দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত বিস্তারিত জেনে নিন

রাতে মধু খাওয়ার উপকারিতা - মধু খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত জানুনপ্রিয় বন্ধুরা আমরা কম বেশি সবাই খেজুর খেয়ে থাকি। খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গুনাগুন যা আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানি না। তাই আজকের এই আর্টিকেলে দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

পোস্ট সূচীপত্রঃতাই আপনি যদি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে দেখি নেই দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভূমিকাঃদিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

খেজুর একটি অত্যন্ত সুস্বাদু ফল যেটি প্রায় আমাদের সকলেরই চেনা। এই খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শক্তির উৎস। এই যুগে ভেজাল খাদ্যের জন্য নিজেকে সুস্থ রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। নিজেকে সুস্থ রাখতে খাদ্য হিসেবে খেজুর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন।

যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশকে সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে। শক্তির ভালো একটি উৎস হল খেজুর যা আমাদের শরীর দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। খেজুর প্রায় সব দেশেই পাওয়া যায় কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খেজুরের উপাদান আফ্রিকাতে উৎপাদন হয়।চলুন তাহলে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসি।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা - পুরুষদের জন্য খেজুরের উপকারিতা

  • অতি প্রাচীনকাল থেকেই খেজুর একটি জনপ্রিয় খাবার অন্যান্য ফলের চেয়ে খেজুরের উপকারিতা রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে খেজুর আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। খেজুর ডাইরেক্টরি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য প্রতিদিন খেজুর খেলে শরীরে এল টি এল বা খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। তাহলে আপনার হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খেজুর বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অ্যানিমিয়ার মতো রোগ দূর করে যকৃত পাকস্থলী সুস্থ রাখে।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে থাকে এবং অনেক বেশি উপকারিতা রয়েছে এ খেজুরে। সঠিক নিয়মে খেজুর না খেলে তার উপকারিতা থেকে আমরা বঞ্চিত হয়ে থাকি। তাই ইচ্ছা মতো খেজুর খাওয়া যাবেনা প্রতিটা জিনিসের একটি নিয়ম থাকে। তবে সঠিক নিয়ম জেনে খেজুর পান করবো।
  • শরীরের শক্তি যোগায় নিয়মিত পাঁচ থেকে ছয়টি খেজুর খেতে পারলে শরীরের শক্তি অতি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে এবং আপনার শারীরিক দুর্বলতা দূর করবে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। যার ফলে আমাদের অনেক ক্লান্তি ও বিভিন্ন কারণে অনেক শক্তির ব্যবহার হয়ে থাকে।
  • তাই শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য সব ধরনের খাবারের মধ্যে খেজুর হল অন্যতম খাদ্য যে আমাদের শরীরে অতি দ্রুত ক্লান্তি ও শক্তি যোগাতে অনেক সাহায্য করে। কারণ খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন শরকরা ফাইবার প্রোটিন ক্যালসিয়াম আয়রন
  • ফসফরাস পটাশিয়াম সহ আরো বিভিন্ন ধরনের উপাদান যেটা আমাদের শরীরকে সতেজ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু তাই নয় এতে রয়েছে এমন উপাদান যা তাৎক্ষণিক ভাবে শক্তির ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
  • হার মজবুত করে নিয়মিত খেজুর খেলে হার সুস্থ ও মজবুত থাকে এবং হাড়ের দুর্বলতা চলে যায়। আমরা অনেকেই হারের দুর্বলতা অনুভব করি তারা নিয়মিত খেজুর খেলে তাদের দুর্বলতা অনেকটাই কমে যাবে। যাদের হাড় দুর্বলতা রয়েছে তাদের বিভিন্ন রকমের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় মজবুত রাখতে খেজুরের উপকারিতা অতুলনীয়।
  • খেতে ভিটামিন প্রোটিন ফসফরাস ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ম্যাঙ্গানিজ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এ সকল খনিজ উপাদান আমাদের হারকে শক্তি ও মজবুত করে তোলে। তাই ছোট বড় সকলেরই নিয়মিত খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে চান তাহলে দৈনিক পাঁচ থেকে ছয়টা ভালো মানের খেজুর খেতে হবে একটি ভালো অনেক খেজুরের নাম হল আজুয়া যেটা প্রায়ই সব জায়গাতেই পাওয়া যায় এবং দামও একটু বেশি হয়ে থাকে।
  • খেজুরে থাকা বিভিন্ন উপাদান কষ্টকারণ্য থেকে মুক্তি দিতে পারে বা দূর করতে পারে।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন কিংবা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে পারেন তাহলে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
  • ওজন বাড়তে সাহায্য করে যাদের ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যেতে শুরু করেছে তারা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি তিন খেজুর খেতে পারেন। নিয়মিত চার থেকে পাঁচটা খেজুর খেলে দুই মাস পরে দেখবেন আপনার ওজন বাড়তে শুরু করেছে।
  • আসলে অনেকে ওজন কমানোর বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করেন। ঠিক তেমনি কিছু মানুষ থাকেন। তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া তার মধ্যে অন্যতম খাবারটি হচ্ছে খেজুর। খেজুরের প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। যা ওজন বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • খেজুর উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আমাদের মধ্যে অনেকেরই এই উচ্চ রক্ত চাপ এর মত সমস্যা রয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন কি কিছু প্রাকৃতিক খাবার চোর রক্তচাপ কমাতে অনেক সাহায্য করে আর সেগুলোর মধ্যে হচ্ছে অন্যতম খেজুর।তাই খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি।
  • খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ টি প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। এতে যথেষ্ট উপকার পাবেন এছাড়াও শরীর স্বাস্থ্য মন ভালো থাকবে। তাই আমাদের যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খাওয়া প্রয়োজন কারণ খেজুর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • স্কিন ভালো রাখে আপনার স্ক্রিন সুস্থ সুন্দর রাখতে খেজুরের উপকারিতা অতুলনীয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চার থেকে পাঁচটা খেজুর খেতে পারেন আপনার স্ক্রিন ভালো সুন্দর রাখার জন্য। কারণ খেজুর একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার।
  • যেটি আমাদের মুখের উজ্জ্বলতা ও ইস্কিন সুন্দর রাখতে অনেক সাহায্য করে। এটিতে রয়েছি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও কার্যকরী উপাদান যা বিভিন্ন সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে খেজুর যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে আমাদের অনেকেরই চোখে নানা রকম সমস্যা হওয়ার কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে থাকে। প্রতিদিন খেজুর খেতে পারলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে কারণ খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ আরো কিছু কার্যকারী উপাদান রয়েছে যেটা আমাদের ব্যক্তি সত্যি বৃদ্ধি করতে বিশেষ পালন করে। খেজুরি থাকা ভিটামিন এ যা রাত কানা রোগ থেকে প্রতিরোধ করে।
  • গ্লুকোজ অভাব দূর করে আমাদের শরীরে গ্লুকোজের অভাব ঘটলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাই গ্লুকোজের অভাব দূর করে এমন খাওয়ার খাওয়া উচিত তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে খেজুর দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে আমাদের শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা যায়। গ্লুকোজের ঘাটতি দূর করার জন্য চার থেকে পাঁচটি খেজুর ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে খেয়ে নিতে পারেন।

খেজুর খাওয়ার অপকারিতা

খেজুর খাওয়ার অপকারিতা প্রতিটি জিনিসের একটি নিয়ম থাকে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না তাই খেজুর একটি নির্দিষ্ট পরিমাপ মতো খেতে হবে। অতিরিক্ত খেজুর খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। খেজুর খাওয়ার অপকারিতা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। খেজুর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান যা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও শক্তিশালী করে তোলে । তাদের ছোট বড় সকলেরই নিয়মিত খেজুর খাওয়া উচিত।

খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম

খেজুর যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে এতে কোন বাধা নিষেধ নাই যে কেউ যেকোনো সময় খেজুর খেতে পারে তবে কিছু নিয়ম আছে যেগুলো মানলে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা বেশি বা ফল পাওয়া যায় তাই খেজুর খাওয়ারও সঠিক নিয়ম হচ্ছে সকাল বেলা খালি পেটে ।

চার থেকে পাঁচটি বা রাত্রে খেজুর ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে সকাল বেলা খালি পেটে খেলে অধিক পরিমাণে উপকার পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকায় খেজুর আমাদের ছোট বড় সকলেই খাওয়া উচিত। অধিক উপকার পাওয়া যায় সকাল বেলা খালি পেটে খেলে।

দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

খেজুর আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী । কিন্তু তাই বলে আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খেতে পারেন না ।খেজুর খাওয়ার সময় আপনাকে অবশ্যই আপনার শরীরের লক্ষ্য করে খেজুর খাওয়া উচিত । সাধারণত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন আপনি সারাদিনে দুইটি খেজুর খেতে পারে ।

আপনার যদি পুষ্টিহীনতা অথবা অন্যান্য সমস্যা থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চারটি খেজুরের কথা বলা হয়েছে । আপনি যদি খেজুর নিয়ম অনুসারে এবং ডোজ অনুযায়ী খেজুর খান তাহলে আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা পাবেন । তাই আপনি প্রতিদিন অন্তত দুইটি করে যে কোন এক সময় খেজুর খাবেন সেটা আপনার শরীরের জন্য ভালো ।

খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়

খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম সেলেনিয়াম পটাশিয়াম জিং ক এছাড়াও আরো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সমূহ আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম করে ডোজ অনুযায়ী খেজুর খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের অনেক উপকার পাবেন । কিন্তু আমরা অনেকে জানিনা খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন তাই আজকে আমরা খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় সম্পর্কে আলোচনা করব।
  • খেজুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে তাই আপনি খেজুর সারারাত পানিতে ভিজে সকালবেলা খালি পেটে খেতে পারেন এতে করে আপনার বদহজ ম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।
  • এছাড়াও প্রতিদিন দুইটা করে খেজুর সকালের নাস্তায় খেতে পারেন এতে করে আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন আয়রন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আরও অন্যান্য উপাদানসমূহ আপনার শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে ।
  • আপনি খেজুর দুপুরেও খাবার আধা ঘন্টা পর খেতে পারেন এতে করে আপনার দুপুরের ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব দূর করতে সাহায্য করবে তাই দুপুরেও খেজুর খাওয়া যায় ।
  • খেজুর সন্ধ্যার নাস্তা সময় খাওয়া যেতে পারে এতে করে আপনার শরীরের অনেক উপকারে আসবে।
  • তাই সর্বোপরি বলা যায় খেজুর আপনি যেকোনো সময় খেতে পারেন কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ খেজুর খাওয়া ঠিক নয় আপনি যেকোন একবেলা অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় করে ডোজ অনুযায়ী খেজুর খাবেন। সেটা সকালে বা বিকালে কিংবা সন্ধ্যায় অথবা রাতে ।

সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা - খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয়

সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি কেননা আপনি যদি সকালে খেজুর খান তাহলে আপনার সারাদিন আপনার শরীরের অনেক কিছু উপকারিতা পাবে এছাড়াও আপনি সারাদিন অন্যরকম সুস্থতা অনুভব করতে পারবেন চলুন তাহলে সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু জানি।
সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা - খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয়

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধানঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত সকালে খেজুর খেতে পারেন সেজন্য আপনাকে রাত্রে এক গ্লাস পানিতে একটি অথবা দুইটে খেজুর ভিজিয়ে পরের দিন সকালে পানিসহ খেজুরটি চিবিয়ে খেতে হবে তাহলে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা ও বদ হজম থেকে রক্ষা পাবেন ।

মস্তিষ্ক সতেজ রাখতেঃ আপনার মস্তিষ্ক সতেজ ও প্রফুল্ল রাখতে প্রতিদিন সকালে খেজুর খাওয়া উত্তম । তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর । তাই নিয়ম মেনে পরিমান মত খেজুর খেতে হবে ।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ খেজুর আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে । এছাড়াও রক্তের হিমোগ্লোবি ন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে কেননা খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন ।

শরীরের হাড় মজবুত করতেঃ খেজুর আমাদের শরীরের হারকে মজবুত করতে ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে সে খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম যা আমাদের শরীরের হাড় কে সুষ্ঠুভাবে গঠন করতে ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে থাকে।

হাঁটুর ব্যথা ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করতেঃ খেজুরে থাকা বিশেষ উপাদান সমূহ গুলো আমাদের শরীরের হাটু অথবা জয়েন্টের ব্যথাগুলো দূর করতে সাহায্য করে । খেজুর নিয়ম অনুযায়ী আমাদের খেলে অনেক বেশি উপকারিতা পাওয়া যাবে ।

চোখের সমস্যা ও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতেঃ আমাদের দৃষ্টিশক্তি ও চোখের সমস্যা দূর করতে খেজুরের উপকারিতা অনেক বেশি । তাই প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে অথবা রাত্রে একটি থেকে দুইটি খেজুর খাওয়া যায় ।

পুষ্টিহীনতা থেকে রক্ষাঃ যাদের শরীরে পুষ্টি কম রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন । কেননা খেজুরে থাকা উপাদান সমূহ আপনার শরীরের পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করবে ।

গর্ভবতী মা ও সন্তানের জন্য উপকারীঃ খেজুর এমন একটি ফল যা আল্লাহতালা বিশেষ নেয়ামত দান করেছেন একজন গর্ভবতী মা তার গর্ভে সন্তানের ওজন বৃদ্ধি সহ শারীরিক গঠনের জন্য খেজুর খেতে পারেন । গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর অনেক বেশি উপকারী । তবে গর্ভবতী মায়ের কোন সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেজুর খেতে হবে ।

সাধারণ প্রশ্নাবলী(FAQ)

প্রশ্নঃ দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া যায়?

উত্তরঃ আপনি দিনে সর্বোচ্চ চারটি খেজুর খেতে পারবেন । কিন্তু যাদের ওজন ও পুষ্টি সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আর আপনি যদি সুস্থ অবস্থায় খেজুর খেতে চান তাহলে প্রতিদিন অন্তত দুইটি খেজুর খেতে পারেন সেটা আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে ।

প্রশ্নঃ খেজুর খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি?

উত্তরঃ খেজুর খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকালে খালি পেটে । খেজুরে থাকা ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ফসফরাস জিং আয়রন সহ অন্যান্য ভিটামিন আপনার শরীরকে সারাদিন করে রাখবে ।

প্রশ্নঃ খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে?

উত্তরঃ খেজুর খেলে গর্ভবতী মায়েদের গর্ভের বাচ্চা ওজন বাড়তে সাহায্য করে । এছাড়াও যারা অতিরিক্ত পরিমাণ ওজন কমাতে চান তাদের জন্য খেজুর অত্যন্ত ভালো । কেননা খেজুর খেলে যে পরিমাণ ক্যালরি পাওয়া যায় তাতে করে অন্য খাবার খাওয়ার চাহিদা থাকে না তখন ওজন কমতে সাহায্য করে ।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন কয়টি আজ ওয়া খেজুর খাওয়া উচিত?

উত্তরঃ প্রতিদিন সকালে খাবারের সাথে দুইটি থেকে তিনটি খাওয়া যায় । আজওয়া খেজুর অনেক বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ খেজুর ।

শেষ কথাঃদিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম দিনে কয়টি খেজুর খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। আপনার কাছে যদি আমাদের পোস্ট ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আজকে এই পর্যন্ত আবার ও দেখা হচ্ছে কোন আর্টিকেলের সাথে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়

comment url