সরিষার তেলের উপকারিতা - সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিক
শরীর দুর্বল হলে করণীয় কি - শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয়সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা
জানবো সরিষার তেলের উপকারিতা সম্পর্কে। কেননা সরিষার তেল খুব উপকারী
হিসেবে পরিচিত। সরিষার তেল এমন একটা উপাদান যা আমাদের প্রত্যেক দিনের কোন না কোন
কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে ।সরিষার তেল আমরা প্রধানত রান্না ও শরীরে ব্যবহার করে
থাকি এছাড়া প্রত্যেক দিনের আর অন্যান্য কাজে সরিষার তেলের ব্যবহার করে থাকি ।
পোস্ট সূচীপত্রঃতাহলে চলুন সরিষার তেল ব্যবহার কতটা উপকারী সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
ভূমিকাঃ সরিষার তেলের উপকারিতা
বর্তমানে মানুষ অনেক খাদ্য রসিক কিন্তু এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতন । তাই মানুষ
শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে খাদ্যাভ্যাস বা খাদ্য তালিকায় সরিষার তেল ব্যবহার
করে । কারণ সাধারণত যে তেল গুলো রান্নাতে ব্যবহার হয় সেগুলো সয়াবিন বা পামওয়েল
জাতীয় অয়েল তেল যেগুলো ব্যবহার ফলে শরীরে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতীয় রোগব্যাধির
সৃষ্টি হয় । তাই খাবার তৈরি করার ক্ষেত্রে সরিষার তেল ব্যবহার করাই উত্তম ।
সরিষার তেল শিশুকে মালিশ করার উপকারিতা
সরিষার তেল শরীরে ব্যবহার করা হয় শরীরের শুষ্কতা দূর করতে এটা প্রাপ্তবয়স্ক,
অপ্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শিশুদের শরীরের রুক্ষতা দূর করতে ও
বিভিন্ন খোশ পাঁচরা বা চুলকানি দূর করতে সরিষার তেল উপকারী হিসেবে কাজ করে ।
এছাড়া শিশু বাচ্চাদের শরীরে সরিষার তেল মালিশ করার ফলে শিশুর অনেক আরাম অনুভব
করে ।
বাচ্চাদের গোসল করানোর আগে সরিষার তেল মাখিয়ে গোসল করালে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগে
না ।এছাড়া ঠান্ডা, সর্দি ও জ্বর সারাতে শিশুদের জন্য সরিষার তেল অত্যন্ত উপকারী
এছাড়া যেসব বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে । তাদের কাঁচা সরিষার তেল
পরিমিত পরিমাণে খাওয়ালে ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর হয় ।
বাচ্চাদের শরীরে সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করার ফলে শরীরের সুস্থতা বৃদ্ধি পায় ও
হাড় মজবুত হয় তবে বাচ্চাদের তেল মালিশ করার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে মালিশ করায়
উত্তম । কেননা বেশি পরিমাণে তেল মাখালে বাচ্চাদের ঠান্ডা লেগে যেতে পারে ।
শীতকালে শিশুর স্বাস্থ্যে সুরক্ষার জন্য সরিষার তেলের ব্যবহার
শীতকালে সাধারণত বাচ্চাদের নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস সহ জ্বর, সর্দি লেগেই
থাকে এর ফলে বাচ্চারা শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে ।ফলে স্বাস্থ্য হানি ও
অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এ সময় বাচ্চাদের শরীরে তাপমাত্রা কমে যায় ।তাই
বাচ্চাদের শরীর উষ্ণ রাখতে হাতের তালু ও পায়ের তালুতে সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে
মাসাজ করলে শিশুর হাত,পা গরম হয় ।
এছাড়া শীতকালের শিশুদের শরীরে সরিষার তেল মাখানোর ফলে শিশুদের শরীরে উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক শুষ্ক হয়না শিশুদের মাথায় সাধারণত সরিষার তেল ই ব্যবহার
করা হয় এতে যেমন ঠান্ডা ও সর্দি লাগেনা তেমনি বাচ্চাদের চুলও সুন্দর হয় ।
সরিষার তেলের উপকারিতা
সরিষার তেলের উপকারিতা অনেক বেশি দৈনন্দিন জীবনে সরিষার তেল কোন না কোন ভাবে
ব্যবহার হয়ে থাকে এবং খাঁটি সরিষার তেল আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী
এছাড়াও ছোট বাচ্চাদের জন্য সরিষার তেল উপকারিতা রয়েছে আমরা উপরে শিশুদের জন্য
কিভাবে সরিষার তেল ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি এখন আমরা সরিষার
তেলের বেশ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব চলুন তাহলে নিচে সরিষার তেলে
উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসি।
হাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতেঃ সরিষার তেল ব্যবহারে ফলে আমাদের শরীরের
হাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি হাড়ের ব্যথা দূর করতে চান
তাহলে সরিষার তেলের সঙ্গে আদা এই দুইটি ব্যবহার করে ব্যথা কমাতে পারেন ।এছাড়াও
জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সরিষার তেল এর সঙ্গে কর্পূর মিশে ব্যবহার করুন
। এতে করে আপনার জয়েন্টের ব্যথা থেকে আরাম পাবেন তবে মনে রাখবেন সরিষার তেল যখন
ব্যবহার করবেন তখন হালকা গরম খুব বেশি না।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ সরিষার তেলে রয়েছে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স
ফ্যাটি এসিড যেগুলো আমাদের শরীরে চর্বির মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে ।এছাড়াও
সরিষার তেলের রান্না খাবার অনেক বেশি স্বাদ হয়ে থাকে। তাই ওজন কমাতে সরিষার তেল
অনেক বেশি কার্যকর।
মাইগ্রেন ব্যথা কমাতেঃ যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাদের সরিষার তেল
অনেক বেশি উপকারী কেননা সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা
আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায় । এছাড়াও সরিষা তেলে মাছ ভাজা খেলে শরীরে ফ্যাটি
এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় ফলে অনেক রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শরীরের ব্যথা কমাতেঃ সরিষার তেলে যেহেতু অ্যান্টি-ইমফ্লেমেটারি রয়েছে
সেহেতু শরীরে ব্যথা কমাতে অনেক বেশি উপকারী । মাথার যন্ত্রণা ও তলপেটের অস্বস্তি
কমাতে খুব ভালো কাজ করে এবং ঠান্ডা জ্বর ও কাশিতে আরাম পেতে হালকা গরম সরিষার
তেলের সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে বুকে ও পিঠে মাসাজ করুন অনেক বেশি উপকার পাবেন ।
স্মৃতিশক্তি বাড়াতেঃ স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সরিষার তেল উপকারিতা রয়েছে
কেননা সরিষার তেলে যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে সেটা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে
বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং মনোযোগ ও সার্বিক মস্তিষ্কে উন্নতি করতে সাহায্য করে
থাকে ।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেঃ গবেষণায় পাওয়া গেছে সরিষার তেলে একটি বিশেষ
উপাদান রয়েছে সেটা হল লাইনোলেনিক অ্যাসিড এই উপাদান আমাদের শরীরের যে সকল
ক্যান্সারের সেল জন্ম নেয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয় ফলে ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি
রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেঃ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সরিষার তেল
অনেক বেশি উপকারী আপনি যদি নিয়মিত খাঁটি সরিষার তেল খাবারে ব্যবহার করে থাকেন
তাহলে আপনার হার্টের সমস্যা থাকবে না এছাড়াও হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হবে।
কোলেস্টরের মাত্রা কমাতেঃ সরিষার তেল রান্নার কাজে ব্যবহার করলে আমাদের
শরীরে থাকা কোলেস্টরে মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে তাই আপনি যদি সরিষার
তেল নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে নানান রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি
পাবেন এছাড়াও কোলেস্টরে মাত্রা
ত্বকে সরিষার তেলের উপকারিতা
ত্বকের যত্নে প্রাচীন যুগ থেকে সরিষার তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে সূর্যের ক্ষতিকর
রশি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সরিষার তেল অনেক বেশি উপকারী ।সরিষার তেলে রয়েছে
এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল যেটা এলার্জি ও র্যাশ মুক্তি পেতে সাহায্য
করে। এছাড়াও ত্বকের চুলকানি ও শুষ্কতা দূর করতে সরিষার তেল অনেক বেশি কার্যকরী
ত্বকের দাগ দূর করতে সরিষার তেলের সঙ্গে দই লেবুর রস বেসন মিশিয়ে 10 থেকে 15
মিনিট লাগিয়ে রাখলে তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বকের দাগ দূর হয়ে
যায় । এছাড়াও ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল রাখতে সরিষার তেলের সঙ্গে নারকেল তেল
মিশিয়ে মাসাজ করুন।
চুলের জন্য সরিষার তেলের উপকারিতা
সরিষার তেল চুলে ব্যবহার করলে বেশ কয়েকটি উপকার পাওয়া যায় চলুন তাহলে সরিষার
তেল চুলের যত্নে কতটা উপকারী সে সম্পর্কে আমরা জেনে আসি।
প্রাকৃতিক কন্ডিশনারঃ সরিষার তেলে রয়েছে আলফা ফ্যাটি এসিড যেটা চুলের
সৌন্দর্য ও চুলে স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে এছাড়াও এই উপাদানটি চুলের
কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে থাকে ফলে আমাদের চুল বৃদ্ধি করতে ও মজবুত রাখতে সাহায্য
করে।
চুল পড়া বন্ধ করতেঃ যাদের চুল পড়া মতে সমস্যা রয়েছে তারা সরিষার তেল
চুলে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন চুলে সরিষার তেল নিয়মিত ব্যবহার করলেন ফলি কল
মজবুত হয় এবং এটার কারণে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায় ।
চুল লম্বা হতেঃ মাথার চুল যাদের ছোট রয়েছে বড় করতে চান তারা সরিষার তেল
ব্যবহার করতে পারেন সরিষার তেলে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড চুলকে বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতেঃ আপনার চুল যদি রুক্ষ শুষ্ক নিষ্প্রাণ হয়ে থাকে
তাহলে মাথার তালুতে সরিষার তেল পরিমাণ মতো নিয়মিত ব্যবহার করুন এতে করে আপনার
মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন ঠিকভাবে তৈরি হবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে।
চুলের খুশকি ও চুলকানি দূর করতেঃ সরিষার তেলে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল নামক
উপাদান যেটা আমাদের মাথার চুলের খুশকি ও চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে চুল যদি
ফাঙ্গাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করুন
এছাড়াও পাকা চুল রোধ করতে সরিষার তেল অনেক বেশি কার্যকর।
রান্নায় সরিষার তেলের উপকারিতা
প্রাচীন যুগে সময় মানুষ অধিকাংশ সরিষার তেল ব্যবহার করে রান্না বান্না সহ শরীরে
মাখা এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করত ফলে তাদের শরীর স্বাস্থ্য ছিল অধিকাংশই
রোগবালায় থেকে মুক্ত কিন্তু বর্তমানে আমরা বিভিন্ন ধরনের তেল রান্না ব্যবহার করে
দিন দিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছি। রান্নায় সরিষার তেলের উপকারিতা অনেক
বেশি চলুন তাহলে আমরা এই উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসি।
- আপনি যদি রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার প্রথম উপকার হবে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাবেন অর্থাৎ সরিষার তেল রান্নায় ব্যবহারের ফলে আমাদের হাটকে অনেক বেশি ভালো রাখে।
- যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে বা পেটে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমন গ্যাস্ট্রিক সহ অন্যান্য সমস্যা সমাধান পেতে রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করুন বর্তমান সময়ে নানান ধরনের অস্বাস্থ্যকর তেল খেয়ে শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে তাই সরিষার তেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন ।
- সরিষার তেল রান্না ব্যবহার করার আরো একটি উপকার হল আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের উন্নতির জন্য অনেক বেশি উপকারী সরিষার তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের কাজ করে।
- ব্রংকাইটিস ও নিউমোনিয়া মতো রোগ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে সরিষার তেল কেননা সরিষার তেল ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলোকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ।
- সরিষার তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটা শরীরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয় ।
- রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করলে শরীরে শতকরা ৫০% টিউমার হওয়া সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় ।
- সরিষার তেল রক্তে ভালো কোলেস্টার তৈরি করতে সাহায্য করে এছাড়াও কোলেস্টরকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।
- শরীরের রোগ প্রতিরো ধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সরিষার তেল অনেক বেশি উপকারী সরিষার তেলে রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল এবং ছত্রাক প্রতিরোধক উপাদান সমূহ যা বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে থাকে ।
সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিক
- সরিষার তেলের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি তার অপকারিতা রয়েছে চলুন তাহলে সরিষার তেলের অপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে আসি।
- সরিষার তেল আপনি যদি চোখে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চোখের অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে ।
- সরিষার তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এরিওসিক এসিড যেটা আমাদের শরীরের ইউরিক অ্যাসিড মাত্রা বাড়তে সাহায্য করে হলে বিভিন্ন ধরনের গাউট ব্যথা সহ কিডনিতে পাথর হতে পারে।
- অতিরিক্ত সরিষার তেল খেলে হার্টের সমস্যা বৃদ্ধি হতে পারে অর্থাৎ হার্টের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে তাই পরিমাণ মতো সরিষার তেল ব্যবহার করতে হবে।
- ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে কেননা সরিষার তেল পরিমাণ মতো না খাওয়া হয় তাহলে এই সমস্যা হতে পারে ।
- ত্বকে সরিষার তেল ব্যবহার ফলে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
- অনেকের সরিষার তেল ত্বকে ব্যবহার ও চোখের আশপাশে লাগলে জ্বালা ভাব হতে পারে।
রসুন ও সরিষার তেলের উপকারিতা
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রসুন ও সরিষার তেল যদি রান্নার কাজে ব্যবহার করি তাহলে
আমরা অনেক বেশি উপকার পাব প্রথম উপকার হবে আমাদের বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে মুক্তি
পাওয়া অর্থাৎ সকল রোগের নিরাময় হিসেবে এর রসুন ও সরিষার তেল কার্যকরী সমাধান
হিসেবে কাজ করে। শরীরের লোহিত রক্তকণিকা গুলোকে শক্তিশালী করে তুলতে রসুন ও
সরিষার তেল অনেক বেশি উপকারী এছাড়াও আমাদের শরীরে ব্যথার স্থানে রসুন ও সরিষার
তেল ব্যবহার করে মাসাজ করলে আরাম পাওয়া যায় সরিষার তেল ও রসুন ব্যথা নাশক
হিসেবে বিশেষ কাজ করে থাকে ।
চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা
চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করলে যেমন উপকারিতা পাওয়া যায় তেমন তার কিছু অপকারিতা
রয়েছে চলুন তাহলে চুলের সরিষার তেলে অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসি।
- চুলে সরিষার তেল দিলে চুল আঠালো ভাব সৃষ্টি হয় ।
- চুলে সরিষার তেল দিলে চুল অনেক সময় ভারী ভাব সৃষ্টি হয়।
- অতিরিক্ত পরিমাণ সরিষার তেল ব্যবহার করলে চুল উঠতে পারে ।
- চুলে সরিষার তেল দিলে কিছুটা পরিমাণ তেলের গন্ধ পাওয়া যায় ।
সরিষার তেল মালিশের উপকারিতা
শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সরিষার তেল মালিশে উপকার পাওয়া যায় এছাড়াও
সরিষার তেল হার্টের জন্য খুব স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয় সরিষার তেল মালিশ করার
ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বিশেষ করে আঘাত জনিত
ব্যথা বা জয়েন্টের ব্যথা জন্য সরিষার তেল খুব ভালো কাজ করে ।
এছাড়াও সর্দি কাশির জন্য সরিষার তেল অনেক বেশি কার্যকর আপনার যদি কাশি সমস্যা
হয়ে থাকে তাহলে গলার কাছে হালকা করে সরিষার তেল মালিশ করে ঘুমিয়ে পড়েন দেখবেন
সকাল হতে কমে গেছে এছাড়াও সরিষার তেল দিয়ে বডি মাসাজ করলে শরীরকে অনেক বেশি
ফ্রি লাগে সরিষার তেলের মালিশের অনেক বেশি উপকারিতা রয়েছে।
খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায়
সরিষার তেলের কথা আমরা সবাই ইতিমধ্যে জেনে গেছি সরিষার তেল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে
অনেক বেশি উপকারী তবে খাঁটি সরিষা তেল অনেকে চিনেন আবার অনেকে চিনেন না আজকে আমরা
কয়েকটি পদ্ধতির মাধ্যমে কিভাবে খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় সম্পর্কে আলোচনা
করব চলুন তাহলে উপায় গুলো জেনে আসি।
- প্রথমতঃ আপনি বাসার ব্যবহারিত সুতি কাপড় দিয়ে সরিষার তেল খাঁটি কিনা তা পরীক্ষা করতে পারেন তার জন্য সঠিক কাপড়ের উপর সরিষার তেল ঢেলে দিলে দেখা যাবে যে সরিষার তেল যদি খাঁটি হয় তাহলে সুতি কাপড়ের উপর কালো দাগ পড়ে যাবে আর যদি কোন দাগ না পরে তাহলে সেটা খাটি তবে ক্ষেত্রে নকল সরিষার তেল হলে কাপড়ের দাগ উঠানো কষ্টকর হবে।
- দ্বিতীয়তঃ সরিষার তেলের রং যদি হালকা হলুদ দেখায় তাহলে সেটা ভেজাল হতে পারে কেননা সরিষার তেলের রং অনেকটা গারো কালার হয়ে থাকে।
- তৃতীয়তঃ খাঁটি সরিষার তেল যখন আপনি তার ঘ্রান নেয়ার চেষ্টা করবেন তখন সেটা অনেক ঝাঁজালো ও আপনার চোখ দিয়ে পানি চলে আসবে কিন্তু ভেজাল সরিষার তেলে এগুলো কিছুই হয় না ।
- চতুর্থঃ আপনি যদি সরিষার তেল অল্প নিয়ে হাতের তালুতে ঘষা দেন তাহলে যদি রং ছেড়ে যেতে শুরু করে এবং অন্যরকম গন্ধ পান কিংবা চিটচিটে অনুভব হয় তাহলে সেটা আসল সরিষার তেল না।
- পঞ্চম তমঃ সরিষার তেল যদি খাঁটি হয় তাহলে আপনি যদি সিরিজে দুই থেকে তিন ঘন্টা রেখে দেন দেখবেন তেলটি জমছে না কেননা খাঁটি তেল কখনো ২-৩ ঘন্টা তে জমে না কিন্তু ভেজাল তেল জমে সাদা হয়ে যায় ।
সাধারণ প্রশ্নাবলী(FAQ)
প্রশ্নঃ শরীরের জয়েন্টে ব্যাথা হলে সরিষার তেল ব্যবহার করা যাবে?
উত্তরঃ সরিষার তেল জয়েন্টে ব্যথার জন্য ব্যবহার করা যাবে।
প্রশ্নঃ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সরিষার তেল ব্যবহার করা যায় কি?
উত্তরঃ অবশ্যই আপনি বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারবেন আমাদের
এই আর্টিকেলের উপরে অংশে সেটা আলোচনা করা আছে ।
প্রশ্নঃ সরিষার তেল বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ সরিষার তেল বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না কেননা সরিষার তেল অতিরিক্ত খেলে
আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে তাই পরিমাণ মতো সরিষার তেল খেতে হবে।
প্রশ্নঃ সরিষার তেল হার্টের রোগীর জন্য ভালো?
উত্তরঃ সরিষার তেল আপনি যদি রান্নায় নিয়মিত এবং পরিমাণ মতো ব্যবহার করেন অবশ্যই
সেটা হার্টের জন্য ভালো।
শেষ কথাঃসরিষার তেলের উপকারিতা
সম্মানিত পাঠক আমরা এই পোস্টটিতে জানলাম সরিষার তেলের উপকারিতা সম্পর্কে এবং
কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তাই বাচ্চাদের সুস্থতার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করাই ।
উত্তম এ বিষয়ে জানতে আমাদের পোস্টটি পড়ুন এবং অন্য যে কোন বিষয়ে জানতে ও কোন
প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন এবং পরবর্তীতে অন্যান্য বিষয়ে নতুন
নতুন তথ্য পেতে আমাদের পেজটির সাথেই থাকুন ধন্যবাদ ।
NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url