কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ভিটামিন বি ১২ এর প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিত জানুনপ্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো
কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম আমাদের প্রায় বাসায় দেখা যায় অনেক আপনারা কবুতর পালন
করে থাকেন।কবুতরের বিভিন্ন রকম বিভিন্ন সময় রোগ হয় তো আপনি যদি কবুতরের রোগ ও
ওষুধের সম্বন্ধে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ করে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃকারণ এই পোষ্টের মধ্যে কবুতরের রোগ ও ঔষধের সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে তা একদিন না করে চলুন দেখে আসি কবুতরের রোগ ও ওষুধের
নাম।
ভূমিকাঃকবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম
বাড়িতে কবুতর পালনের উদ্যোগ নিলে অবশ্যই কবুতরের রোগ ও ওষুধের নাম বিস্তারিত
জেনে নিন। কারণ এ সম্পর্কে আপনার কোনো ধারণা না থাকলে আপনার গৃহপালিত কবুতর যে
কোনো সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাহলে বুঝতে হবে কবুতরের বংশবৃদ্ধি করতে হলে
আপনাকে প্রথমে কবুতরের রোগের নাম ও ওষুধের বিস্তারিত জানতে হবে।
কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম
কবুতরের তেমন একটা অসুখ হয় না। আমবাত, কলেরা, গুটিবসন্ত, আমাশয়, রানীশতা ও
নিউমোনিয়াও রয়েছে এইসব রোগ গুলোই বেশি দেখা যায়। আপনার কবুতর বিদেশী হোক বা
দেশী, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যাইহোক, সবচেয়ে বেশি যা ঘটে তা হল
ব্যাকটেরিয়া কবুতরের জন্য পানি বা খাবার আক্রমণ করে।
কবুতরের অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা লাগলে নিমোনিয়া হতে পারে এবং বিভিন্ন রকম রোগের
সৃষ্টি করে। রানীক্ষেতের রোগের বিভিন্ন নাম রয়েছে যেমন কবুতরের হাঁচি, পায়রার
খড়ি পায়খানা ইত্যাদি। রাণীর রোগ কবুতর মুরগির জন্য বিপজ্জনক।
কবুতরের সাধারণত পালক থাকে না। যেমন মুখ, পা ও চোখের চারপাশে পালক না থাকলে, এই
সব জায়গায় ব্রণ বা ফোসকা দেখা যায়।কোন অসুস্থতা একটি সুবিধা. কবুতর অসুস্থ হলে
তাদের চিকিৎসা করা হয় না। তাই কবুতরের রোগ ও ওষুধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত
জ্ঞান থাকলে আপনার উপকার হবে বলে আশা করা যায়।
সালমোনেলোসিস কবুতরের জন্য একটি ভীষণ খারাপ একটি রোগ। এই রোগে পাখিদের মৃত্যুর
হার খুবই কম, কিন্তু এর প্রভাব খুবই ব্যাপক। রক্ত আমাশা রোগটি সাধারণত অন্য
প্রাণী হতে বিভিন্ন প্রোটোজোয়া।
কবুতরের সাধারণত যে সকল রোগগুলো হয়ে থাকে সেগুলো হলঃ
- রানীক্ষেত রোগ
- কলেরা রোগ
- করাইজা রোগ
- ডিপথেরিয়া রোগ
- সালমেনেলোসিস রোগ
চলুন তাহলে উপরের রোগ গুলোর লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে আসি।
কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম - রানীক্ষেত রোগ
সাধারণত কবুতর কে রানী ক্ষেত্রকে আক্রান্ত হতে দেখা যায় রানীক্ষেত রোগ হচ্ছে এক
ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রমণ রোগ আপনার কবুতরের যদি রানীক্ষেত রোগ আক্রান্ত হয়
তাহলে কবুতরের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ রানীক্ষেত রোগ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে
অন্য কবুতরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ।
রানীক্ষেত রোগের লক্ষণ
- কবুতর রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত চুপচাপ এক জায়গায় বসে থাকে এবং ঝিমুতে থাকে তাকে তাড়া দিলেও সেখান থেকে নড়ে না।
- রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত কবুতর খাবারের প্রতি অরুচি সৃষ্টি হয় ফলে প্রত্যেক দিন যে খাবার সে গ্রহণ করে তা করে না ।
- রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত কবুতর খেতে না পারায় দিনে দিনে ওজন কমতে থাকে ।
- রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত কবুতরের গায়ে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রীর উপরে হয়ে থাকে যেটাকে আমরা জর বলি ।
- রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত কবুতরের পায়খানা পাতলা ও চুনের মত সাদা হয়ে থাকে যা দেখলেই বোঝা যায় ।
রানীক্ষেত রোগের চিকিৎসা কবুতরের জন্য
- প্রথমে আপনার আক্রান্ত কবুতরটি আলাদা করে রাখুন কেননা রানীক্ষেত রোগ হচ্ছে ছোয়াচে এর মত যা অন্যদের হতে পারে
- রানীক্ষেত আক্রান্ত কবুতরের চিকিৎসার জন্য সাধারণত প্রথমে রেনামাইসিন ফাস্ট ভেট ইত্যাদি ঔষধ খাওয়ানো হয়ে থাকে।
- কবুতর যখন রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হবে তখন বাকি কবুতরদেরকে রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন দিতে হবে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে
- যেহেতু রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হলে কবুতর দুর্বল হয়ে পড়ে তাই ওষুধের পাশাপাশি ইলেক্ট্র লাইট স্যালাইন খাওয়ানো হয়ে থাকে
- আপনার কবুতর যদি রানীক্ষেতের আক্রান্ত হয় তাহলে অবশ্যই পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াবেন কেননা কবুতর হচ্ছে শখের জিনিস সেটা নষ্ট হয়ে গেলে কষ্ট বেশি লাগে ।
রানীক্ষেত রোগের প্রতিরোধ যেভাবে করবেন
- কবুতরের ঘর অর্থাৎ যে স্থানে রাখবেন সেটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ভাবে রাখতে হবে ।
- কবুতরের ঘর যে জায়গায় আছে সেখানে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো বাতাস লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ।
- আপনি যখন নতুন কোন কবুতর আপনার পুরানো কবুতরের ঘরের মধ্যে রাখতে যাবেন তখন অবশ্যই তাকে কয়েক দিন আলাদা রেখে তারপর একসাথে রাখবেন ।
- সময় মত রানীক্ষেত রোগের টিকা বা ভ্যাকসিন করে নিতে হবে ।
কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম - ফাউল কলেরা রোগ
কবুতরের একটি পরিচিত রোগের নাম হল ফাউল কলেরা যা আমরা এভিয়ান প্যারামিক্সভাইরাস
নামে পরিচিত সাধারণত এই ফাউল কলেরা রোগ কবুতরের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে হয়ে থাকে
ফাউল কলেরা রোগের লক্ষণ
- আপনার কবুতর যদি ফাউল কলেরা রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে কবুতরের চোখ ও নাক দিয়ে পানি ঝরতে থাকবে এবং সেইসঙ্গে হাচি বা কাশির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে ।
- কবুতর অনেক সময় এ কলেরা রোগে আক্রান্ত হলে পাতলা পায়খানা সঙ্গে বমি করতেও দেখা যায় ।
- কবুতরের ফাউল কলেরা রোগে আক্রান্ত হলে কবুতর তার পাখাগুলো ঝাপটাতে থাকে ।
- ফাউল কলেরা রোগে আক্রান্ত হলে কবুতর খাবারের রুচি হারিয়ে যায় ফলে কবুতর ঝিম ধরে থাকে এবং দ্রুত ওজন কমতে থাকে ।
ফাউল কলেরা রোগের চিকিৎসা সমূহ
- সাধারণত কবুতরের কলেরা রোগ হলে সালফার ড্রাগ ব্যবহার করে থাকেন পশু চিকিৎসকরা ।
- এছাড়াও এ রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
- কলেরা রোগের থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সময়মতো ভ্যাকসিন করে নিতে হয় ।
কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম - করাইজা রোগ
কবুতরের জন্য এই করাইজা রোগটি অনেক ক্ষতিকর এ রোগে আক্রান্ত হলে কবুতর অধিকাংশ
হারে মারা যায় চলুন এ রোগের লক্ষণগুলো জেনে আসি
করাইজা রোগ লক্ষণ
- কবুতরের এই রোগে আক্রান্ত হলে তার নাক ও মুখ দিয়ে পানি ঝরতে থাকে ।
- কবুতরের চোখ ফুলে যায় এবং চোখ বন্ধের মতো হয়ে যায় ।
- কবুতরের শ্বাসকষ্ট ও ঘরঘর আওয়াজ করতে থাকে ।
- কবুতর খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেয় ফলে ওজন কমতে থাকে ।
- কবুতর মাঝেমধ্যে বমি ও হাচি পড়ে থাকে ।
- কবুতরের দেহে অনেক পরিবর্তন অর্থাৎ ফুলে যাওয়া ভাব দেখা যায় ।
করাইজা রোগের চিকিৎসা
- এ রোগে আক্রান্ত হলে কবুতরকে প্রতিদিন দুইবার ভিনেগার মিশ্রিত পানি দিয়ে কবুতরের চোখগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে ।
- কবুতরকে এক লিটার পানিতে ০.৫ গ্রাম মাইক্রোনেট মিশিয়ে তিন থেকে পাঁচ দিন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে ।
কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম - ডিপথেরিয়া রোগ কবুতরের
কবুতরের আরও একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ জনিত রোগ হল ডিফথেরিয়া । সাধারণত সব
বয়সে কবুতরদের এ রোগটি হয়ে থাকে তবে বাচ্চা কবুতরের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় এ
রোগটি বাতাস ও পানির মাধ্যমে বেশি ছড়িয়ে থাকে চলুন তাহলে এ রোগের লক্ষণগুলো
জানি
ডিফথেরিয়া রোগের লক্ষণ
- কবুতর ডিপথেরিয়া রোগে আক্রান্ত হলে কবুতরের মুখ ও নাক দিয়ে পানির মত তরল বের হতে থাকে ।
- কবুতরের গায়ের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রীর উপরে হয়ে থাকে ।
- কবুতরের শ্বাসকষ্ট এর মত সমস্যা হয় ।
- কবুতর খাদ্য খেতে অনেক ধরনের সমস্যা হয় মাঝে মধ্যে বমি করে ।
- কবুতরের কাশির সঙ্গে রক্ত বের হতে পারে ।
- কবুতরের পায়খানা সবুজ রঙের হয়ে থাকে অনেক সময় পাতলা হয় ।
ডিপথেরিয়া রোগের চিকিৎসা
- কবুতর এ রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত প্রধান ওষুধ হল এন্টিটক্সিন যা কবুতরের বয়স অনুযায়ী ডোজ করতে হয় ।
- কবুতরকে এন্টি টক্সিন এর পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যায় ।
- সবচেয়ে ভালো হলো এ রোগে আক্রান্ত হলে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া দ্রুততার সাথে।
কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম - সালমেনেলোসিস রোগ
কবুতরের এই রোগটি অনেক পরিচিত একটি রোগ সাধারণত অধিকাংশ কবুতরের এ রোগটি হয়ে
থাকে এটি মূলত ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ এই রোগটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থাকতে পারে তাই
এর চিকিৎসা অবশ্যই ভালোভাবে করা উচিত চলুন তাহলে এই রোগের লক্ষণগুলো দেখে আসি
সালমেনেলোসিস রোগের লক্ষণ
- সালমেনেলোসিস রোগে কবুতর আক্রান্ত হলে পা ও পাখা প্যারালাইসিসের মতো হয়ে যায় ।
- কবুতর সব সময় চুপচাপ ও ঝিমাতে থাকে ।
- কবুতর খাওয়ার গ্রহণ করার সময় বমি করে থাকে ।
- কবুতরের পায়খানা সবুজ রঙের হয়ে থাকে এবং পায়খানা দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে ।
- সালমেনেলোসিস রোগের চিকিৎসা ।
- এ রোগে আক্রান্ত হলে কবুতরকে ইউরোপট পাউডার কবুতরের বয়স অনুযায়ী খাওয়াতে হবে ।
- কবুতরকে শক্ত খাবার থেকে নরম খাবার দিতে হবে ।
- কবুতরের অন্যান্য ওষুধের পাশাপাশি ভিটামিন সি খাওয়াতে হবে ।
কবুতরের ঝিমানো রোগ - কবুতরের ঝিমানো রোগের ঔষধ
আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করি যে পায়রা অসুস্থ এবং ঝিমানো। এই পঙ্গুত্বকে রাণীক্ষেত
বলে। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগের লক্ষণ হলো কবুতরের জ্বর হবে, চুনের মতো
সাদা মল হবে, খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং কিছুদিন পর মারা যাবে। কবুতর নাশক ওষুধের
নাম Renamesis এবং ভ্যাকসিনের নাম BCRDB।
যেসব কারণে কবুতর শুকিয়ে যায়
আমরা যারা বাড়িতে কবুতর রাখি তারা প্রায়ই দেখি কবুতর দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে।
তবে সঠিক রোগ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কবুতর শুকানোর
কারণ। আমরা উপরে কবুতরের রানী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। রানী কবুতর খামার
কবুতর শুকিয়ে গেলে। কবুতর ওজন কমায়।
ইনক্লুশন বডি হেপাটাইটিস এক ধরনের ভাইরাস রোগ। কবুতর এই রোগে অসুস্থ হয়ে পড়লে
তারা খেতে অনীহা দেখায়। পায়রা শুকিয়ে যায়। কয়েকদিন পর কবুতরগুলো মারা যায়।
যদিও কবুতর স্থিতিস্থাপক, তারা আয় কম করে। এতে কবুতরগুলো দিন দিন শুকিয়ে যায়।
কবুতর এর ঠান্ডার ঔষধ
বেশি গরম এবং প্রচন্ড ঠান্ডায় কবুতর অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। কবুতর কয়েকদিন
পর মারা যায়। আপনারা অনেকেই কবুতরের সর্দি নিরাময় জানেন না। প্রিয় পাঠক, কবুতর
জবাই করার আগে, কবুতরের রোগ এবং ওষুধের শিরোনাম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নিজেকে
পরিচিত করুন। তারপর. আপনি বাড়িতে খুব ভাল কবুতর মারতে পারেন। তো চলুন জেনে
নেওয়া যাক কবুতরের সর্দির প্রতিকার।
কবুতরের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বুঝতে পারবেন কবুতরের নিউমোনিয়া হয়েছে।
কবুতরের নিউমোনিয়া বা সর্দি হলে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াতে পারেন। যদি এটি ভাল
না হয়, আপনি পশুচিকিত্সকের সাথে যোগাযোগ করুন।
কবুতরের মাসিক ওষুধের তালিকা
প্রিয় বন্ধুরা আপনি কবুতরের অনেক রোগ এবং কীভাবে তাদের চিকিত্সা করবেন সে
সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে শিখেছেন। তাই এখন কবুতরের মাসিকের ওষুধের তালিকা সীমিত
আকারে দেখা যাবে। কবুতরের মাসিকের কিছু প্রতিকারের একটি তালিকা নীচে দেওয়া হলঃ
- ভিটামিন এ
- মাল্টিভিটামিন
- এন্টিবায়োটিক
- লিভার টনিক
আপনাদের কাছে একটি অনুরোধ। আপনি যদি কবুতরের প্রজনন করতে চান তাহলে আপনি ঘরে বসেই
দেশি-বিদেশি কবুতর পালন করতে পারেন। তবে কবুতরের কোনো রোগ পরিলক্ষিত হলে
চিকিৎসকের পরামর্শ বা অজান্তে কোনো ওষুধ খাওয়াবেন না।
কবুতরের ডায়রিয়ার চিকিৎসা
অনেক লোক যারা কবুতর পালন করে দেখেছেন যে কবুতর কখনও কখনও আলগা বা প্রবাহিত
ড্রপিং তৈরি করে। আবার, মল সবুজ হতে পারে। এই রোগের প্রধান কারণ কলেরা। কলেরা
একটি মারাত্মক রোগ। কলেরা রোগের সঠিক চিকিৎসা ছাড়াই ৪০ শতাংশ কবুতর মারা যায়।
কারণে
তাহলে এখন প্রশ্ন হল কবুতরের শ্লেষ্মাযুক্ত মল হলে কি চিকিৎসা করা উচিত? কলেরা
হলে সালফারের ওষুধ কার্যকর হবে। এবং আপনি সমস্ত পশুসম্পদ হাসপাতালে কলেরার টিকা
পেতে পারেন। বছরে দুইবার এই টিকা দিলে কবুতরের রোগ অনেক কম হবে।
কবুতরের ভিটামিন ঔষধের নাম - ঔষধের নাম
- Glycolyte =Saline
- New-Floxin Liq = Antibioti
- Rena K
- Thiavin
- Timsen = Antigerm spray
- Vitamin C
- AD3E / Vitamins A, D3, and E
- All Enzymes
- Allvit MA, Germany =multi vitamin
- Mix 4 V 1 =Antibiotic
- APSA B-Complex, Spain
- Avinex
- Calplex = calcium
- Chemonide = Antibiotic
- Cipryl-solution =antibiotic
- Cod liver oil = vitamins A, D and E
- Cosumix Plus Antibiotic
- Doxy-Oxy =Antibiotic
- Electromin saline
- Enrocin Antibiotic
- Esb3 30% = antibiotic
- Icturn
- Used as Lisovit
- Liva Tone = liver tonic
- Liva-Vit =liver tonic
- Marbelus
- Maxi Grow-P = multi vitamin
- Eye drops (Civodex Vet).
- AD3E / Vitamins A, D3, and E
- All Enzymes
- Allvit MA, Germany =multi vitamin
- Mix 4 V 1 =Antibiotic
- APSA B-Complex, Spain
- Avinex
- Fevnil
- Glycolyte =Saline
- New-Floxin Liq = Antibiotic
- Rena K
- Thiavin
- Timsen = Antigerm spray
- Vitamin C
- Wormazol
- Rena-WS = multi vitamin
- Respiron
- Revital-7 = vitamin B-complex
- Rhodivit WS= multi vitamin
- Ribosone
- Safi=multivitamin
সাধারণ প্রশ্নাবলী(FAQ)
প্রশ্নঃ কবুতরের খাবার কি কি?
উত্তরঃ কবুতরের খাবার সাধারণত অনেক ধরনের শস্যদানা হয়ে থাকে যেমন গম ভুট্টা ধান
চাল সূর্যমুখী বিচি মটর জাতীয় এছাড়াও অনেক কবুতর পালং শাক পাতা ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ কবুতর ভালো রাখার উপায় কি?
উত্তরঃ আপনি যদি কবুতর ভালো রাখতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে মাথায় রাখতে হবে
কবুতর সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা । অর্থাৎ কবুতর কোন খাবার গুলো খেলে ভালো থাকবে
কবুতর ভালো রাখার জন্য কোন বাসস্থানের প্রয়োজন । এছাড়াও কবুতরের চিকিৎসা
সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে যেন কবুতরের রোগের লক্ষণ দেখে আপনি রোগ শনাক্ত করে
চিকিৎসা দিতে পারেন ।
প্রশ্নঃ কবুতর কি ডাল খায়?
উত্তরঃ কবুতর শস্যদানা যেমন মসুরের ডাল কালায়ের ডাল এগুলো খেতে পারে।
প্রশ্নঃ কবুতরের প্রিয় খাবার কি?
উত্তরঃ কবুতরের প্রিয় খাবার হচ্ছে শস্য দানা বিভিন্ন ধরনের বীজ গম ধান ভুট্টা
চুনা সূর্যমুখের বিচি এছাড়া অনেক খাবার খেয়ে থাকে।
শেষ কথাঃকবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম সম্পর্কে জেনেছি শুধু তাই নয়
আমরা আরো জানতে পেরেছি । কবুতর যেসব কারণে কবুতর শুকিয়ে যাই ,কবুতরের ঠান্ডা
লাগলে কি করতে হবে , কবুতরের মাসিক ওষুধের লিস্ট ও ডায়রিয়ার চিকিৎসা ইত্যাদি
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। তো আজকে এই পর্যন্ত। আবার দেখা হবে কোনো
আর্টিকেলের সাথে পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url