনে
নেই শসা উপকারিতা সম্পর্কে।
ভূমিকাঃশসা খাওয়ার উপকারিতা
শসা এমন একটি খাদ্য যা আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় একটি অতি পরিচিত নাম।
আমাদের প্রতিদিনের খাবারে যেসব উপাদান থাকে তার মধ্যে সালাদ প্রায় প্রত্যেক
সন্ধ্যার খাবারে থাকে আর এই সালাদের মূল উপকরণ হিসেবে। আমরা প্রায় শসা ব্যবহার
করে থাকি যে সমস্ত হাইডেটিং সবজি রয়েছে
তার মধ্যে শসা প্রধান এবং অন্যতম শসাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। যা
স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করে আর শরীর থেকে বিষাক্ত ও বর্জ্য
পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।তাই আপনি খাবার তালিকায় শশাকে প্রত্যহিক উপাদান
হিসেবে রাখতে পারেন।
এছাড়া শসাতে আরো অনেক গুনাগুন রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা অনেক রোগব্যাধি থেকে
মুক্তি পেতে পারি এবং অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে শসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শসা খাওয়ার উপকারিতা
শসাতে রয়েছে ফ্লুইড ফাইবার পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং স্টোরেল নামের এক ধরনের
উপাদান যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় উপাদান শসার
গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের জন্য শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ রোগ
মুক্তিতে সাহায্য করে।এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে।এছাড়া শশা তে রয়েছে ভিটামিন এ বি ওসি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি এবং শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
শসা তে প্রায় 96% পর্যন্ত পানি থাকে যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ও পানির চাহিদা
পূরণে সহায়তা করে।শসা তে এক্সট্র ফ্যাট -প্রোটিন ( ২ গ্রাম), কার্বোহাইড্রেট( ২
গ্রাম ), পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন কে (৬২ % আরডিআই )রয়েছে শসার যে
গুনাগুন রয়েছে তার মধ্যে প্রধান হিসেবে।যে সমস্ত কাজগুলো করে সেগুলো হলঃ
1. হজম এবং ওজন হ্রাস এ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
2. শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে।
3. ত্বকের জন্য যে প্রয়োজনীয় খনিজ দরকার তা শসাতে রয়ে।
4. মুখ পরিষ্কার রাখতে শসার ব্যবহার অপরিহার্য।
5. চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে শসা অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
6. ডায়াবেটিস শসা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
7. শসা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের বিষাক্ততা দূর করে এবং শসার মধ্যে দিয়ে পানি থাকে
তা আমাদের দেহের বর্জ্য এবং বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে বের করে দেয়।
8. ক্যান্সার প্রতিরোধে শসাগুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
9. দেহের পানে শূন্যতা দূর করতে শসা অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
10. দেহের ভেতরের এবং বাইরের তাপ শোষক হিসেবে কাজ করে শসা।
11. চুল ও নক সতেজ রাখতে শসা অনেক ভূমিকা পালন করে।
12 বাত বা গেটে বাত দূর করতে শসা অনেক উপকারী।
13. মাথা ধরা থাকে মুক্তি পেতে অনেক সাহায্য করে।
14. জয়েন্টের ব্যথা উপশম করতে শসা অনেক কার্যকরী।
15. দাঁত এবং মাড়ির জন্য শসার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
16. শরীরের রক্ত প্রদাহ বৃদ্ধি এবং নতুন টিস্যু তৈরিতে শসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে।
17. শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা
শসার রয়েছে হাজার গুনাগুন এটা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় যার মাধ্যমে
শরীরেরডিহাইড্রেশন ও পানির ঘাটতি পূরণ করে শসা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় সালাত
সবজি তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়।এছাড়া শসা স্লাইস করেও খাওয়া যায় তবে রাতের
বেলা শসা খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে।যেগুলো রাতের বেলায় নিয়ম মেনে না খেলে তার
শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে তাই রাতের বেলা শসা খাওয়া উচিত নয় বিশেষ করে রাতে
ঘুমানোর আগে শসা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
আর শসা খাবার আগে কিংবা পরে একেবারে পানি খাওয়া ঠিক নয় অনেক সময় রাতের বেলা
শসা খাওয়ার কারণে ঘুমে ব্যাঘাত করতে পারে।আবার পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে
এছাড়া শসাতে কিউকারবিটাসিন নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে যার কারণে শসা তে তো
স্বাদ পাওয়া যায় যার মাধ্যমে বদ হজম ও গ্যাসের সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে
শসার বাইরের আবরণে বেশি পরিমাণে কিউকারবিটাসিন থাকে।
তাই খাবার আগে শসা ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে ও খোসা ছাড়িয়ে তারপরে খেতে হবে
এছাড়া রাতের বেলা যদি কেউ ভারি খাবার( মাছ, মাংস, পোলাও, ফ্রাইড রাইস ও হাই
ফাইবার জাতীয় খাবার) খায় তবে তার সাথে কখনোই শসা খাওয়া উচিত নয়।যাদের পেটের
সমস্যা রয়েছে তাদের রাতে শসা খাওয়া উচিত নয় ।
এছাড়া রাতের বেলা শসা খেলে এলার্জি সমস্যা হতে পারে ,যেমন:(চুলকানি, মুখ ফুলে
যাওয়া, গলায় সংক্রমণ) ইত্যাদি হতে পারে যাদের খুব ঘনঘন প্রস্রাব হয় তাদের
রাতের বেলা শসা না খাওয়াই ভালো। কারণ রাতের বেলা শসা খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ
বেড়ে যেতে পারে।
খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা
শসার মধ্যে রয়েছে অনেক গুনাগুন যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী খালি
পেটে শসা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।তাছাড়া শসার জুস বা সালাদ খেলে শরীর ভালো
হবে হাইড্রেটেড হয় ডিটক্স করার জন্য উত্তম পানীয় এছাড়া শসা শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে খালি পেটে শসা খেলে তা ওজন কমানোর জন্য খুব দ্রুত কাজ
করে।ওজন কমানোর জন্য শসা খাওয়া যেতে পারে ।
তবে রেগুলার খালি পেটে শসা না খাওয়াই উত্তম সব থেকে ভালো হয় যদি শসা খাওয়ার
আগে এক গ্লাস বা হাফ গ্লাস পানি খেয়ে নেয়া হয় কেননা পানিতে কোন সাইড এফেক্ট
হয় না তাই পানি খাওয়ার পরে শসা খেলে সেটা শরীরের জন্য ক্ষতি হয় না।খালি পেটে
শসা খেতে হলে সেটা জুস করে খাওয়ায় ভালো তবে অন্যান্য উপাদান যেমন: টমেটো,
গাজর,মুলা সহ আরো অন্যান্য উপাদানের সাথে শশা মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন সেটা
স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে।
কেননা কেউ যদি শুধুমাত্র শসা খালি পেটে খায় তাহলে অনেক সময় লো ব্লাড প্রেসার
হতে পারে এছাড়া শসা খাওয়ার সময় এক বা দুই গ্লাস গরম পানি খায় তবে সেটা
স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।তাই শসা যেমন উপকারী তেমনি এর কিছু পরিমাণে সাইড
ইফেক্ট রয়েছে তাই খালি পেটে শসা খাওয়ার জন্য সঠিক নিয়ম মেনে খেতে হবে তাহলে
সেটা শরীরের জন্য যেমন ভালো হবে তেমনি শরীরকে ফিট রাখতে ও বাড়তি হাত কাটতে
সাহায্য করবে।
ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম
শসাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পানি রয়েছে এছাড়া শসা একটি কম ক্যালরিযুক্ত
ফলবা সবজি যাতে চর্বির পরিমাণ নেই বললেই চলে সেজন্য ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ও শরীরের
চর্বি কমানোর জন্য। কোন দ্বিধা ছাড়াই শসা খাওয়া যেতে পারে।এছাড়া যারা নিয়মিত
ডায়েট করেন তাদের খাবারের তালিকায় প্রধান হিসেবে করা যেতে পারে ওজন কমানোর জন্য
শসা আপনি টক দই এর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সবজি অসালাত জাতীয় ফলের সাথে মিশিয়ে শসা খেতে পারেন যেটা
আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী হবে এবং আপনার পেটকে অনেকক্ষণ ক্ষুধামুক্ত রাখবে
বিশেষজ্ঞদের মতে ওজন কমানোর জন্য ত্বকের জেল্লা বাড়াতে চুল ও নখ সুন্দর রাখতে
শসার কোন জুড়ি নেই। এছাড়া আপনি দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে নিয়মিত শসা খেতে
পারেন।
শসার খোসার উপকারিতা
আমরা প্রতিনিয়ত যে সমস্ত ফল বা সবজি খায় সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু আমরা খোসা সহ
খেতে পারি আপেল, পেয়ারা ও শসা এসব ফলগুলো খোসাসহ আবার খোসা পেলেও খেতে পারি কারণ
এই সমস্ত ফলগুলোতে যেমন উপকারী উপাদান রয়েছে।তেমনি এর খোসাতেও রয়েছে অনেক
পুষ্টিগুণ সম্পন্ন উপাদান তাই সোশ্যাল খচাতে যে সমস্ত উপকারী উপাদান রয়েছে।তা
সম্পর্কে নিতে আলোচনা করা হলোঃ
1.ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেঃ শসার খসাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা
ত্বকের যত্নের জন্য অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।শসার খোসার মাধ্যমে ত্বকের
ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ ড্যামেজ, বয়সের ছাপ ও স্ক্রিনে পড়া বিভিন্ন দাগ ও ক্ষত
সারাতে সাহায্য করে।
2. চোখের সমস্যা দূর করেঃ শসাতে ও শসার খোসাতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ
রয়েছে যা স্বাস্থ্য এবং দৃষ্টিশক্তি সঠিক রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে কাজ
করে।
3.মেদ ও চর্বি কমাতে সাহায্য করেঃশসার খোসাতে ক্যালরির মাত্রা কম থাকার কারণে
শরীরের অতিরিক্ত মেদ এবং চর্বি ধরাতে বিশেষভাবে সহায়ক তবে এটিতে ক্যালোরি কম
হলেও ক্ষুধার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
4.পেটের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়ঃ শসার খোসাতে যে অদ্রবনীয় আঁশ রয়েছে এবং
খোসার ভেতরের অংশে রয়েছে দ্রবণীয় আসএই দুই আশ মিলে পেটের খাবার দ্রুত হজম ও
মলকে নরম করতে সাহায্য করে ফলে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তারা এ সমস্যা সমাধান
করতে পারে তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খোসাসহ শসা খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
5.ত্বক উজ্জ্বল করতেঃ শসা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি , নায়াসিন,
রিবোফ্লাভিন,ভিটামিন সি এবং জিংক রয়েছে তা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য
করে শসা ও লেবুর রস একসাথে মিশে মুখে ভালো করে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
পায়।
6. বলি রেখা ও রোদে পোড়া দাগ দূর করেঃ মুখে বলিরেখা ও বিভিন্ন দাগ দূর করতে শসা
স্লাইস করে কেটে মুখেদিয়ে রাখলে দাগ উঠে যায় এছাড়া শসা কেটে কিউব করে আইস কিউব
বানিয়ে মুখে ঘসলে ত্বকে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়।
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
1. শসা তে ভিটামিন সি এর উপস্থিতি বেশি হওয়ায় যাদের ব্রণ ক্যান্সার ও অকাল
বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন তাদের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
2. শসা তে অধিক পরিমাণে পানি থাকায় রক্তনালী এবং হাটের উপরে চাপ সৃষ্টি করে যার
মাধ্যমে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
3. যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য শসা খুব একটা উপকারী নয় কেননা শসাতে
পানির পরিমাণ বেশি থাকায় শসা খেলে কিডনির রোগীদের শরীরে আরো পানির পরিমাণ বেড়ে
যায় ফলে কিডনিতে পানিটা পড়ে ও নানা রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
4.বিশেষজ্ঞদের মতে শসা যদিও একটি স্বাস্থ্যকর উপাদান তবুও প্রয়োজনের তুলনায়
বেশি খেলে এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়।
5.যারা ওজন কমানোর জন্য অধিক পরিমাণে শসা খান তাদের শরীর অন্যান্য ফল এবং সবজির
ভিটামিন উপাদান থেকে বঞ্চিত হয় তাই শসা পরিমাণ অতিরিক্ত।
6.শসা এবং লেবু একসঙ্গে কখনোই খাওয়া অনেক বিপদজনক।
শসা খাওয়ার সঠিক সময় - শসা খাওয়ার নিয়ম
শসা যেমন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী ফল বা সবজি এটা খাওয়ার
মাধ্যমে আমাদের শরীরের ভেতরে অনেক গুনাগুন বৃদ্ধি পায়।তবে শসা খাওয়ার জন্য
আমাদের সঠিক সময় জানা উচিত কেননা সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে যদি আমরা শসা না খায়
তাহলে সেটা সাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হতে পারে। আমরা অনেকে সকালবেলা খালি পেটে শসা
খেয়ে থাকি সেটা আমাদের জন্য উপকারী ।
তবে যদি আরো অন্যান্য সবজি বা ফলের সাথে মিশিয়ে আমরা শসা খায় তবে সেটা
স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো হয় তেমনি আমাদের পেট কে অনেকক্ষণ ক্ষুধামুক্ত রাখতে
সাহায্য করে।এছাড়া আমরা চাইলে দুপুরেও শসা খেতে পারি তবে শসা কখনোই খোসা
ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত নয়।
কেননা শসার খোসাতে যে সমস্ত ফাইবার এবং উপকারী ভিটামিন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম
পটাশিয়াম রয়েছে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই সব থেকে
উত্তম হলো খোসা সহ শসা খাওয়া এছাড়া দিনের যেকোনো সময় হালকা ক্ষুধা মেটানোর
জন্য আপনি শসা খেতে পারেন।
মন্তব্যঃশসা খাওয়ার উপকারিতা
শসা যদিও একটি উপকারী ফল এবং সবজি এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তবে উপরে
উল্লেখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা একান্ত অবশ্যক।শসা খেলে যেমন স্বাস্থ্যের উপকার
হয় এর পাশাপাশি কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।কেননা শসা খেলে অন্যান্য
খাবারগুলো তাড়াতাড়ি হজম হয় কিন্তু শসা নিজে হজম হতে অনেক সময় লাগে।
আরো পড়ুনঃ টমেটো খাওয়ার উপকারিতা - টমেটো খাওয়ার নিয়ম
তাই স্বাস্থ্য রক্ষার্থে পরিমিত পরিমাণে এবং সঠিক সময় ও নিয়মে শসা খাওয়া
উচিত।এই পোস্টে আপনাদের ভালো লাগলে আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এ ধরনের আরো
নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটকে ফলো করুন ধন্যবাদ সবাই ভালো থাকবেন।
NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url