ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না তালিকা জেনে নিন
কমলালেবু ছোট হয় কেন - চায়না কমলা গাছ চেনার উপায়আপনি কি
ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না তা ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করছেন?
আজ আমরা আপনার জন্য ডায়াবেটিস কি এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাদ্য তালিকা তা
সম্পর্কে আলোচনা করব। সাধারণত শরীরে চিনির পরিমাণ বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস হয়।
চলুন ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করা যাক।
পোস্ট সূচীপত্রঃশেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকলে
ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না ও ডায়াবেটিসের খাদ্য তালিকা তা
জানতে পারবেন। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা নিয়ে আজকের
নিবন্ধটি শুরু করা যাক।
ভূমিকাঃডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না
আজকাল ডায়াবেটিস খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। ডায়াবেটিসকে বলা হয় সকল রোগের মা। এই
রোগে আক্রান্ত হলে জীবনের প্রতিটি কাজে নিয়ম মেনে চলতে হবে। অতিরিক্ত ডায়াবেটিস
হলে মৃত্যুও হতে পারে। ডায়াবেটিস খাওয়া কি ভালো, ডায়াবেটিসের লক্ষণ নিয়ে এই
লেখাটি লেখা।
আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগীদের সম্পর্কে সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য জানতে চান,তাহলে
আজকের নিবন্ধটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকুন।
ডায়াবেটিস কেন হয়
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের প্রতিদিনের খাদ্যে এমন খাদ্য গ্রহণ করতে হবে
।যেগুলা ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করে। আপনার শরীরে ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই
প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের তাজা শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। এসব খাবার
পরিমিত পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এখন আমরা এমন কিছু খাবার
নিয়ে আলোচনা করব যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
বেশ কিছু মিষ্টি ফল আছে যেগুলো ডায়াবেটিস বাড়ার বদলে নিয়ন্ত্রণ করে। আজকের
তালিকায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফল হল খেজুর। অনেকে মনে করেন খেজুর মিষ্টি হওয়ায়
খেজুর খেলে ডায়াবেটিস বাড়তে পারে, কিন্তু খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে
যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুর, কমলা এবং ফুলকপির চেয়ে খেজুর বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের
উৎস। এই খেজুর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুণ ওষুধ হিসেবে কাজ করে। শুধু
ডায়াবেটিস নয়, খেজুর শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা দূর করে, তার মধ্যে কয়েকটি হল
যৌন সমস্যা, শরীরের দুর্বলতা, মেয়েদের গোপন সমস্যা ইত্যাদি।ডায়াবেটিস এমন একটি
রোগ যাকে সব রোগের মা বলা হয়।
এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে যায়,যার
ফলে শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না, বা ইনসুলিন তৈরি হলেও তা শরীরে সঠিকভাবে
কার্যকর হয় না।
ডাইবেটিসদের জন্য উপযোগী খাবারের মধ্যে রয়েছেঃ
- বাদাম
- মটর
- সিমেরবীজ
- ভুট্টা
- ব্রকলি ইত্যাদি।
এই সব খাবারেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ
ভূমিকা পালন করে। ফলের মধ্যে এমন কিছু ফল রয়েছে যা ডাইবেটিস রোগীদের জন্য খুবই
উপকারী খাদ্য। এই সব ফল প্রতিদিন খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি পায়। শরীরের
অতিরিক্ত হাড়ে ইনসুলিন তৈরি হয় যার ফলে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণ করে।
ফলের নাম হলঃ
- খেজুর
- আমড়া
- লেবু
- মিষ্টি আলু
- পেয়ারা
- কামরাঙ্গা ইত্যাদি।
এই সব খাবারেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা স্বাস্থ্যকর পরিপাকতন্ত্র বজায়
রাখতে ভূমিকা রাখে। অনেকেই মিষ্টি আলু খান না কারণ তারা মনে করেন এতে ডায়াবেটিস
রোগীর সংখ্যা বাড়বে, তবে বলাই ভালো যে বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে মিষ্টি আলু খাওয়ার পরামর্শ দেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিমিত পরিমাণে তাজা পুষ্টিকর খাবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
করা যায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় 150 থেকে 250 গ্রাম এই বিভিন্ন পুষ্টিকর ফল
থাকতে হবে। কারণ এতে কোনো রাসায়নিক পদার্থ থাকে না এবং শরীরে প্রচুর ক্যালরি যোগ
করে। ডায়াবেটিস বাড়াতে পারে।
খাবারের তালিকা যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য নিষিদ্ধ এগুলো হলোঃ
- চিনি
- গুড়
- মিছরি
- জ্যাম
- জেলি
- মিষ্টি পানীয়
- অ্যালকোহল
- দুধের রস
- আইসক্রিম
- কেক
- প্যাস্ট্রি
- মিষ্টি কুকিজ
- মিষ্টি কুটির পনির
- ঘি
- ডালডা
- র্বিযুক্ত মাংস
- যকৃত
- লবস্টার
- আখের রস ইত্যাদি।
যদিও এই খাবারগুলি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক, এই খাবারগুলিতে প্রচুর
প্রোটিনও থাকে, তাই এই খাবারগুলি মাসে একবার বা দুইবার অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে
পারে।
যদিও এই খাবারগুলি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক, তবে এই খাবারগুলিতে প্রচুর
প্রোটিনও রয়েছে, তাই এই খাবারগুলি মাসে একবার বা দুইবার অল্প পরিমাণে খাওয়া
যেতে পারে।
ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে নাঃ
ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ডায়াবেটিস রোগ। আগে সাধারণত
উন্নত দেশের মানুষদের মাঝে বেশি দেখা দিত কিন্তু বর্তমানে গ্রামীণ লোকালয় মধ্যে
এ ডায়াবেটিস রোগ ব্যাপক হারে বিস্তার লাভ করেছে। ডায়াবেটিস মূলত খাদ্য অভ্যাস
মানসিক চাপ বংশগত ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে ডায়াবেটিস হলে যে মানুষ মারা যাবে
এরকম ধারণা ভুল । আপনি যদি ডায়াবেটিস কে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে
আপনার জীবনটাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
সেজন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে কেননা ডায়াবেটিস হলে প্রথমত
আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত ব্যায়াম অথবা হাটাহাটি
করতে হবে এবং যে সকল খাবার গুলো ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া যাবে না। সেগুলো থেকে
নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে মনে রাখবেন আপনার ধৈর্য ও মুখের স্বাদের জিনিস থেকে বিরত
রাখা । আপনার জীবনকে সুন্দর করতে পারে এই ডায়াবেটিস রোগ থেকে তাহলে চলুন
ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না সে তালিকা সম্পর্কে জেনে আসি।
আমঃ আমাদের সবার কাছে আম একটি প্রিয় ফল । সবাই আম খেতে খুব ভালোবাসেন
কিন্তু মনে রাখতে হবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সুগার
১০০ গ্রাম আমে প্রায় ১৪ গ্রাম সুগার থাকে যা আমাদের ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
খুবই খারাপ ।এই সুগার রক্তের শর্করা মাত্রা কে খারাপ করতে সাহায্য করে তাই
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আম না খাওয়াই ভালো আর যদি খেতে খুব মন চায় তাহলে
একটু আমের চার ভাগের এক ভাগ খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন আম খাওয়া আপনার জন্য
ক্ষতিকর।
আঙ্গুরঃ আঙ্গুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
রয়েছে ফাইবার ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান সমূহ তবে ডায়াবেটিস রোগীদের
ক্ষেত্রে আঙুর খাওয়া যাবেনা । কেননা প্রায় ৮৫ গ্রাম আঙ্গুরে রয়েছে 15 গ্রাম মত
কার্বোহাইড্রেট যা ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে খারাপ তাই আঙ্গুর ফল থেকে দূরে থাকা
ভালো।
আনারসঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরও একটি ফল হল আনারস । আনারসে প্রচুর
পরিমাণ সুগার ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় ।এছাড়াও
আনারস ব্লাড সুগার মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে তাই আনারস বেশি পরিমাণে না
খাওয়াই উত্তম।
তরমুজঃ তরমুজ আমাদের সকলের পরিচিত একটি ফল তরমুজে ফাইবার ও ক্যালরি পরিমাণ
কম থাকে । কিন্তু তরমুজে কার্বোহাইড্রেট পরিমাণ বেশি থাকে এর ফলে ডায়াবেটিস
রোগীদের জন্য তরমুজ না খাওয়ায় ভালো তবে খেতে মন চাইলে অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।
কলাঃ কলা নিঃসন্দেহে একটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ফল কলাতে যে পরিমাণ পটাশিয়াম
রয়েছে যা আমাদের শরীরের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে ও কিডনির পরিচালনার ক্ষেত্রে
বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু কলাতে কার্বোহাইড্রেট পরিমাণ বেশি থাকে আর এই
কার্বোহাইডের আমাদের শরীরের শর্করার মাত্রা কে বাড়িয়ে দেয় । তাই ডায়াবেটিস
রোগীদের জন্য এ ফলটি উপকারী ফল হিসেবে ধরা যায় না তবে মাঝেমধ্যে দুই একটা কলা
খেতে পারেন কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার খনিজ ও নানান ভিটামিন সমৃদ্ধ
কলাতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম রয়েছে।
সবেদাঃ আমরা সকলে সবেদা ফল চিনি ফলটি বাদামী রঙের হলেও দানাদার যুক্ত ও
সুস্বাদু মিষ্টি ভরপুর ফল একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি 100 গ্রাম সবেদাই প্রায়
সাত গ্রাম শর্করা থাকতে পারে এছাড়াও সবেদাই রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ও শর্করা
পরিমাণ উচ্চ তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ভালো ফল নাও হতে পারে।
কাঁঠালঃ কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল যেমন মিষ্টি তেমন ভিটামিন সমৃদ্ধ
একটি ফল কিন্তু কাঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সুগার যা আমাদের শরীরের ব্লাড
সুগারকে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে তাই পাকা কাঁঠাল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য না
খাওয়াই উত্তম যদি খেতে ইচ্ছা করে তাহলে দুই থেকে তিন পিস দানা খেতে পারেন।
লিচুঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরও একটি ফল এড়িয়ে চলা ভালো সেটা হচ্ছে
লিচু কেননা লিচুতে প্রচুর পরিমাণ সুগার থাকে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের লিচু
বেশি পরিমাণে না খাওয়াই উত্তম যদি পারেন দুই থেকে তিন পিস এর বেশি লিচু খাওয়া
ঠিক নয় তাতে আপনারই ভালো হবে।
ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবেঃ
আমাদের মধ্যে যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারা অনেক সময় দ্বিধা
দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যান যে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোন ফল গুলো খাওয়া যাবে
এবং কোন ফলগুলো খাওয়া যাবে না আমরা উপরে আলোচনা করেছি কোন ফলগুলো ডায়াবেটিস
রোগীদের জন্য খাওয়া যাবে না ।এখন আমরা আলোচনা করব।
ডায়াবেটিস থাকলেও আপনি যে ফলগুলো খেতে পারবেন এবং যে ফলগুলো আপনার ডায়াবেটিসের
কোন প্রকার ক্ষতি না করে যেন আপনার শরীরকে সুস্থ রাখে সেইসব ফল সম্পর্কে চলুন
তাহলে ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে সে সম্পর্কে জেনে আসিঃ
আপেলঃ আমাদের সকল পরিচিত একটি ফল হল আপেল আপেল ফল যদিও মিষ্টি স্বাদ তবুও
আপনার ডায়াবেটিসের কোন উপকার ক্ষতি না করে বরং আপনাকে পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে
থাকে এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে আপেল পরিমাণ মতো খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের
সঙ্গে লড়াই করে থাকে তাহলে আমাদের যারা ডায়াবেটিসের রোগী আছে তারা পরিমাণ মতো
আপেল খেতে পারেন।
অ্যাভোকেডোঃ এখন প্রায় সময় বাজারে দেখা যায় অ্যাভোকেডো। এ ফলটি আমাদের
স্বাস্থ্যকর চড়বে এবং প্রায় বিশ রকমের এর চেয়ে বেশি ভিটামিন ও জ খনিজের উৎস
হিসেবে কাজ করে থাকে এ ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এছাড়াও আমাদের
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ।
পেঁপেঃ পেঁপে ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি উপকারী পেপে রয়েছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রক্তের শর্করা কে রাখে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য
করে এছাড়াও পেঁপে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তেমন ক্ষতি করে না কিন্তু পরিমাণ মতো
আপনাকে পেঁপে খেতে হবে।
বেরি জাতীয় ফলঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরও ফল হিসেবে গণ্য হলো বেড়িয়ে
জাতীয় ফল যেমন ব্ল্যাকবেরি স্ট্রবেরি ব্লুবেরি আপনি বেছে নিতে পারেন এগুলো আপনার
মিষ্টি খাওয়ার সাদ কে পূরণ করবে বেরি জাতীয় ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ফাইবার ও খনিজ শক্তিতে ভরপুর।
কামরাঙ্গাঃ কামরাঙ্গাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও ফাইবার যার ফলে
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষত শুকানো সহ অন্যান্য দিক ও কোষ মেরামত করতে সাহায্য করে
তার পরিমাণ মতো কামরাঙ্গা খেতে পারেন।
নাশপাতিঃ নাশপাতি অনেকটা আপেলের মতোই নাশপাতি তে রয়েছে অনেক
পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ভিটামিন সমূহ যা হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এছাড়াও
টাইপ টু ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
পরিমিত পরিমাণে নাশপাতি খেতে পারেন।
কমলাঃ কমলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভালো ফল কমলাতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণ ফাইবার যা আমাদের শরীরের রক্তে শর্করাকে ধীরগতিতে শোষণ করে ফেলে এবং কমলা
তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যেগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করতে সাহায্য করে এছাড়াও কমলাতে ভিটামিন এ ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় - ডায়াবেটিস হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায়
শরীরে ডায়াবেটিস শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডায়াবেটিস নির্ণয়ের পরেও সুস্থ থাকার জন্য, আপনার জীবন পরিচালনা করার সময়
অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি হলঃ
- খুব তৃষ্ণার্ত ।
- অতিরিক্ত প্রস্রাব, বিশেষ করে রাতে।
- শারীরিকভাবে ক্লান্ত বোধ করা ।
- স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজন কমে ।
- তারা এমন রোগে ভোগে যা শরীরে ব্যথা সৃষ্টি করে ।
- দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া ।
- শরীর কাটা বা ছিঁড়ে গেলে, ক্ষত নিরাময়ে বিলম্ব হলে ইত্যাদি।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে মেয়েদের প্রজনন ক্ষমতা অনেক কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের
মতে, গর্ভাবস্থায় খুব অল্প শতাংশ নারীর ডায়াবেটিস হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে
দেখায় যে 12 থেকে 13 শতাংশ মহিলারা গর্ভবতী হওয়ার আগে ডায়াবেটিস তৈরি করে।
যেসব মহিলার ডায়াবেটিস আছে কিন্তু গর্ভবতী হতে চান তাদের প্রয়োজনে বিশেষ
সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিতে হবে এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন রেটিনা,
কিডনি,নার্ভ, রক্তনালীর রোগ এবং জরায়ুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশু গর্ভধারণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ - কি খেলে ডায়াবেটিস হবে
ডায়াবেটিস রোগীদের ফাইবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কারণ আঁশযুক্ত খাবার
খাওয়ার পর তা ধীরে ধীরে শরীরে শোষিত হয়, ফলে খুব দ্রুত সুগার বেড়ে যাওয়ার
আশঙ্কা থাকে না।
ফাইবারযুক্ত খাবারগুলি হলঃ
- শাকসবজি
- ফল
- বিভিন্ন ধরনের আবেগ
- বিভিন্ন ধরনের ফসল ইত্যাদি
এটা মনে রাখা উচিত যে ডায়াবেটিস রোগীদের তাজা ফল এবং সবজি খাওয়ার চেষ্টা করা
উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত কারণ নিয়মিত ব্যায়াম ওজন
বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সংবেদনশীলতা বাড়ায়।
যখন ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, তখন শরীর আরও ইনসুলিন তৈরি করে যা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের পেশী কোষগুলিকে সঠিকভাবে
ইনসুলিন শোষণ করতে সাহায্য করে।ব্যায়ামের ক্ষেত্রে, রুটিন অনুযায়ী ব্যায়াম করা
ভালো।
শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ
থেকে ছয় দিন ব্যায়াম করা ভালো।
ব্যায়ামের পরিপ্রেক্ষিতে, সমস্ত ব্যায়াম করা যেতে পারেঃ
- হাঁটাচলা
- সাইকেল চালানো
- সাঁতার কাটা
- জিম ইত্যাদি
জিমের পাশাপাশি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য তালিকায় ফল রাখতে হবে যাতে
অন্ত্রগুলো ঠিকমতো কাজ করে এবং শক্তির যোগান পাই।
ডায়াবেটিস লক্ষণ - দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়
সাধারণত ডায়াবেটিসের উপসর্গ দুই ধরনের হয়ে থাকে। বেশি ডায়াবেটিস হলে ক্ষত
সারতে সময় লাগে। তুলনামূলকভাবে কম ডায়াবেটিসের প্রকোপ সহ ক্ষত দ্রুত নিরাময়
হয়। ডায়াবেটিসের কিছু লক্ষণ হলো: দ্রুত ওজন কমে যাওয়া, অদ্ভুত গন্ধ, হাত-পা
কাঁপুনি।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রতি রাতে সঠিক সময়ে খেতে হবে।
খাবারে পরিমাণ মতো খান বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডায়াবেটিস থাকলে ভাতের বদলে রুটি
খান।ডাক্তাররা তাজা শাকসবজি এবং ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন এবং আপনাকে অবশ্যই কাঁচা
লবণ বা চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা কিছু
নিয়ম মেনে চললে এড়ানো যায়।
সাধারণ প্রশ্নাবলী(FAQ)
প্রশ্নঃ ডায়াবেটিস হলে কোন কোন খাবার খেতে হবে?
উত্তরঃ ডায়াবেটিস হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণ সবুজ শাকসবজি খেতে হবে এছাড়াও
ফুলকপি বাঁধাকপি লেটুস পাতা খেতে পারেন সবুজ শাকসবজি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে
সাহায্য করে কেননা এতে রয়েছে কম পরিমাণে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট।
প্রশ্নঃ খাওয়ার পর ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল হয়?
উত্তরঃ খাওয়ার পর অর্থাৎ আপনি যখন থেকে খাবেন তখন থেকে দুই ঘন্টা পর যদি আপনার
ব্লাড সুগার মাপা হয় এবং আপনার ব্লাড সুগারের পরিমাণ যদি 6. 1 থেকে 6. 9 হয়
তাহলে তার নরমাল ধরা হয়।
প্রশ্নঃ ডায়াবেটিস হলে কি গরুর মাংস খাওয়া যায়?
উত্তরঃ ডায়াবেটিস হলে আপনি গরুর মাংস সীমিত পরিমাণে দুই এক পিস খেতে পারেন
কিন্তু সেটা চর্বি মুক্ত হতে হবে এবং অবশ্যই আপনাকে নিজের ডায়াবেটিসের উপর
নির্ভর করে গরুর মাংস খাবেন।
প্রশ্নঃ কি ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে?
উত্তরঃ সাধারণত বেরি জাতীয় ফল যেমন স্ট্রবেরি ব্ল্যাকবেরি এগুলো খাওয়া যায়
কেননা এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ভিটামিন যুক্ত এছাড়াও আপনি আপেল
নাশপাতি খেতে পারেন এগুলো রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
শেষ কথাঃডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না
সম্মানিত পাঠক আমরা তখন আলোচনা করছিলাম
ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না ও ডায়াবেটিসের খাদ্য তালিকা এবং
ডায়াবেটিসের জন্য কী কী ভালো । আপনি যদি ডায়াবেটিসের জন্য ভাল কী তা জানতে চান
তবে এই পোস্টটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিসের জন্য ভালো কী সে
বিষয়ে কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
আমাদের ওয়েবসাইট অনুসরণ করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।
NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url