ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে 2024
অস্ট্রেলিয়া কৃষি কাজের ভিসা ২০২৪ - অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কিভাবে পাওয়া
যাবেপ্রিয় পাঠক আমাদের বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ভারত ভ্রমণ করতে হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, আমরা বেশির ভাগই পর্যটন , চিকিৎসা বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে ভারত ভ্রমণ
করতে চাই। কিন্তু আমরা যদি ভারতে যেতে চাই তবে আমাদের একটি ভিসা লাগবে।
পোস্ট সূচীপত্রঃভারতে যাওয়ার জন্য ভিসা অনেক ধরনের হয়ে থাকে যেমন আপনি
যদি বেড়াতে যান তাহলে আপনার জন্য টুরিস্ট ভিসা আপনি যদি চিকিৎসার জন্য যান তাহলে
মেডিকেল ভিসা আর যদি ব্যবসার জন্য যান তাহলে লাগবে বিজনেস ভিসা। বাংলাদেশ থেকে
প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ইন্ডিয়া যেয়ে থাকেন বিভিন্ন কারণে। সহজে এবং কম খরচে
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আবেদন করে ভিসা পাওয়া যায়।তাই আজকের এই পোস্টে আমরা
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে তা বিস্তারিত আলোচনা করব।
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা করতে গেলে আপনাকে অনেক কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপতি প্রয়োজন
রয়েছে চলুন তাহলে সংক্ষেপে কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হয় সেগুলো দেখিঃ
- ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার অনলাইন আবেদন পত্র
- সদ্য তোলা ২ কপি (২/২ সাইজ) ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)
- ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট সহ শেষ ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- পূর্ববর্তী ভারতীয় ভিসা যদি থাকে
- চাকরি জীবী
- ব্যবসায়ীদের জন্য
- শিক্ষার্থীদের জন্য
- ইউটিলিটি বিলের কপি
- পেশাজীবী নিজ নিজ মেম্বারশিপ সনদ
চলুন তাহলে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সে সম্পর্কে
বিস্তারিত জানিঃ
পাসপোর্টঃ আপনার অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে যার মেয়াদ ছয় মাসের
বেশি। ভিসার জন্য আবেদন করার আগে, আপনাকে অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে যে আপনার
পাসপোর্ট ছয় মাসের বেশি বৈধ কিনা।
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার অনলাইন আবেদন পত্রঃ আপনি যদি ইন্ডিয়াতে টুরিস্ট
ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে
এবং আবেদনে যে নির্ধারিত তারিখ দিয়ে দেওয়া হবে । সে তারই অনুযায়ী আপনাকে আপনার
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইন্ডিয়ান ভিসা অফিসে যেতে হবে । মনে রাখবেন তারিখ
এবং সময় দুইটায় আবেদন ফরমে দেয়া হয়ে থাকে আপনি যদি নির্ধারিত তারিখ বা সময়ে
না যান পরবর্তী সময়ে আপনার আবেদন না গ্রহণ করতে পারে।
সদ্য তোলা ২ কপি (২/২ সাইজ) ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডঃ ছবিগুলির একটি সাদা
ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে। নীল কালারের ব্যাকগ্রাউন্ড চলবে না এবং নিশ্চিত করবে যে
আপনার কান ছবিতে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান কি না । আর নারীদের ক্ষেত্রে হিজাব পরে ছবি
তুললে কান দেখা যায় না, তাই ভিসা প্রত্যাখ্যান হতে পারে। তাই অবশ্যই এই
বিষয়গুলি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।
ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট সহ শেষ ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টঃ অবশ্যই
আপনার স্বচ্ছলতার একটি প্রশংসা পত্র লাগবে। এবং গত ছয় মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট
সহ ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট যা আপনাকে জমা করতে হবে। এসব বিষয়ে মাথায় রাখতে
হবে। এসব ছাড়া আপনার ভিসা বাতিল হয়ে যেতে পারে।
পূর্ববর্তী ভারতীয় ভিসাঃ আপনার যদি আগের কোন ভিসা থাকে তাহলে ওই ভিসার
কপি অবশ্যই সাথে নিয়ে আসতে হবে। এইসব মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। এইসব বিষয়গুলি
কোন ভাবেই ভুল করা যাবে না।
চাকরি জীবীঃ ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আপনার পেশা প্রমাণের জন্য NOC
প্রয়োজন । এছাড়া আরো অন্যান্য অফিসিয়াল কাগজপত্র প্রয়োজন রয়েছে। সেটা ভিসা
নোটিশে দেয়া হয়ে থাকে।
ব্যবসায়ীদের জন্যঃ আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন। এই ক্ষেত্রে আপনার ট্রেড
সার্টিফিকেটের একটি নবায়নকৃত কপি প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ যদি আপনার ব্যবসার
লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।তাহলে আপনাকে নবায়ন করতে হবে এবং এই নবায়ন কপি
পাঠাতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্সের কপি কখনই গ্রহণ করা হবে না। তাই
লাইসেন্সের সময়কাল সাবধানে পরীক্ষা করা উচিত।
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যঃ আপনি যদি একজন ছাত্র হন তাহলে আপনার স্টুডেন্ট
আইডির একটি কপি বা আপনার স্কুল বা কলেজ থেকে নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজন হবে।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনঃ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জন্মের শংসাপত্র দিন
এবং তার সাথে আপনার যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে তার স্টেটমেন্ট এবং আপনার পেশা
সম্পর্কে যে নথি রয়েছে, আপনার কাছে যে নথি রয়েছে তা আপনাকে পূরণ করতে হবে, এটি
করা ভাল সতর্ক।
আইডি কার্ডের ফটোকপিঃ বড়দের ক্ষেত্রে অবশ্যই আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে
এবং যাদের আইডি কার্ড নেই তাদের ক্ষেত্রে জন্ম জন্ম নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি হলেই
হবে। এইসব কাগজ পাতি ঠিকমত জমা দিতে হবে।
ইউটিলিটি বিলের কপিঃ আপনি আপনার বিদ্যুৎ বিলের তিনটি কপি বা আপনার গ্যাস
বিলের একটি অনুলিপি বা আপনার ইউটিলিটি বিলের একটি অনুলিপি হিসাবে আপনার পানির
বিলের একটি অনুলিপির যে কোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন।
পেশাজীবী নিজ নিজ মেম্বারশিপ সনদঃ পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট
পেশাজীবী সমিতির সদস্যপদ কার্ড। আপনি যদি একজন আইনজীবী, ডাক্তার, প্রকৌশলী হন,
তাহলে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার সদস্যতা
শংসাপত্রের একটি অনুলিপি জমা দিতে হবে।
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম
আপনারা যারা ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা পেতে চান তাদেরকে সর্বপ্রথম অনলাইনের মাধ্যমে
আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়াও আপনি ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টারে গিয়ে সেখান কারা
কর্মকর্তার সাথে কথা বলে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারেন। তবে সবচেয়ে সহজ অনলাইনে
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আবেদন করা। অনলাইন আবেদন করার জন্য আপনাকে এই
https://www.ivacbd.com ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
পাসপোর্ট অনুযায়ী আপনার সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদন পূরণ করার সময়
আপনি যদি কোন তথ্য ভুল দিয়ে থাকেন তাহলে তা গ্রহণ করা হবে না। আপনি যে সময়
আবেদন করবেন সে সময় আপনাকে কোন তারিখে আপনার এই আবেদন ফরমটি ইন্ডিয়ান ভিসা
সেন্টারে জমা নেবে সেটা তারিখ ও সময় দিয়ে দেওয়া হবে । আপনি নির্ধারিত তারিখে
আবেদনপত্র ও তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইন্ডিয়ান ভিসা অফিসে জমা দিতে
হবে।
তবে মনে রাখবেন তাদের সময়ের মধ্যে আপনাকে যেতে হবে এছাড়াও আপনাকে আবেদন করার
সময় এসএমএসের মাধ্যমেও জানিয়ে দেওয়া হবে কোন কারণবশত যদি আপনার আবেদন ফরম জমা
দেয়ার তারিখ পরিবর্তন করা হয় তাহলেও তা এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয় ।
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ ২০২৪
অনেকে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন । আসলে আপনি যদি নিজে
থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন তাহলে আপনার খরচ ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকার
মধ্যে হয়ে যাবে । কিন্তু আপনি যদি বিভিন্ন এজেন্সি মাধ্যমে করতে চান সে ক্ষেত্রে
আপনার এক হাজার টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে ।
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা পেতে আগে অনেক সময় লাগতো কিন্তু বর্তমান ভারত সরকার সকল
টুরিস্টদের কথা চিন্তা করে এবং হারানে কমাতে ভিসা প্রসেসিং এর সময় কমিয়ে এনেছে
তাই এখন ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা পেতে সাত দিন থেকে 12 দিনের মধ্যে পাওয়া যায় ।
কিন্তু আপনার যদি কোন কাগজপত্র ভুল প্রমাণিত হয় বা ভুল করে থাকেন তাহলে সে
ক্ষেত্রে আপনার ভিসা দেরি হতে পারে কিংবা ভিসা বাতিল হতে পারে ।
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা মেয়াদ আগে ইন্ডিয়ান সরকার সর্বোচ্চ তিন মাস । কিন্তু
বর্তমান সময়ে টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ তিন মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত বাড়ানো
হয়েছে। আপনি চাইলে ছয় মাসের শেষ মুহূর্তে যে আবার টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন
করতে পারেন । মনে রাখবেন ভিসার মেয়াদ না থাকলে আপনি কখনোই ইন্ডিয়া ঢুকতে পারবেন
না সেজন্য আপনাকে পুনরায় ভিসা আবেদনের মাধ্যমে নতুন ভিসা নিয়ে ইন্ডিয়া ঘুরতে
যেতে পারবেন ।
শেষ কথাঃইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে
প্রিয় পাঠকগণ আজকে আমরা ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি বুঝতে না পারেন পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি পোস্টটি পছন্দ করেন তবে আপনি এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে
পারেন।
NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url