অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ - ছেলেদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান
চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুনবর্তমান সময়ে কিশোর কিশোরীদের একটি
সাধারণ সমস্যা কারণ হচ্ছে চুল পড়া । অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ সম্পর্কে
আপনি যদি জানতে চান তাহলে আজকে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনার মাথার চুল ঝরে পড়ছে
বুঝবেন কিভাবে তা নিয়ে আলোচনা করব। কেননা মাথার চুল ছাড়া আমাদের সৌন্দর্য ফিরে
আসে না। তাই অল্প বয়সে যেন মাথায় টাক না পরে সেই জন্য চুল ঝরে পড়ছে বুঝবেন
কিভাবে তা নিয়ে আজকের পোস্টটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
পোস্ট সূচীপত্রঃতাহলে চলুন আজকের এই পোস্টে মনোযোগ সহকারে পড়ে ছেলেদের
অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান ও অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ জেনে নিন ।
ভূমিকাঃঅল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আজকে আমরা জানতে চলেছি অল্প বয়সে চুল পড়ার
কারণ সম্পর্কে।কেননা চুল হচ্ছে আমাদের শারীরিক সৌন্দর্যের অন্যতম
প্রতীক।মাথার চুল ছাড়া কোন পুরুষ বা নারীকে তার সৌন্দর্য শোভা পায় না ।তাই আজকে
আমরা এই এ পোস্টটিতে চুল ঝরে যাওয়ার কারণ কি কোন কোন ভিটামিনের অভাবে চুল ঝরে
যায়।নতুন চুল গজানোর জন্য কোন খাবার ও ভিটামিন খেলে ভালো হয় ও চুল পড়া
প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে।
অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ - ছেলেদের চুল পড়ার কারণ কি
চুল আমাদের সৌন্দর্যের একটি প্রতীক কিন্তু অল্প বয়সে চুল ঝরে পড়লে সেটা আমাদের
বিষন্নতার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে আপনার চুল অল্প বয়সে ঝরে পড়া কারণ কি সে
সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব । বিভিন্ন কারণে আমাদের মাথার চুল অল্প বয়সে ঝরে
পড়তে পারে ।আপনি যদি সে কারণগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য সম্পর্কে না জানেন তাহলে
আপনি বুঝতে পারবেন না কি কারনে চুল ঝরে পড়ছে চলুন তাহলে চুল ঝরে পড়া কারণ
সম্পর্কে জেনে আসি।
হরমোন জনিত কারণঃ অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ হলো হরমোন। হরমোন আমাদের
শরীরে পরিবর্তন হয়ে থাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে কিন্তু যখন সেটা অস্বাভাবিক
পর্যায়ে পরিবর্তন হয়ে থাকে তখন সেটা আমাদের চুল ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে
দাঁড়ায়। অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন যেমন অ্যান্ড্রোস্ট্রেনডিয়ন ও ডিএইচটি এবং
টেস্টোস্টেরন এই হরমোন গুলো পুরুষের তুলনায় মহিলাদের কম থাকে এছাড়াও এই হরমোন
চুল গজানো বা পড়ার উপর কাজ করে থাকে তাই যাদের এই হরমোনের প্রভাব বেশি রয়েছে
তাদের চুল পড়া সমস্যা দেখা দেয়।
মানসিক চাপঃ অল্প বয়সে চুল পড়ার আরও একটি কারণ হলো মানসিক চাপ একজন
মানুষ সাধারণ অবস্থায় যখন থাকে । তখন তার তুলনায় সে তখন মানসিক চাপে ভোগে বা
দুশ্চিন্তা করে তখন তার চুল পড়া পরিমাণ বেড়ে যায় । তবে কিছু সময় চুল পড়া
মানসিক চাপ কমে গেলে আবার ঠিক হয়ে যায় কিন্তু মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা দীর্ঘ
সময় কাটে উঠতে না পারলে তখন সেটা হতে থাকে।
পুষ্টিহীনতাঃ আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল প্রয়োজন
রয়েছে যা আমরা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পেয়ে থাকি কিন্তু আমরা যদি সঠিক খাদ্য
গ্রহণ না করি তাহলে আমাদের পুষ্টিহীনতার কারণে অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ হতে
পারে।
খাদ্যাভ্যাসঃ খাদ্যাভ্যাস এর কারণে চুল পড়া সমস্যা হয়ে থাকে আপনি যদি
পর্যাপ্ত পরিমাণ শাকসবজি ফলমূল ও ভিটামিন জাতীয় খাবার না গ্রহণ করেন তাহলে অল্প
বয়সে চুল পড়তে পারে আমরা অনেকে খাবার বিষয়ে সঠিক খাবার নির্বাচন না করে
ফাস্টফুড জাতীয় খাবারগুলো খেয়ে থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
খুশকিঃ মাথার চুল অল্প বয়সে পড়ার আরেকটি কারণ হলো খুশকি আপনার যদি মাথার
ত্বকে এলার্জি বা চর্মরোগ থাকে তাহলে মাথার চুল বেশি পড়তে পারে।
মাদকাসক্তিঃ বর্তমান সময়ে মাদকাসক্তের প্রভাব বেড়েছে যারা অ্যালকোহল
ড্রিংস ড্রাগস আসক্ত তাদের মাথার চুল পড়া সম্ভাবনা বেশি থাকে এছাড়াও তাদের
নানান স্বাস্থ্যগত সমস্যা হয়ে থাকে তাই অল্প বয়সে চুল পড়া এটি একটি কারণ।
চুল ঝরে পড়ছে তা বুঝবেন কিভাবে
চুল ঝরে পড়ছে বুঝবেন কিভাবে চলুন সেটা জানি ।একজন মানুষের মাথার চুল
স্বাভাবিকভাবে থাকলে সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় না। আমরা যখন লক্ষ্য করি
মাথায় চিরুনি দিলে অথবা ঘুম থেকে উঠার পর বালিশে আশে পাশে চুল পড়ে থাকে । তখনই
আমাদের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় । আপনার মাথার চুল স্বাভাবিকভাবে পড়ছে কিনা
সেটা আপনি নিজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যেমন আপনার হাতে এক মুঠো চুল ধরে টান
দেন তাহলে যদি অধিকাংশ উঠে চলে আসে তাহলে বুঝতে হবে আপনার চুল ঝরে পড়ছে। তাহলে
আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার অল্প বয়সের চুল ঝরে পড়ছে কিনা। কেননা চুল
হচ্ছে আমাদের সৌন্দর্যের একটু অন্যতম প্রতীক ।
চুল কেন ঝরে পড়ে
নারী ও পুরুষের চুল ঝরে পড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো এনট্রোজেনিক হরমোন নামের একটি
উপাদান । পুরুষের মানবদেহে সাধারণত এই হরমোন টির পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে । যেসব
পুরুষের এই হরমোন দ্বারা বেশি প্রবাহিত হয় তাদেরই বেশি চুল পড়ে যায় । নারীদের
ক্ষেত্রেও একই মাথায় খুশকি হলে অথবা কোন ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হলে চুল পড়ার
অন্যতম একটি কারণ।
মানব দেহে কোন ভিটামিনের স্বল্পতা থেকে থাকলে তা চুল পড়ার কারণ হতে পারে । আপনি
যদি মানসিক চিন্তায় সবচেয়ে বেশি থাকেন অথবা দুশ্চিন্তায় ভোগেন তাহলে আপনার চুল
পড়া সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায় কেননা দুশ্চিন্তা বা মানসিক টেনশন থাকলে অনেক
সময় মাথা চুল ঝরে পড়ে।
হঠাৎ করে অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ
চুল পড়া সাধারণত একটি প্রতিদিনের ঘটনা কেননা আমাদের প্রায়ই সবার মাথার চুল পড়ে
থাকে চুলের একটি সাধারণ বৃদ্ধির চক্র রয়েছে । সাধারণত প্রতিদিন যদি আমাদের একশটা
চুল পড়ে তেমন আবার ১০০ টা চুল গজায় কিন্তু যে পরিমাণে চুল পড়ে সে পরিমাণে যদি
না গজায় তখন সেটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হঠাৎ করে অতিরিক্ত চুল পড়া
অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে যেমন অসুস্থতা হর মনে পরিবর্তন মানসিক চাপ বয়স ছত্রাকে
সংক্রমণ ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে চলুন তাহলে আমরা হঠাৎ করে অতিরিক্ত চুল পড়ার
কয়েকটি কারণ সম্পর্কে জেনে আসি।
অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়াঃ এই অ্যান্ড্রোজেনেটিক হরমোনাল কারণে চুল
পড়তে পারে তবে এই সমস্যা হলে আপনার চুল আস্তে আস্তে পড়া শুরু হয় যখন সেটা
দীর্ঘ সময় হয় তখন সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেতে থাকে । ছেলেদের ক্ষেত্রে
সাধারণত তাদের সামনের দিক অর্থাৎ কপাল থেকে চুল পড়া শুরু হয় এবং শেষে গিয়ে
মধ্যভাগের চুল উঠে যায় আর মেয়েদের ক্ষেত্রে পুরো মাথার চুল পাতলা হওয়ার
বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
টেলোজেন এফ্লুভিয়ামঃ মানুষ যখন সাধারণত মানসিক চাপে থাকে তখন এই সমস্যা
হয়ে থাকে যার ফলে মানুষের চুল ঝরে পড়ে। এই সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে চুল ঝরে
পড়ার সংখ্যা বেশি দাঁড়ায় তবে অনেকের ক্ষেত্রে এটা স্বল্প মেয়াদী আবার অনেকের
ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদে হওয়ার কারণে মাথার চুল সম্পূর্ণ ঝরে পড়ে। টেলোজেন
এফ্লুভিয়াম কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে গুরুতর অসুস্থ গর্ভধারণ বড় ধরনের সার্জারি
মানসিক চাপ মাথার ত্বকের সমস্যা পুষ্টিহীনতা।
অ্যালোপেশিয়া এরিয়াটাঃঅ্যালোপেশিয়া এরিয়াটা এক ধরনের অটো ইমিউন রোগ
যেটা আমাদের শরীরের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেমে চুলের গোড়াকে আক্রমণ করে এবং চুল পড়া
শুরু হয় এ রোগের কারণে মুখমন্ডল শরীরে অন্যান্য অংশের চুল মাথার ত্বক চুল পড়তে
পারে এটি সাধারণত মাথার দিকে বৃত্তাকার হয়ে ছোট ছোট অংশ হিসেবে চুল পড়া শুরু
হয়ে থাকে।
ট্র্যাকশন এলোপেশিয়াঃ ট্র্যাকশন এলোপেশিয়া হল এক ধরনের চুল পড়া সমস্যা
যেটা মেয়েদের বেশি হয়ে থাকে কেননা তারা চুল চাপে বা টান করে রাখার ফলে অনেক
মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা চুল সাজানোর জন্য বিভিন্ন টাইট হেয়ার স্টাইল
ব্যবহার করে থাকেন যার ফলে চুলের গোড়ায় চাপ লেগে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে
এবং চুল পড়া সমস্যা শুরু হতে থাকে।
বংশগতঃ চুল ঝরে পড়া আরও একটি কারণ হলো বংশগত কারণ যে আমরা অনেকে জিনগত
সমস্যা বলে থাকে তাই বলা যায় পুরুষ বা মহিলার ক্ষেত্রে জিনগত সমস্যা থাকলে চুল
ঝরে পড়তে পারে।
থাইরয়েডের সমস্যাঃ অনেক সময় থাইরয়েড সমস্যার কারণে কিংবা গর্ভ অবস্থায়
কারনে মাথা চুল ঝরে যেতে পারে এক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা
নিতে পারেন।
অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান
আপনাদের যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ছে তারা অনেক দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন
কেননা অল্প বয়সে যদি বেশি পরিমাণে চুল ধরে তখন সেটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে
দাঁড়ায় চলুন তাহলে অতিরিক্ত চুল পড়া সমাধান সম্পর্কে জেনে আসি যেগুলো আমরা
জানলে উপকৃত।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করাঃ আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও
মিনারেলের প্রয়োজন রয়েছে এবং এগুলো আমরা প্রাকৃতিক খাবার থেকে পেয়ে থাকে তাই
আপনি যখন পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করবেন তখন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ
ভিটামিন থাকবে এবং সেটার জন্য তখন আপনার চুল পড়ার সংখ্যাটা কমে যাবে এছাড়াও
দৈহিক সুস্থতার কারণে ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন ভিটামিন ই আমাদের
শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে যার ফলে নতুন চুল গজাতে সহজ হয় ।
খাবারে আমিষ রাখুনঃ আপনার চুলের জন্য আমি যুক্ত খাবার গুলো খাওয়ার চেষ্টা
করুন। যেমন মাছ-মাংস ডিম ইত্যাদি আমিষ খাবার গুলো রাখতে হবে। আমিষ খাবার গ্রহণের
কারণে আপনার চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
থাকে।
মাথায় ভালো তেল ব্যবহার করুনঃ যাদের চুল পড়া সমস্যা রয়েছে বর্তমানে
অনেক গুণগত ভালো মানের তেল পাওয়া যায় সে তেল ব্যবহার করতে পারেন যেমন তিলের তেল
বাদামের তেল এছাড়াও আরো অন্যান্য আমলকির তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন । বর্তমানে
চুল পড়ার রোদে ডাক্তাররাও ভালো তেল সাজেস্ট করে থাকেন সে অনুযায়ী ব্যবহার করতে
পারেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানঃ চুল পড়া রোধ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রতিদিন
পানি পান করা উচিত কেননা আমাদের শরীরে পানির অংশ বেশি রয়েছে তাই শারীরিক
সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে চুলে সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
মানসিক চিন্তা কমানোঃ যারা বেশি মানসিক চিন্তা করেন তাদেরকে মানসিক চিন্তা
কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে। আপনি যদি মানসিক চিন্তা কমাতে পারেন তাহলে আপনার চুল পড়া
সংখ্যাও কমে যাবে
সিগারেট বা ড্রিংকস না করাঃ যাদের অতিরিক্ত চুল পড়া সমস্যা রয়েছে তাদের
যদি সিগারেট বা অ্যালকোহল পান করে থাকেন তাহলে তারা বাদ দিয়ে দেবেন। কেননা
এগুলোর ফলে অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে ।
মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখাঃ চুল পড়া রোধ করতে সর্বপ্রথম মনে রাখতে হবে
আপনার মাথা ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। ময়লা যুক্ত মাথার ত্বক চুল পড়ার অন্যতম
কারণ । মাথার ত্বক যদি ময়লা থাকে তাহলে খুশকি হয়ে থাকে । খুশকি থেকে আস্তে
আস্তে চুল পড়া শুরু হয়।
মেয়েদের অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ
চুল পড়া সমস্যা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয়ে থাকে তাই আজকে আমরা আলোচনা
করব মেয়েদের অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ সম্পর্কে। মেয়েদের অতিরিক্ত চুল পড়ার
কারণ অনেকগুলো হতে পারে এর মধ্যে কিছু সমস্যা পরিলক্ষিত হয় যেগুলো আমরা এখন
জানাবো চলুন তাহলে সে সম্পর্কে জেনে আসি।
- পুষ্টিহীনতা
- দীর্ঘদিন ধরে রোগে আক্রান্ত থাকা
- হরমোন জনিত সমস্যা
- থাইরয়েডের সমস্যা
- গর্ভকালীন
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়া
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা
- চুলে অতিরিক্ত হিট দেওয়া
- অতিরিক্ত প্রসাধনী সামগ্রী চুলে বা মাথায় ব্যবহার করা
- মাথা অপরিষ্কার রাখা
- মাথার ত্বকের সমস্যা
- বংশগত ভাবে চুল পড়া থাকলে
- কোন কারণবশত কে কেমোথেরাপি দিলে
- চুল বাধার সময় টাইট করে চুল বাধলে
- চুল বিভিন্ন প্রকার রং ব্যবহার করা
- ভেজা চুল মাথায় বেঁধে রাখা
- ভেজা মাথায় কাপড় পেচিয়ে রাখা
- পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমানো
- অতিরিক্ত পরিমাণ কোন কারণ ছাড়াই ওষুধ খাওয়া
- মানসিক চাপে দীর্ঘদিন থাকা
- খাদ্যাভ্যাসের সমস্যা সময়মত খাবার না খাওয়া
- মাদকাসক্তি আসক্তি হওয়া
- ধূমপান করা যা বর্তমানে বেশি দেখা যায়।
এছাড়াও আরো অন্যান্য কারণবশত মেয়েদের অতিরিক্ত চুল পড়া কারো হতে পারে। উপরে
সমস্যা গুলো যদি তার সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া যায় তাহলে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করা
সম্ভব। উপরে সমস্যা গুলো বর্তমানে বেশি দেখা যায় । কেননা আমরা এখন বর্তমানে
প্রসাধনী সামগ্রী থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়ার সহ অন্যান্য
অভ্যাসে আসক্ত হয়ে পড়েছি।
মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার
আমরা উপরে মেয়েদের অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করেছি এখন আমরা
মেয়েদের চুল পড়ার প্রতিকারগুলো আলোচনা করব চলুন তাহলে মেয়েদের চুল পড়ার
প্রতিকার সম্পর্কে জেনে আসি।
- যাদের পুষ্টিহীনতা আছে তারা পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে । প্রোটিন যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে ভিটামিন E জাতীয় খাবারগুলো খেতে হবে।
- যারা বেশি পরিমাণে মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন তাদেরকে মানসিক চাপ থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে দরকার হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- নিয়মিত মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। কেননা মাথার ত্বক পরিষ্কার না রাখলে ময়লা থাকলে চুল পড়া সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি হতে পারে ।চুল পড়ার সমস্যা যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
- যারা দৈনিক 6 থেকে 7 ঘন্টা পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমান তাদের ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে কেননা যাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হয় তাদের চুল পড়া সমস্যা হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে।
- অতিরিক্ত প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে । কেননা প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করলে তাতে থাকা কেমিক্যাল চুলের ও মাথার ত্বকের ক্ষতি করে থাকে ।
- হরমোন জনিত সমস্যা হয়ে থাকলে অতি দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে । তাহলে আপনি চুল পড়া থেকে মুক্তি পেতে পারে।
ছেলেদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান - ছেলেদের চুল পড়ার ঔষধ
চুলের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য আমরা অনেক কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকি। সেগুলো বন্ধ
করতে হবে মাথায় শুধু সালফেট ও প্যারাবিনমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে
।কন্ডিশনার বেজের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো হয় ।মাথার চুল পড়া
বন্ধ করতে মেহেদী পাতার রস অনেক কার্যকরী।
মাথার চুল পড়া বন্ধ করতে মাথায় গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না সব সময় স্বাভাবিক
পানি ব্যবহার করতে হবে। আমরা অনেক সময় হেয়ার স্টাইল করতে গিয়ে অনেকে চুলে হিট
দেন এই হিট ব্যবহার করা যাবে না। আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে চুল শুকিয়ে নিতে হবে
অতিরিক্ত হিট ব্যবহারের ফলে চুল ও মাথার মাসে সমস্যা দেখা দেয়।
যেসব মেডিসিন ব্যবহার করলে আপনার চুল ঝরে প্রতিরোধ হতে পারেঃ
- Cap. Toco Soft
- Cap. E-cap 200
- Cap. E-cap 400
- Tab. Ortin 5
- Tab. Recur
এখানে চার প্রকারের ওষুধের নাম দেয়া আছে এগুলো চুল পড়া বন্ধ করার ওষুধ তবে
এগুলো আপনি নিজের ইচ্ছামত খেতে পারবেন না । কেননা প্রত্যেকটা ওষুধের পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া আছে এই ওষুধগুলো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে
হবে। তাই অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ আপনাকে নিতে হবে।
চুল ঝরে পড়া বন্ধ করার স্প্রের নামঃ
- Tugain 2 %
- Tugain 5 %
- Splendora
- Biotin
- anti hair loss scalp tonic
এখানে যে সকল স্প্রে নাম গুলো উল্লেখ করা আছে সেগুলো আপনি নিজের মতো করে ব্যবহার
করতে পারবেন না অবশ্যই সেগুলো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে
হবে।
চুলের জন্য যে ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেনঃ
- ODC Sampo
- Vatika Sampo
- natural Sampo
- Silit plus Sampo
- Head & shoulders Sampo
এ সকল শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আপনার মাথার চুলের তেমন কোন ক্ষতি হবে না তবে
আপনি চাইলে এর বাইরে ও কিছু শ্যাম্পু আছে যেগুলো সব নাম উল্লেখ করা সম্ভব না
সেহেতু আপনি বাজারে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে শ্যাম্পু কিনে ব্যবহার করতে
পারেন।
সাধারণ প্রশ্নাবলী(FAQ)
প্রশ্নঃ অতিরিক্ত চুল কেন পড়ে?
উত্তরঃ অতিরিক্ত চুল পড়ার অনেকগুলো কারণ থাকে যেমন হরমোন জনিত সমস্যা ,
পুষ্টিহীনতা , মাথার ত্বক ও পরিষ্কার থাকা , অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা ,
ক্ষতিকর রশ্মি ব্যবহার করা , চুলে হিট দেওয়া ইত্যাদির কারণে চুল পড়ে থাকে ।
প্রশ্নঃ কোন ভিটামিন খেলে চুল পড়া বন্ধ হবে?
উত্তরঃ চুল পড়া বন্ধের জন্য সাধারণত ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবারগুলো খেলে এছাড়াও
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ে ব্যবহার করা যায় । তাই বলা যায় ভিটামিন ই চুল পড়া বন্ধে
কাজ করে থাকে।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন কতগুলো চুল পড়া স্বাভাবিক ধরা যায়?
উত্তরঃ সাধারণত একজন মানুষের মাথায় প্রায় এক লাখ থেকে দেড় লাখ পর্যন্ত চুল
থাকে সেখানে প্রতিদিন ১০০ বা তার একটু বেশি অর্থাৎ ১২০ টা চুল পড়া স্বাভাবিক
মাত্রায় থাকে ।
প্রশ্নঃ চুল পড়া কিভাবে বন্ধ করব?
উত্তরঃ আপনার চুল পড়া যদি আপনার লাইফ স্টাইল অর্থাৎ পুষ্টিহীনতা খাদ্যা অভ্যাস
মানসিক চাপ মাথার ত্বক অপরিষ্কার এক কথায় যেগুলা নিজেরাই সমস্যা তৈরি করি সেগুলো
যদি নিজেরা সমাধান করতে পারে তাহলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে । আর যেগুলো
সমস্যা যেমন হরমোন জনিত সমস্যা এই সমস্যাগুলো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা
পদ্ধতি চালু করতে হবে ।
প্রশ্নঃ সপ্তাহে মাথায় কতবার শ্যাম্পু করা যাবে?
উত্তরঃ মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে আপনাকে অন্তত সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন
শ্যাম্পু করতে পারেন।
শেষ কথাঃঅল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ
সুপ্রিয় পাঠক আজকে আমরা জেনেছি অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ এবং সেই সাথে
কোন কোন দিকে লক্ষ্য রাখলে আমাদের চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
করতে পারবেন এই ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের পেজকে ফলোআপ করে রাখুন এবং ভালো লাগলে
আপনার প্রিয় মানুষদের কাছে শেয়ার করুন আমাদের পোস্টে মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url