জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয় বিস্তারিত জানুন

সিজারে পর খাওয়ার তালিকা জেনে নিনবর্তমান সময়ে মেয়েদের বিভিন্ন কারণে তাদের জরায়ুর সমস্যার জন্য অপারেশন করতে হয়। ফলে আমাদের অনেকের মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জেগে ওঠে যে জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয় কিংবা জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায়।
জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়

পোস্ট সূচীপত্রঃএরকম আরো অন্যান্য প্রশ্নগুলি মনে হতে থাকেন। আপনি যদি জরায়ু সম্পর্কে জানতে চান তার আজকের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়ুন।কেননা এই পোস্টটিতে জরায়ু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। জরায়ু মেয়েদের শরীরের একটু গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিভিন্ন সময় শারীরিক জটিলতার কারণে এই জরায়ুর অপারেশন করা হয়ে থাকে চলুন তাহলে জরায়ুর সম্পর্কে আমরা জেনে আসি ।

ভূমিকাঃজরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়?

আপনারা যারা জরায়ু সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই পোস্টিং আজকের পোস্টে জরায়ু না থাকলে কি বাচ্চা হয় বা জরায়ু অপারেশন করার পর মাসিক হয় কিনা এছাড়াও জরায়ু না থাকলে মেয়েদের শরীরে কি কি সমস্যা হয় এবং জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায় কিনা বা জরায়ু অপারেশনের কতদিন পর সহবাস করা যায়। এছাড়াও আরো অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হবে তাই আপনি যদি জরায়ু সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচে ভালো করে পড়ুন ।

জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়?

অনেক মেয়েদের মনে একটি প্রশ্ন জাগে যে জরায়ু না থাকলে কি হয় অর্থাৎ জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়? আজকে আমরা আপনাদের এ প্রশ্নের উত্তর দেব। মেয়েদের জরায়ু হচ্ছে ঋতুস্রাবে প্রধান কারণ একজন মেয়ের প্রতি মাসে যে ঋতু স্রাব চক্রাকারে তৈরি হয় তা মূলত জরায়ু থেকে তাই আপনি যদি জরায়ু অপারেশন করে কেটে বাদ দিয়ে দেন তাহলে এই ঋতুস্রাব আর কখনো হবে না।

অর্থাৎ জরায়ু না থাকলে মাসিক হয় না। কেননা এই জরায়ু ঋতু স্রাব কে ধরে রাখে যেহেতু আপনি এটাকে কেটে বাদ দিয়ে দিচ্ছেন সেহেতু আপনার ঋতুস্রাব বা মাসিক হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই ।

জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয় - জরায়ু না থাকলে কি কি সমস্যা হয়

জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয় এই সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে নিচের অংশটুকু পড়ুন। জরায়ু যখন কেটে ফেলা হয় বা আপনার শরীরে থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় অপারেশনের মাধ্যমে তখন শরীরে নানান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়।

জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়ঃ মাসিক বা যাকে আমরা পিরিয়ড বলি না হওয়া। অপারেশন করে যদি আপনার জ্বরেও কেটে ফেলা হয় তাহলে আর কখনো মাসিক বা পিরিয়ড হবে না কেননা এই জরায়ু সঙ্গে পিরিয়ডের সম্পর্ক।

জরায়ু অপারেশনের পর কি কি সমস্যা হয়ঃ সন্তান ধারণের ক্ষমতা বা গর্ভধারণের অক্ষম হয়ে যায় । যেহেতু একজন মহিলা মানুষের গর্ভধারণ জন্য প্রয়োজন জরায়ু। তাই অপারেশনের মাধ্যমে আপনার জরায়ু কেটে ফেরার মাধ্যমে বাদ দেয়া হয় তাহলে আর কখনো আপনি গর্ভধারণ করতে পারবেন না ।

জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়ঃ যৌনি পথে রক্ত প্রবাহিত হওয়া । জরায় কেটে ফেলার পর অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় যৌনপদ দিয়ে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি হয় তবে আপনার রক্তক্ষরণ যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে অতি দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে কেননা তাতে করে আপনার রক্তশূন্যতা সহ আরো নানান জটিলতার মধ্যে পরতে পারেন ।

জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হয়ঃ পেট ব্যথা ও অস্বস্তিকর লাগা। অনেক সময় জরায়ু কেটে ফেলার পর এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পেটব্যথা এবং শরীর অস্বস্তিকর অনুভব করা এছাড়াও মাথা ঘোরা থাকতে পারে ।

জরায়ু কেটে ফেলা পর কি কি সমস্যা হয়ঃ হাত-পা এবং মুখ ফুলে যাওয়া । যাদের জরায় অপারেশনের পর হাত ও পা এবং তার সাথে মুখ ফুলে যাওয়া মত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন কেননা এগুলো থেকে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে ।

উপরে আলোচনা থেকে আশা করি বুঝতে পেরেছেন জরায়ু কেটে ফেলার পর কি কি সমস্যা হতে পারে মেয়েদের জরায় কেটে ফেলার পর ।এছাড়াও আরো অন্যান্য সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে তবে সমস্যা দেখা দিলে যে ডাক্তারের কাছে অপারেশন করেছেন সেখানে দ্রুত যোগাযোগ করবেন কেননা এসব সমস্যা নিয়ে বসে থাকলে পরবর্তী সমস্যারও বেশি হতে পারে ।

জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায়

আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জায়গায় জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায় কিনা। অনেকে মনে করেন জরায়ু না থাকলে হয়তোবা সহবাস করা যায় না ।কিন্তু তাদের এ ধারণা ভুল জরায়ু মূলত সন্তান ধারণের ক্ষমতা বা গর্ভধারণ জন্য বিশেষ প্রয়োজন এ জরায়ু জন্যই মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ড হয়ে থাকে। জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায় কিন্তু জরায়ু ছাড়া সে কখনো গর্ভধারণ করতে পারবে না এবং তার মাসিক হবে না।

জরায়ু কেটে ফেলার কতদিন পরে সহবাস করা যায়

আমাদের মাঝে অনেকেই জানতে চান যে জরায়ু কেটে ফেলা কত দিন পর সহবাস করা যায় । অর্থাৎ জরায় অপারেশনের কতদিন পর সহবাস করতে হয় । বা জরায় অপারেশনের পরে সহবাস করা কোন নিয়ম রয়েছে কিনা এরকম নানান প্রশ্ন আমাদের মনে জাগে চলুন তাহলে জেনে আসি জরায়ু কেটে ফেলা কতদিন পর সহবাস করা যায় সেই সম্পর্কে।
  • বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা যারা জরায় অপারেশন করে থাকেন তারা যারাই কেটে ফেলার পরে কমপক্ষে ছয় থেকে আট সপ্তাহ বা কোন ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত যৌন মিলন নিষিদ্ধ করে থাকেন। কেননা জরায়ু অপারেশন করে পুরোপুরি কেটে বাদ দেয়া হয় ফলে মানব দেহের কোষগুলি সঠিকভাবে পুণ্ গঠনের জন্য সময়ের প্রয়োজন।
  • মানব শরীর থেকে যখন কোন অঙ্গ কেটে ফেলা হয় তখন সেটা ইমপ্ল্যান্ট অর্থাৎ সঠিকভাবে ঘটনাতে প্রায় দুই মাসের বেশি সময় লাগে এই কারণে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ সহবাস করতে নিষেধ করে থাকে আপনি যদি এই সময় সহবাস করতে যান তাহলে যৌন পথে রক্তক্ষরণসহ আরো অন্যান্য সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে ।
  • মেয়েদের জরায়ু অপারেশন করার পর কঠোর পরিশ্রম থেকে দূরে থাকুন কেননা আপনি যখন অপারেশনের পর কঠোর পরিশ্রম বা ভারী কাজ করবেন তখন আপনার পেট ব্যাথা সহ আরো অন্যান্য হাত-পা ফোলা ভাব সহ সমস্যা দেখা দিতে পারে । তাই জরায় অপারেশনে কমপক্ষে দুই মাস বিশ্রামে থাকুন ।
  • আপনার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যিনি অপারেশন করেছেন তার আদেশ মত সতর্কতা অবলম্বন করে চলুন এবং আপনাকে যে মেডিসিনগুলো দিয়েছে সেগুলো নিয়মিত খেতে হবে । আপনার সাবধানতায় আপনার রোগ থেকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন।
উপরে আলোচনা থেকে বুঝতে পারছেন যে জরায়ু কেটে ফেলার বা অপারেশন করার পর কমপক্ষে দুই মাস সহবাস করা যায় না আপনি যদি দুই মাসের মধ্যে সহবাস করেন তাহলে রক্তক্ষরণসহ আর অন্যান্য সমস্যা গুলো দেখা দিবে এছাড়া অপারেশনের পর যদি কোন প্রকার সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যে ডাক্তার অপারেশন করেছে তার সাথে যোগাযোগ করুন।

বাংলাদেশের জরায়ু অপারেশনের খরচ কত?

জরায়ু অপারেশন খরচ কত সে সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন ।তবে বিভিন্ন দেশে জরায়ুর অপারেশনের খরচ ভিন্ন হয়ে থাকে । আজকে আমরা বাংলাদেশের জরায়ু অপারেশনের খরচ সম্পর্কে জানাবো । কেননা যে কোন সার্জারি বা অপারেশন করতে গেলে আমাদেরকে টাকার প্রস্তুতি রাখতে হয় টাকা ছাড়া কোন অপারেশন বা ডাক্তার দেখানো হয় না তাহলে আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনি সহজে জেনে যাবেন যে বাংলাদেশে জরায়ু অপারেশনে খরচ কত? চলুন তাহলে জরায়ু অপারেশনের খরচ সম্পর্কে জেনে আসি ।
  • সর্বপ্রথম আমাদেরকে মনে রাখতে হবে জরায়ু অপারেশনের খরচ মূলত রোগের উপর নির্ভর করে যেমন আপনার রোগী যদি অপারেশন করতে যান তার যদি আরো অন্যান্য রোগ থেকে থাকে তাহলে খরচের পরিমাণ বেশি হতে পারে । যেমন ধরুন ডায়াবেটিস বা কিডনি সমস্যা ইত্যাদি ।
  • জরায়ু অপারেশন খরচ অনেকটা মেডিকেলের উপর নির্ভর করে অর্থাৎ আপনি যদি জরায়ু অপারেশন কোন সরকারি হাসপাতালে করান তাহলে আপনার খরচ কম হবে এবং আপনি যদি কোন প্রাইভেট ক্লিনিকে জরায়ু অপারেশন করান তাহলে আপনার খরচ বেশি হবে এছাড়াও অপারেশনের পর রোগের শারীরিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে যে খরচ কত হবে ।
  • জরায়ু অপারেশনের খরচ আপনি যদি প্রাইভেট ক্লিনিকে করতে চান তাহলে পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে এছাড়াও যদি আপনি একটু কম মানের ক্লিনিকে করতে চান সেক্ষেত্রে ৩০০০০ হাজারথেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে । আর আপনি যদি সরকারি হাসপাতালে জরায়ু অপারেশন করান তাহলে আপনার খরচ 10000 থেকে 20 হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে ।
  • আমরা আবারো বলছি জরায় অপারেশন খরচ রোগের শরীরের উপর নির্ভর করে । আপনি যদি ভাল কোন প্রাইভেট হসপিটাল না ক্লিনিকে জরায়ু অপারেশন করতে চান যেমন স্কয়ার হাসপাতাল এরকম আরো অন্যান্য তাহলে আপনার খরচ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে ।

জরায়ু অপসারণের পর কি মাসিক হয়

জরায়ু অপারেশন করার পর মোটামুটি এক দুই সপ্তাহ আপনার যৌন পথে কিছু রক্তক্ষরণ হতে পারে বা অনেক সময় হয় না ।তবে এ রক্তের কালার লাল বা বাদামে রঙের হয়ে থাকে । তবে আপনার রক্তক্ষরণ যদি বেশি হয়ে থাকে তবে অতি দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন । জরায়ু অপারেশনের পর মাসিক বা পিরিয়ড হয় না কেননা মাসিক হওয়ার জন্য জরায়ু থাকা প্রয়োজন যেহেতু আপনি সমস্যার কারণে জরায়ু অপারেশন করে কেটে বাদ দিয়ে দিচ্ছেন সে তো সেখানে মাসিক হওয়ার কোন চান্স নেই জরায়ু কেটে ফেলার পর গর্ভধারণ ক্ষমতা থাকে না অর্থাৎ সে কখনো সন্তান জন্ম দান করতে পারবেনা 

জরায়ু অপারেশনের পর খাবার

জরায়ু অপারেশনের পর খাবার সম্পর্কে ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন কেননা রোগী সে সময় যদি সঠিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ না করে তাহলে রোগী দুর্বল হয়ে পড়বে ।এছাড়াও শারীরিক অনেক দিক থেকে সমস্যায় করতে পারে। সেজন্য রোগী যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে তাই তারা বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার গুলো খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকে চলুন তাহলে জরায় অপারেশনের পর কোন খাবারগুলো খেতে বলে সে সম্পর্কে জেনে আসি।
জরায়ু অপারেশনের পর খাবার

পুষ্টিবিদরা মনে করেন মানব দেহে বড় কোন সার্জারি বা অপারেশন হলে রোগীকে চর্বিহীন সুষম খাদ্যগুলো দেওয়া উচিত যেমন মাছ দুধ ডিম মাংস ইত্যাদি এতে করে রোগী যেমন প্রোটিন পাবে এবং দ্রুত সময়ে সুস্থ হয়ে উঠবে।

অপারেশন করার পর অনেক সময় রোগীকে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় পড়তে হয় ফলে এই সময় ডাক্তাররা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে । ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো র মধ্যে যেমন শাকসবজি সব ফল সাইট্রাস জাতীয় খাবার, মাশরুম ,বাদাম ,বীজ ,পেঁপে এগুলো রোগী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।

ডিমঃ জরায়ু অপারেশন করার পর প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে ডিম খাওয়া উচিত কেননা ডিম হচ্ছে একটি সুষম খাদ্য ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন যা আপনার শরীরকে পূর্ণ গঠনে সাহায্য করবে তবে কারো যদি হার্টের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তিনি ডিমের সাদা অংশ খাবেন এবং হলুদ অংশ খাবেন না ।

শাকসবজিঃ' জরায়ু অপারেশন করার পর যারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন তারা বেশি করে সবুজ শাকসবজি খাবেন কেননা শাকসবজি যেমন ভিটামিন পাওয়া যায় কেমন আপনাকে এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে তাই অপরেশনের পর শাকসবজি খাওয়া ভালো ।

মুরগির মাংসঃ জরায়ু অপারেশন বা অন্য কোন অপারেশনের পর মুরগির মাংস খাওয়া উচিত কেননা গরুর মাংস বা লাল মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে তাছাড়া দেশি মুরগি মাংস অনেক ভিটামিন ও প্রোটিন পাওয়া যায় তাই অপারেশনের পর চেষ্টা করা উচিত মুরগির মাংস খাওয়া ।

জরায়ু অপারেশনের পর তাহলে বুঝতে পারছেন কোন খাবারগুলো আপনার রোগীকে খাওয়ানো উচিত এবং কোনগুলো উচিত নয় । অপারেশনের পর কোন সময় রোগীকে ফাস্ট ফুড বা ভাজাপোড়া খাবার দিবেন না এতে করে রোগের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সহ আরো অন্যান্য সমস্যা হতে পারে তাই অপারেশনের পর উচিত রোগীকে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গুলো সরবরাহ করা ।

জরায়ু না থাকলে কি বাচ্চা হয়

জরায়ু না থাকলে কি বাচ্চা হয় এই কথা আমরা উপরে আলোচনা করেছি তবে বলে রাখা ভালো সাধারণত জরায়ু না থাকলে বাচ্চা বা গর্ভধারণের ক্ষমতা বা সন্তান ধারণের ক্ষমতা থাকে না এক কথায় জরায়ু না থাকলে বাচ্চা হয় না কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেক আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে সেক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করতে পারেন কেননা বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে তবে সাধারণভাবে বলতে গেলে জরায়ু না থাকলে স্বাভাবিকভাবে অন্যান্যদের যেমন বাচ্চা হয় তেমন হয় না।

মেয়েদের ডিম্বাণু কখন বের হয়?

আমাদের মধ্যে অনেকে মনে প্রশ্ন জাগে মেয়েদের ডিম্বানু কখন বের হয় অনেকে এর সময়কাল জানেন আবার অনেকে জানেন না আজকে আমরা মেয়েদের ডিম্বানু কখন বের হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মেয়েদের ডিম্বাণু কখন বের হয় ।

একজন মহিলা মানুষের ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণকে ডিম্বস্ফোটন বলা হয়ে থাকে। একজন মহিলা মানুষের প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই ডিম্বস্ফোটন হয়ে থাকে । কেউ যদি গর্ভধারণের ইচ্ছা করে তাহলে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই সময়ে পুরুষ শুক্রাণুর মিলিত হওয়ার ফলে সে গর্ভধারণ করতে পারে ।

সাধারণত যেসব মহিলার ২৮ দিনে মাসিক সম্পন্ন হয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে ১৪ তম দিন থেকে ডিম্বস্ফোটন হয়ে থাকে । এ সময় যদি স্বামী-স্ত্রী মিলন করে তাহলে স্ত্রী গর্ভধারণ হওয়া সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে ।

সাধারণ প্রশ্নাবলী

প্রশ্নঃ জরায় ছাড়া কি মাসিক হতে পারে?

উত্তরঃ জরায়ু ছাড়া মাসিক হয় না কেননা জরায়ু সাথে মাসিকের সম্পর্ক রয়েছে ।

প্রশ্নঃ জরায়ু অপারেশনের পর কি মাসিক হয়?

উত্তরঃ জরায়ু অপারেশনের পর মাসিক হয় না ।

প্রশ্নঃ জরায়ু কেন অপসারণ করা হয়?

উত্তরঃ জরায়ু অপসারণ জন্য অনেকগুলো কারণ থাকে যেমন অতিরিক্ত অস্বাভাবিক রক্তপাত জরায়ু ক্যান্সার জরায়ু প্রল্যাপস, ফাইব্রয়েড ইত্যাদি সমস্যা থাকলে ।

প্রশ্নঃ জরায়ু অপসারণের কতদিন পর্যন্ত বিশ্রাম নিতে হয়?

উত্তরঃ জরায়ু অপারেশনের 6 থেকে 8 সপ্তাহ পর্যন্ত পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হয় এবং এ সময় সকল ধরনের কঠোর পরিশ্রম থেকে দূরে থাকতে হবে ।

প্রশ্নঃ জরায়ু ও অপারেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে করণীয় কি?

উত্তরঃ আপনার যদি জরায়ু অপারেশন করার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি অতি দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করবেন ।

প্রশ্নঃ জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায় কি?

উত্তরঃ জরায়ু না থাকলে সহবাস করা যায় ।

প্রশ্নঃ জরায়ু অপারেশন করার পর পেট ব্যথা হয় কি?

উত্তরঃ জরায়ু অপারেশন করার পর পেট ব্যথা হয় এবং সাথে শরিলে অস্বস্তিকর অনুভব হয়ে থাকে ।

শেষ কথাঃজরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয়

আজকে আমরা জরায়ু সম্পর্কে আলোচনা করলাম অর্থাৎ জরায়ু না থাকলে কি মাসিক হয় এছাড়াও জরায়ু না থাকলে এই বাচ্চা হয় বা জরায়ু না থাকলে কি কি সমস্যা দেখা দেয় সে সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।কেননা আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি জরায়ু সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন । আজকের পোস্টে আপনার ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং এরকম আরো অন্যান্য তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়

comment url