মেছতা দূর করার ঔষধ - চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়

চন্দন ক্রিম দাম - চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়মবর্তমান সময়ে আমরা অনেক রকম শারীরিক বা সৌন্দর্যের সমস্যায় পড়ে থাকে।তেমনি সৌন্দর্যের একটি সমস্যা হল মেছতা। আমরা সকলেই মেছতা সম্পর্কে জানি আবার অনেকে জানে না ।আজকের আর্টিকেলটিতে মেছতা কেন হয় ? এবং মেছতা সম্পর্কে আরো অন্যান্য তথ্যগুলো আলোচনা করা হবে। 
চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়

পোস্ট সূচীপত্রঃএছাড়াও চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় ও মেছতা দূর করার ওষুধ সম্পর্কে জানানো হবে ।আপনি যদি আপনার সৌন্দর্যের এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে চান আজকের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়ুন । কেননা আপনার সচেতন হতে পারে আপনার সৌন্দর্যের একটি সমস্যা থেকে মুক্তি হতে । চলন তাহলে মেছতা সম্পর্কে জানি ।

ভূমিকা

মেছতা সাধারণত আমাদের মুখমণ্ডলের আশেপাশে দেখা যায় যেমন নাকের উপরে কপাল এছাড়াও দুই গালে বেশি পরিমাণে মেছতা উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় । আবার অনেকের ঠোটের উপরে মেছতা লক্ষ্য করা যায় আমাদের সৌন্দর্যের একটি বড় বিবৃত কর পরিবেশ সৃষ্টি করে। এই মেছতা আমরা অনেকেই মেছতার জন্য খুব চিন্তিত থাকে। কেননা মেছতার দাগ গুলো সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে বর্তমানে আমেরিকান একাডেমি অফ সোসাইটির মহাত অনুসারে শতকরা ১০% পুরুষ মেছতা আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং তার তুলনায় নারীদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা সবথেকে বেশি ।

মেছতা হওয়ার কারণ

মেছতা কেন হয়? এর সমাধান বর্তমান সময়ে গবেষকগণ সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারে নাই তবে অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা মনে করেন এটি ত্বকের মেলানো সাইটস বা মেলানিন এর কারণে হতে পারে এটির ফলে অত্যাধিক রং উৎপাদন করতে গিয়ে মেছতা হতে পারে । তবে মেছতা হওয়ার ক্ষেত্রে দুইটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে সেটা হল যাদের ত্বক হালকা হয়ে থাকে তাদের শরীরে মেলানো সাইট আছে কম থাকে এবং যাদের শরীরে গাঢ় ত্বক হয় তাদের শরীরে মেলানো সাইটস বেশি থাকে হলে সে সকল মানুষদের মেছতা হওয়া সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকে।

মেছতা হওয়ার আনুমানিক কারণসমূহঃ

  • ত্বকে যাদের মেলানিন এর পরিমাণ বেশি থাকে তাদের সম্ভাবনা বেশি মেছতা হওয়ার ক্ষেত্রে
  • যারা অনেকে মনে করেন মেছতা ফাংগাল ইনফেকশনের জন্য হয়েছে এবং সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে বিপরীত ক্রিয়ার জন্য হতে পারে ।
  • প্রখর সূর্যালোক ।
  • গর্ভাবস্থায় ব্যস্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে ।
  • যাদের হর মনে সমস্যা রয়েছে অথবা জন্মনিয়ন্ত্রণ বরি গ্রহণ করার ফলে হরমোন পরিবর্তন ক্ষেত্রে হতে পারে।
  • মেছতা বংশগতভাবে হওয়া সম্ভব না বেশি থাকে ।

মেছতা লক্ষণ সমূহ

  • আমাদের চেহারা সৌন্দর্যে একটি বড় বাঁধা হল মেছতা এই মেছতার কারণে আমরা অনেকে অনেক সময় বিরক্তিকর অবস্থায় পড়তে হয় তবে আপনার সচেতন হতে পারে এই মেছতা থেকে মুক্তির উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে। চলুন তাহলে মেছতার লক্ষণসমূহ জেনে আসি।
  • মেছতা হওয়ার প্রথম লক্ষণ হলো ত্বকের মধ্যে হালকা ধূসর রং দেখা দেওয়া তবে হালকা ধূসর রং কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে না বরঞ্চ একটি বিভ্রান্তিকর অনুভূতি তৈরি হয়।
  • মেছতার যে লক্ষণ সমূহ বহি প্রকাশ পায় তা হল আমাদের মুখ মন্ডলে অর্থাৎ দুই গালে নাকের উপরে কপালে এছাড়াও হাতে বা ঘাড়ের নিচে দাগ দেখা যায়।
  • যাদের গর্ভকালীন সময় চলে অথবা জন্মনিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন তাদের শরীরে মেছতার উপস্থিতি দেখা যায় তবে এগুলো এই সময়ে যাদের হয় বাচ্চা হওয়ার পর ও জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া বাদ দিলে মেছতা অনেক সময় ভালো হয়ে যায় ।
  • মেছতা চিকিৎসা কালীন সময় দীর্ঘ হতে পারে এমনকি কারো কারো মেছতা সারা জীবন থেকে যেতে পারে তবে যাদের অনেক সময় পার হওয়ার পর মেছতা ভালো হচ্ছে না তারা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন ।
  • অনেকের হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মেছতা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিলে মেছতা ভালো হওয়া সম্ভাবনা থাকে তাই মেস্তা হলে এবং তার পরিমাণ বেশি থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি

আমরা অনেকে মেছতা দূর করার ক্ষেত্রে শর্টকাট অর্থাৎ কম সময়ে উপায় গুলো খুঁজে থাকে ।কিন্তু এই শর্ট সময়ে মেছতা ভালো করার যে সকল উপায়গুলো আমরা অবলম্বন করেই সেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের ত্বকের বা চেহারা বড় ক্ষতি করে থাকে । কেননা মেছতা দূর করনের ক্ষেত্রে যে সকল ক্রিম অথবা ফেসওয়াশ ব্যবহার করে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই কেমিক্যাল দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে ।
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি

যার ফলে আমাদের ত্বকের ক্ষতি বেশি হয়ে থাকে তবে মেছতা দূর করার ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো পদ্ধতি হলো প্রাকৃতিক উপায়ে মেছতা দূর করা এবং এর প্রাকৃতিক উপায়ে মেছতা দূর করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরে প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করতে হবে । কেননা প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনার কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না । তবে মেছতা দূর করণে প্রাকৃতিক উপায় অর্থাৎ মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাকে সঠিকভাবে জানতে হবে চলুন তাহলে মেছতা দূর করা ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে আসি।

হলুদঃ হলুদ আমরা সবাই চিনি এবং বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা হলো হলুদ খাবারের একটি মসলা হিসেবে কিন্তু হলুদ আমাদের ত্বকের মেছতা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী ।কেননা হলুদের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক উপাদান যে উপাদানটি আমাদের শরীরে মেছতা সহ আরো অন্যান্য রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। মেছতা দূর করনে হলুদ আপনাকে ব্যবহার করতে হবে প্রথমে হলুদ অর্থাৎ কাঁচা হলুদ পাঠাতে অথবা ব্লেন্ডার এ ভালো করে বেটে নিতে হবে ।

এরপর সেগুলোকে আপনার যেখানে যেখানে মেছতা রয়েছে সেখানে ব্যবহার করুন তবে অবশ্যই মনে রাখবেন হলুদ ব্যবহার করার নিয়ম হচ্ছে সন্ধ্যার পর থেকে আপনি যখনই হলুদ লাগাবেন তখন থেকে অর্থাৎ মুখে লাগানোর 20 মিনিট থেকে 30 মিনিট পর্যন্ত রাখুন তারপরে পরিষ্কার পানিতে মুক্তি সুন্দর করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহার করুন তবে মনে রাখবেন কোন সময়তে রোদে থাকা অবস্থায় হলুদ ব্যবহার করবেন না এতে করে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

লেবুর রসঃ রূপচর্চার ক্ষেত্রে লেবুর রস অনেক বেশি উপকারী এছাড়াও আমাদের শরীরে কাটা ছেঁড়া শুকাতে লেবুর রস খাওয়ার কোন জুড়ি নেই । তেমনি মেছতা দূর করতে লেবুর রস অনেক বেশি কার্যকর একটি উপায় লেবুর রসে রয়েছে কার্যকরী এসিড যেটা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী লেবুর রস এবং তার সাথে অন্য কিছু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মেছতা দূর করা যায় । চলুন তাহলে জানে কিভাবে লেবুর রস দিয়ে মেছতা দূর করা যায় ।

প্রথমত আপনাকে এক চামচ লেবুর রসের সাথে এক চামচ বেসন এবং তার সাথে পরিমাণ মতো গোলাপজলে মিশিয়ে ভালোভাবে প্যাক তৈরি করুন এবং তৈরি করা হয়ে গেলে প্রথমে মেজতার স্থান সুন্দর হবে ধুয়ে ফেলুন । তারপর শুকনো কাপড় দিয়ে সেই স্থানগুলো মুছে ফেলুন এরপর এরপর মেছতা হওয়ার স্থানে লেবুর রসের প্যাকটি ব্যবহার করুন লাগানো হয়ে গেলে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ অর্থাৎ লাগানো স্থানগুলো ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে এভাবে তিন থেকে চার দিন নিয়মিত ব্যবহার করলে মেছতা চিরতরে দূর হয়ে যাবে।

গরুর দুধঃ গরুর দুধ প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও পুষ্টিগণসমৃদ্ধ একটি খাবার যেগুলো আমাদের শরীরে খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় ।তবে গরুর দুধ আপনি রূপচর্চার কাজেও ব্যবহার করতে পারেন অর্থাৎ যাদের মেছতার রয়েছে তারা গরুর দুধ ব্যবহারের মাধ্যমে ভালো করা যায় । এর জন্য আপনাকে গরুর খাঁটি দুধ পাঁচ চামচ এবং তার সাথে এক চামচ ময়দা ভালোভাবে মিশিয়ে মেছতা হওয়ার স্থানে 15 থেকে 20 মিনিট লাগিয়ে রাখ ুন এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে নিয়মিত কয়েকদিন করুন দেখবেন আপনার মেছতা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাচ্ছে।

মধুঃ মধু আমরা সকলে চিনি এবং আমাদের পবিত্র আল কোরআন উল্লেখ রয়েছে মধু ও কালোজিরা হল সকল রোগের মহা ঔষধ অর্থাৎ মধুতে রয়েছে সকল রোগের সেফা । তেমনি আপনি যদি আপনার মেছতা দূর করতে চান তাহলে মধুর ব্যবহার করতে পারেন মধু সঠিকভাবে ব্যবহার করলে মেছতা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে।সেজন্য আপনাকে এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ এলোভেরা জেল ভালোভাবে মিশ্রণ করে তারপর ত্বকে ব্যবহার করুন এবং এই মধু ও অ্যালোভেরা জেল সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনি মেছতার জন্য সুফল পাবেন ।

পাকা পেঁপেঃ পাকা পেঁপে যেমন শরীরের জন্য উপকারী তেমনি মেছতা দূর করতে সাহায্য করে কেননা পাকা পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন ই আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এ ভিটামিন ই খুব বেশি প্রয়োজন যারা মেছতার দাগ দূর করতে চান তারা দুই চামচ পাকা পেঁপে ভিতরের অংশটুকু নিয়ে তার সাথে এর চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশ্রণ করে আক্রান্ত স্থানে ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন এ ফেসপ্যাক টি সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে আপনার মেছতা চিরতরে দূর হয়ে যাবে।

অ্যালোভেরা জেলঃ রূপচর্চা সহ বিভিন্ন কাজে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার হয়ে থাকে।কেননা এলোভেরা জেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারে উপকারে উপকারী উপাদানসমূহ তাই মেছতা দূর করতে এলোভেরা জেল ব্যবহার করা যায় । সেজন্য আপনাকে পরিমাণ মতো এলোভেরা জেল এর সঙ্গে এক চামচ টমেটোর রস মিশিয়ে ভালোভাবে তৈরি করুন তারপরে আক্রান্ত স্থানে ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে আস্তে আস্তে ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে আপনার মেছতার দাগ ভালো হয়ে যাবে।

টমেটোঃ টমেটো আমরা সবাই চিনি তবে অনেকে টমেটোকে খাবার হিসেবে বেশি চিনে থাকি কিন্তু টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের মেছতা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী আপনার মেছতা দাগ দূর করতে টমেটো ব্যবহার করতে পারেন ।সেজন্য আপনাকে টমেটোর রস চার চামচ এবং তার সঙ্গে হাফ চামচ ময়দা ও হাপ চামচ অলিভ অয়েল এই তিনটির সুন্দরভাবে মিশ্রণ করে একটি প্যাক তৈরি করুন এবং আক্রান্ত স্থানে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে আপনার দাগ দূর হয়ে যাচ্ছে।

মুলতানি মাটিঃ রূপচর্চার একটি জাদুকরী উপাদান হলো মুলতানি মাটি অনেকে মুলতানি মাটিকে ফেসিয়াল প্যাক বলে থাকেন কেননা মুলতানি মাটি ব্যবহারের ফলে ত্বকের ভিতর থেকে যে রাখে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে মেছতা দূর করতে এ মুলতানি মাটি ব্যবহার করা যায় সেজন্য আপনাকে একটি প্যাক তৈরি করতে হবে প্রথমত এক চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে হাফ চামচ মধু এবং তার সঙ্গে পরিমাণ মতো গোলাপজল ভালোভাবে মিশ্রণ করুন এবং মিশ্রণ শেষ হয়ে গেলে আক্রান্ত স্থানে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন যখন আপনার ত্বকে টানটান অনুভব হচ্ছে তখন কথা না বলাই ভালো কেননা চামড়া কুঁচকে যেতে পারে তাই তখন ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

আলুর রসঃ আলুর রস দাগ নিরাময় করতে অনেক বেশি কার্যকর চোখের নিচের এবং শরীরের অন্যান্য জায়গা দাগ দূর করতে আলুর রস সাহায্য করে থাকে। যেখানে মেছতার দাগ রয়েছেন সেখানে আলোর রস ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার মেছতা দাগ সহ অন্যান্য দাগগুলো দূর হয়ে যাচ্ছে।

টক দইঃ টক দই আমরা সকলেই চিনি তবে টক দই রূপচর্চার কাজে অনেক বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে কেননা টক দই আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। টক দই ত্বকের ভিতর থেকে জীবাণু পরিষ্কার করতেন সাহায্য করে সেজন্য মেছতা হওয়ার ভয় থাকে না তাছাড়া টক দই থাকা ব্যাকটেরিয়া ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। যদি মেছতা ভালো করতে চান তাহলে তিন চামচ টক দইয়ের সাথে এক চামচ মধু দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করুন তারপর আক্রান্ত স্থানের লাগিয়ে ত্রিশ মিনিট অপেক্ষা করুন এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে সুন্দরভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি শীতের সময় ব্যবহার করলেন হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

চিয়া সিডঃ চিয়া সিড ত্বকের জন্য অনেক ভালো এছাড়াও মেছতার দাগ দূর করতে সাহায্য করে সেজন্য আপনাকে দুই চামচ চিয়া সিড সাথে হাফ কাপ পানি মধ্যে ছয় ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন এবং তারপর তার সঙ্গে হাফ চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ ময়দা ভালোভাবে মিশ্রণ করুন এই মিশ্রণটি আক্রান্ত স্থানে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার মেছতা দূর হয়ে যাচ্ছে।

শসাঃ সুপ্রাচীন কাল থেকে রূপচর্চার কাজে শসা ব্যবহার হয়ে থাকে । তাই মেছতার দাগ দূর করতে শসা ব্যবহার করতে পারেন । সেজন্য আপনাকে দুই চামচ শসা গ্রেড করে নিতে হবে অথবা শসা ছোট ছোট কুচি করতে পারে এবং তার সঙ্গে এক চামচ বেসন ও পরিমাণ মতো গোলাপজলে পানি মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে 20 মিনিট লাগিয়ে রাখুন এরপর সুন্দরভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটি ধুয়ে ফেলুন এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন ব্যবহার করে দেখুন আপনার মুখের মেস্তা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাচ্ছে।

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় - মেছতা দূর করার ঔষধ

যাদের মেছতা সমস্যা হয় তারা অনেকেই চিন্তিত হয়ে যান। কারণ মেছতা সৌন্দর্যের বাধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থাৎ মেছতা মানুষের সৌন্দর্য বর্ধন কে নষ্ট করে ফেলে কিন্তু এই মেছতা চিকিৎসা দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ মেছতা ভালো হতে অনেকেরই দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয় তবে তবে মেস থাকে চিরতরে দূর করা উপায় রয়েছে আবার মেছতা দূর করার ওষুধ হিসেবে পাওয়া যায় চলুন তাহলে চিরতরে মেছতা দূর করা উপায় সম্পর্কে জেনে আসি ।

ক্রিম বা মলম ব্যবহারঃ মিস্টার দাগ দূর করতে বর্তমান সময়ে অনেক ফার্মাসিটিক্যাল অনেক পরীক্ষা মাধ্যমে ক্রিম বা মলম বের করেছেন । আপনি যদি মেছতার দাগ ভালো করতে চান তাহলে এই ক্রিম বা মলম ব্যবহার করতে পারেন ।তবে মনে রাখবেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ক্রিম ব্যবহার করবেন না কেননা আপনি তো জানেন না যে সেটা কোন ক্রিম কি মাত্রা অর্থাৎ কি পরিমান দিনে ব্যবহার করা যাবে তাই নিজেকে ক্ষতি থেকে দূরে রাখতে ডাক্তারে পরামর্শ নিয়ে মেস্তার ক্রিম ব্যবহার করুন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ক্রিম ব্যবহার করলে মেস্তা চিরতরে দূর হয়ে যাবে।

লেজার পদ্ধতিঃ বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হল লেজার পদ্ধতি তে নিস্তার দাগ চিরতরে দূর করতে সম্ভব তবে লেজার পদ্ধতিতে মেছতার চিকিৎসা করা ব্যয়বহুল এটা সবার পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে । আপনি যদি লেজার পদ্ধতিতে মিস্টার দা দূর করতে চান তাহলে চিন্তা ভাবনা করে করতে পারে তবে মনে রাখবেন তবে মনে রাখবেন লেজার পদ্ধতিতে মেছতার দাগ দূর করতে গেলে অনেক সময় স্ক্রিনের বা ত্বকের ক্ষতি হতে পারে সেজন্য প্রাকৃতিক উপায়ে অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মেছতার দাগ চিরতরে দূর করা সম্ভব ।

মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম - তৈলাক্ত ত্বকের মেছতা দূর করার উপায়

মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম

মেছতা দূর করতে বাজারে অনেক ধরনের ক্রিম পাওয়া যায় তবে যে সে ক্রিম মুখে অথবা ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না তবে ভালো ক্রিম হিসেবে বায়োজন বাজারে নিয়ে এসেছে SkinClinic Melanyc ক্রিম। যেটা আপনার পুরনো মেছতা ও মেছতার দাগ দূর করতে সম্ভব এবং সে সঙ্গে চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে এছাড়াও আপনি চাইলে Fruit of the Wokali Collagen Anti Spot Fairness Cream এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন ।এটা ছেলে বা মেয়েদের মেছতা দূর করার জন্য কাজ করে। এছাড়াও আরও একটি ক্রিম পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে সান ক্রিম তবে মনে রাখতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায় - মেয়েদের মুখের মেছতা দূর করার ক্রিম

মেছতা সমস্যা ছেলেদের থেকে তুলনামূলক মেয়েদের বেশি হয়ে থাকে। তবে মেয়েরা যদি চায় তাহলে উপরের ঘরোয়া পদ্ধতিতে মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারে । এছাড়াও ওপরে যে মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম উল্লেখ রয়েছে সেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারে ।তবে বলে রাখা ভালো মেছতা সমস্যা দীর্ঘদিন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া সবচেয়ে ভালো উপায় প্রাথমিক অবস্থায় আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে মেছতা সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করতে পারেন কেননা প্রাকৃতিক উপায়ে মেছতা দূর হলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না।

পুরুষের মেছতা দূর করার উপায় - মেছতার দাগ চিরতরে দূর করুন সহজ ২টি উপায়ে

বর্তমান সময়ে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের মেছতা সমস্যা দেখা দেয় ।তবে পুরুষের মেছতা তুলনায় মেয়েদের মেছতা সমস্যা বেশি তবে যাদের মেছতা সমস্যা রয়েছে তারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে মেছতার সমস্যার জন্য সমাধানের উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন । এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সানস্ক্রিন ক্রিম এবং অন্যান্য ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া পদ্ধতি ছাড়া অন্য উপায় অর্থাৎ চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করতে গেলে অবশ্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)

প্রশ্নঃ মেছতার দাগ দূর করতে এলোভেরা জেল ব্যবহার করা যাবে?

উত্তরঃ হ্যাঁ আপনি মেছতার দাগ দূর করতে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারবেন তবে সেটা নিয়ম উপরে দেওয়া আছে।

প্রশ্নঃ চিরতরে মেছতা দূর করা উপায় রয়েছে?

উত্তরঃ সঠিক সময় সঠিক পদক্ষে প এবং আপনার সচেতনতা ও চিকিৎসার ওপর নির্ভর করে চিরতরে মেছতা দূর করা সম্ভব।

প্রশ্নঃ মেছতা দূর করতে কেমন সময় লাগে?

উত্তরঃ মেছতা দূর করতে অনেক সময় সাপেক্ষে বিষয় আবার অনেকের মেছতা সারা জীবন থেকে যায়।

প্রশ্নঃ গর্ভকালীন সময় মেস্তা হলে পরবর্তী ঠিক হয়ে যায় কি?

উত্তরঃ আপনার যদি গর্ভকালীন সময় মেছতা দেখা দেয় তবে বাচ্চা হওয়ার পর সেই মেছতা সাধারণত ভালো হয়ে যায় ।

শেষ কথা (চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়)

সম্মানিত পাঠক আজকের আর্টিকেলটিতে মেছতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি আজকের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়েন তাহলে মেছতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং কিভাবে চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে । এরকম আরো অন্যান্য তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন সকলে ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়

comment url