৫ মিনিটে পারফেক্ট রসমালাই রেসিপি
দই বানানোর রেসিপি - মিষ্টি দই বানানোর রেসিপিমিষ্টান্ন জাতীয় খাবার বা ডেজার্ট
আইটেম এর মধ্যে যে সমস্ত খাবার রয়েছে তার মধ্যে প্রধান এবং অন্যতম জনপ্রিয়
খাবার হচ্ছে রসমালাই রসমালাই পছন্দ নয় এরকম মানুষ নেই বললেই চলে। তাছাড়া দুধ
দিয়ে তৈরি হওয়ার কারণে এটি খাদ্য গুণাগুণ বা পুষ্টি মানে ভরপুর তাই ছোট-বড় যে
কোন বয়সের মানুষই নির্দ্বিধায় রসমালাই খেতে পারে ।
পোস্ট সূচীপত্রঃতাই চলুন আজ আমরা জেনে নেই কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে দোকানের
মত পারফেক্ট রসমালাই তৈরি করা যায়।
ভূমিকাঃরসমালাই রেসিপি
বর্তমান বিশ্বে খাদ্য তালিকায় যেসব ডেজার্ট আইটেম খাবার প্রচলিত ও জনপ্রিয় তার
মধ্যে রসমালাই একটি অন্যতম উন্নত বিশ্বের প্রায় সবাই প্রত্যেক সন্ধ্যা খাবারের
সাথে একটা ডেজার্ট আইটেম পছন্দ করে । এছাড়া ভারতীয় মানুষদের জন্য বিভিন্ন ধরনের
মিষ্টি জাতীয় খাবার এর মধ্যে রসমালাই অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মিষ্টি পদ।
কেননা এটি তৈরি হয় প্রধানত দুধ দিয়ে আর দুধ সুষম খাবার হওয়ায় এটিতে প্রচুর
এনার্জি লেভেল ও ক্যালোরিতে ভরপুরতাই কাজ করে ।যাদের দুর্বল শরীর তাদের শরীরে
দ্রুত শক্তি বর্ধন করতে রসমালাই খাওয়ার মাধ্যমে খুব দ্রুত কাজ হয়।
রসমালাইয়ের পুষ্টিগুণ
রসমালাইকে বলা হয় একটি আদর্শ ডেজার্ট কারণ এক পিস রসমালাই রয়েছে ২০০০ ক্যালোরি
যা প্রায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরের ১৭ শতাংশ ক্যালরি চাহিদা পূরণ করে
।থাকে তাই শরীরের কারণে চাহিদা পূরণ করতে যে কেউ প্রত্যেকদিন পরিমিত পরিমাণে
রসমালাই খেতে পারে ।
[ প্রত্যেকদিন অত্যধিক মাত্রায় রসমালাই খাওয়া ঠিক নয় তা না হলে বেশি
পরিমাণে খেলে শরীরের সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে]
প্রয়োজনীয় উপকরণ
রসমালাই বানানোর জন্য যে সমস্ত উপাদান গুলো প্রয়োজন সেগুলো হলঃ
1. গুড়া দুধ এক কাপ বা ১০ টাকা দামের প্যাকেট দুইটা ।
[ গুড়া দুধ টি অবশ্যই পিওর মিল্ক ক্রিম হতে হবে তা না হলে পারফেক্ট রসের
ভালাই হবে না]
2. ঘি হাফ চা চামচ।
3. বেকিং পাউডার হাফ চা চামচ ।
4. ডিম মাঝারি সাইজ একটা ।
5. লিকুইড মিল্ক এক লিটার ।
6. চিনি বা কনডেন্স মিল্ক এক কাপ পরিমাণ /যারা ডায়াবেটিসের পেশেন্ট তাদের জন্য
পেপস্যুইট, জিরোক্যাল, জিরো ট্যাবলেট, সুগার ফ্রি চিনি/বাচ্চাদের জন্য সুগার ফ্রি
জিরো ক্যাল বা লাল চিনি।
[ মিষ্টির পরিমাণ দিতে পারেন সাধ অনুযায়ী]
7. একটি এলাচ বা ছয় সস হাফ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালী
রসমালাই ডো বানানোর জন্য প্রথমে একটি পাত্রে দশ টাকা দামের দুইটি মিল্ক ক্রিম
পাউডার বা গুঁড়া দুধ নিতে হবে । এবার এর মধ্যে একে একে হাফ চা চামচ ঘি ও হাফ চা
চামচ পরিমাণ বেকিং পাউডার নিতে হবে।
এখানে ঘি এবং বেকিং পাউডারের পরিমাণ সঠিকভাবে দিতে হবে কেননা এগুলো পরিমাণে বেশি
হলে রসমালাই তৈরি সময় ফেটে যেতে পারে]
এ পর্যায়ে ঘি, বেকিং পাউডার ও গুড়া দুধ তিনটি উপাদান ভালোভাবে হাত দিয়ে
মিশিয়ে নিতে হবে এরপর এটি সাইডে রেখে এটি সাইডে রেখে অন্য একটি ছোট পাত্রে একটি
মাঝারি সাইজের ডিম ভেঙে নিয়ে সেটা ভালোভাবে চামচ দিয়ে ফেটিয়ে নিতে হবে । এরপর
গুড়া দুধের মিশ্রণটির মধ্যে একটু একটু করে ফেটানো ডিম ঢালতে হবে ও হাত দিয়ে
ভালোভাবে মেখে নিতে হবে ।
খেয়াল রাখতে হবে যেন মিশ্রণ টি খুব বেশি শক্ত বা অতিরিক্ত নরম না হয়ে যায়
এক্ষেত্রে মিশ্রণটি তৈরির জন্য ফ্যাটানো ডিমটি পুরো না লাগতে ও পারে এক্ষেত্রে
যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই দিবেন এবং খেয়াল রাখবেন ডো তৈরির সময় যেন দলা পেকে না
থাকে এজন্য হাত দিয়ে ভালো ভাবে মুথে মুথে ডো তৈরি করুন ডো টি সুন্দরভাবে তৈরি
হয়ে গেলে ।
এবার এটিকে সাধারণ রুম টেম্পারেচারে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন এরপর ১০-১৫ মিনিট
হয়ে গেলে ডোটিকে ছোট ছোট আকারে তৈরি করুন এক্ষেত্রে আপনি চাইলে গোলাকৃতি বা
লম্বাকৃতি মিষ্টি তৈরি করতে পারেন ।
এবার রসমালাইয়ের শিরা তৈরির জন্য কড়াইয়ে এক লিটার লিকুইড দুধ নিতে হবে এবং এর
মধ্যে একটি এলাচ বা হাফ চা চামচ সয়া সস দিয়ে দিন এবার দুধ টি চুলায় বসিয়ে
মিডিয়াম তাপমাত্রায় জাল করতে হবে খেয়াল রাখতে হবে যেন চুলার তাপমাত্রা কমবেশি
না হয় দুধ যখন প্রথম একটু ফুটতে শুরু করবে।
তখনই এর মধ্যে রসমালাই গুলো দিয়ে দিতে হবে খেয়াল রাখতে হবে যেন দুধের মধ্যে
রসমালাই গুলো দেওয়ার আগে বেশি পরিমাণে দুধ না ফুটে এবার রসমালাই গুলো দুধে
দেওয়ার পরে একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ও একটু পরে পরে আলতো করে নেড়ে দিতে
হবে ।
দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই রসমালাইগুলো ফুলে ডাবল হয়ে গেছে এভাবে কিছুক্ষণ
ফোটানোর পরে এর মধ্যে এক কাপ পরিমাণ কনডেন্স মিল্ক অথবা চিনি দিয়ে দিতে হবে এরপর
যখন আবার ফুটতে শুরু করবে তখন একটু পর পর নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে
গেল রসমালাই।
[ এক্ষেত্রে সেরাটি ঘন করার জন্য এর মধ্যে মালাই যোগ করতে পারেন এছাড়া চাইলে
রসমালাই গুলো তুলে নিয়ে সেরাটি জাল করে ঘন করে নিতে পারেন ও পরবর্তীতে আবার
রসমালাইয়ের উপর ঘন মিশ্রণটি ঢেলে দিতে পারেন এতে রসমালাইটি ঘন ও সুস্বাদু
হবে]
পরিবেশন
রসমালাই পরিবেশনের জন্য তৈরি কৃত রসমালাই দিয়ে একটি সুন্দর পাত্র ঢেলে নিয়ে উপর
থেকে একটু কেশর, কাজু, কিসমিস, গোলাপ পাপড়ি সহ আর অন্যান্য উপাদান আপনি আপনার
পছন্দমত যোগ করতে পারেন।
সংরক্ষণ
রসগোল্লায় সংরক্ষণের জন্য আপনি যে কোন ঠান্ডা জায়গায় এক থেকে দুই দিন রেখে
দিতে পারেন এতে খাদ্যমান সঠিক থাকবে ও সাধও নষ্ট হবে না । এছাড়া আপনি নরমাল
ফ্রিজে তিন থেকে চার দিন এটি রেখে খেতে পারেন তবে হ্যাঁ এর থেকে বেশি দিন রাখলে
আপনার রসমালাইয়ের গুণগত মান কমে যাবে এবং সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাই তাই
যতটা সম্ভব টাটকা খেয়ে নেওয়াই ভালো ।
রসমালাই খাওয়ার উপকারিতা
রসমালাই দুধ দিয়ে তৈরি হওয়ার জন্য এতে শরীরের জন্য উপকারী ও প্রয়োজনে উপাদান
বিদ্যমান রসমালাই আমাদের খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন রকম উপকার সাধারণ হয় এগুলো
হলঃ
1. কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ।
2. যাদের প্রসবের সমস্যা বা প্রসাবে জ্বালাপোড়া রয়েছে তা দূর করতে সাহায্য করে
3. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।
4. হাড্ডি মজবুত ও সঠিক গঠন করতে সাহায্য করে ।
5.ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।
6. শরীরের শক্তি যোগান ও ক্যালরির চাহিদা পূরণ করে ।
7. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।
এছাড়া রসমালাই মুখের সাদৃদ্ধি, শরীরের শক্তির যোগান হিসেবে ও কাজ করে তাই আমাদের
শরীরের জন্য রসমালাই একটি উপকারী মিষ্টান্ন বা ডেজার্ট । কিন্তু প্রত্যেকদিন এটি
পরিমিত পরিমানে খেতে হবে তা না হলে স্বাস্থ্য হানি সহ স্বাস্থ্য নানা রকম ঝুঁকি
,বৃদ্ধি রক্তে সুগার বৃদ্ধি সহ অন্যান্য সমস্যা হতে পারে ।
( ডায়াবেটিসের পেশেন্ট রয়েছে তাদের জন্য ডায়াবেটিস সুগার ব্যবহার করে তৈরি
করাই ভালো )
সার কথাঃরসমালাই রেসিপি
সম্মানিত পাঠক এ পোস্টটিতে আমরা আজকে জানলাম কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে দোকানের মত
স্বাদে রস মালাই তৈরি করা যায় ।এছাড়া আমরা আরো জানলাম এটার বিভিন্ন গুনাগুন ও
উপকারিতা সম্পর্কে তাই রসমালাই সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টটি পড়ুন এবং এ বিষয়ে
কোনো প্রশ্ন বা তথ্য থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন । তাছাড়া আরো অন্যান্য
বিষয়ে নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের পেজটির সাথে থাকুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন
ধন্যবাদ ।
NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url