আপেলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কমলালেবু ছোট হয় কেন - চায়না কমলা গাছ চেনার উপায়আপেল আমাদের সবার
পরিচিত একটি ফল আপেলের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা অনেকে জানেন আবার অনেকে
জানেন না । আজকে আমরা আপেলের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব আপনি যদি আপেলের
উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য।
পোস্ট সূচীপত্রঃআমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এছাড়াও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
কমাতে কিংবা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে আপেল অনেক বেশি উপকারী । আপেল খেলে আমাদের
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এমনকি আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে আপেলের অনেক
বেশি উপকার পাওয়া যায়। চলুন তাহলে আপেলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে
আসি।
ভূমিকাঃআপেলের উপকারিতা
আপেলের উপকারিতা অনেক বেশি তাছাড়াও বাচ্চারাও আপেল খেতে পারে সে সম্পর্কেও আমরা
আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করব ।মায়ের দুধ ছাড়াও, বাচ্চাদের 6 মাস বয়সের পরেই
খাওয়া শুরু করে। এতে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। এই পরিবর্তনের
সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বাচ্চাদের এই সময়ে হালকা খাবার দিতে হবে।
আমাদের অনেক পাঠক বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে প্রশ্ন করেন- আপেল খেলে
কি গ্যাস হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে- আপেল
খেলে কি গ্যাস হয়?আপনি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকলে, বাচ্চারা আপেলের নিয়ম
সম্পর্কে শিখতে পারে - আপেল শব্দটি কী। বাচ্চাদের জলে আপেল খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে কথা বলা যাক -আপেলের নিয়ম।
বাচ্চাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম - আপেল খেলে কি গ্যাস হয়?
আপেল রান্না করে বাচ্চাদের খাওয়ানো যেতে পারে কারণ এটি আপনার বাচ্চাদের হজমে
সাহায্য করবে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি করে যখন বাচ্চাদের ছয় মাস পরে
তাদের প্রথম খাবার খেতে শুরু করে, বুকের দুধ বাদ দিয়ে। এটি মূলত কারণ বাচ্চাদের
পরিপাকতন্ত্র নতুন খাবারে অভ্যস্ত হতে কিছুটা সময় নেয়।
বিকেলে বা রাতে আপেল খাওয়া হজম এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা ব্যাহত করে, অর্থাৎ
রাতে আপেল খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া দীর্ঘ সময় পর অস্বস্তি হয়।
আপেলে থাকা জৈব অ্যাসিড পাকস্থলীর অ্যাসিড বাড়ায় এবং অন্ত্র প্রক্রিয়ায়
সাহায্য করে।
আপেলের উপকারিতা
আপেল খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী ন। সেজন্য পুষ্টিবিদরা একজন
সুস্থ ব্যক্তিকে প্রত্যেকদিন একটি করে আপেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । আজকে
আমরা জানবো আপেল এর উপকারিতা সম্পর্কে। আপনি যদি আপেলের উপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই অংশটুকু ভালো করে পড়ুন ।
দাঁতের জন্য ভালোঃ আমাদের দাঁতের সুস্থতার জন্য আপেল খাওয়া অনেক বেশি
ভালো ।এছাড়াও যারা ঝকঝকে সাদা দাঁত চান তাদের জন্য আপেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে একজন মানুষ যখন আপেলে কামড় দেয় এবং চিবুতে থাকে তখন
মুখের ভিতরে এক ধরনের লালা সৃষ্টি হয় । যেটা দাঁতে কোনাই ঢাকা ক্ষতিকর
ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে আসে এজন্য দাঁতের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় না । তাই দাঁতের
জন্য আপেল অত্যন্ত উপকারী।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ আপেল খাওয়ার অন্যতম উপকারিতা হলো মরণব্যাধি
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আমেরিকার আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফ্রম
ক্যান্সার রিসার্চ পক্ষ থেকে বলা হয়েছে । আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্ল্যাভোনল
ও ট্রিটারপেনয়েডস উপাদান এগুলো লিভার স্তন কলোনির মধ্যে ক্যান্সারে কোষ বেড়ে
উঠতে বাধা প্রদান করে । এছাড়াও একটি আপেলে যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে সেটা
মলাশয়ের ক্যান্সার হতে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেঃ বর্তমান সময়ে প্রায় শহর কিংবা গ্রামে
ডায়াবেটিসের রোগী দিনে দিনে প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ডায়াবেটিসের
ঝুঁকি কমাতে আপেল খাওয়া অনেক বেশি উপকারী । যারা প্রতিদিন একটি করে আপেল খায়
তাদের 28% ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। আমরা জানি আপেলে রয়েছে ফাইবার সেটা
আমাদের রক্তের শর্করা ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে ।
কোলেস্টরে মাত্রা কমায়ঃ আমাদের শরীরে কোলেস্টোরে মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে
বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমন ডায়াবেটিস হার্ট সহ অন্যান্য রোগ ব্যাধি।
তাই রক্তে কোলেস্টরে মাত্রা সঠিক রাখতে প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া অনেক বেশি
ভালো।
হার্ট ভালো রাখতেঃ আমরা যারা আপেলে খোসা সহ চিবিয়ে খায় তাদের জন্য আরও
একটি উপকার হলো হার্ট ভালো থাকা। আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার এবং সেই সাথে
ফেনলিক উপাদান যেটা রক্তনালের কোলেস্টরে দূর করতে সাহায্য করে । এর জন্য আমাদের
শরীরের হাটের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে তাই হার্ট ভালো থাকবে।
গলস্টোন দূর করতেঃ আমাদের পিত্তির থলির মধ্যে বেশি পরিমাণে কোলেস্টের জমাট
হলে তখন তা গলে স্টোন হয়ে থাকে এজন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য বা
ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে এজন্য বলিস্টোন কমাতে ওজনের সাথে কোলেস্টরে মাত্রা
কমানোর জন্য বলা হয়ে থাকে তাই এমন অবস্থায় আপেল খুবই উপকারী ফল।
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায়ঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তাড়া নিয়মিত
একটি করে আপেল খেতে পারেন আপেল খেলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং পেট
পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে সেই সঙ্গে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে তাই
কোষ্ঠকাঠিন্যতে আপেল খাওয়া উত্তম।
শারীরিক ওজন কমাতেঃ আপনারা যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত আবার অনেক
সময় ভাবেন কোন ফল গুলো খেলে খিদে মিটবে কিন্তু ওজন বৃদ্ধি করবে না ।সে ফলগুলো
খুঁজে থাকেন আপনাদের জন্য আপেল ফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।কেননা আপেলে যে
পরিমাণ ফাইবার রয়েছে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও শরীরের নানান রোগ ব্যাধি
থেকে মুক্তি পেতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
লিভারের সুস্থতায়ঃ বর্তমানে অনেক ফল রয়েছে যেগুলো খেলে আপনার লিভারের
অনেক সময় ক্ষতি হতে পারে কিন্তু আপেল খেলে আপনার লিভার সম্পূর্ণ সুস্থ থাকবে
কেননা আপেলের উপাদানের মধ্যে তেমন কোন ক্ষতিকারক পদার্থ নেই তাই লিভারের সুস্থতার
জন্য আপেল খাওয়া যায় ।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ আপেলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে ।আমাদের শরীর অনেকটাই সুস্থ থাকে পুষ্টিবিদ বিশেষজ্ঞরা এজন্য
প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার উপদেশ দেন।
খালি পেটে আপেল খেলে কি হয় - আপেল খাওয়ার উপকারিতা
আমরা যদি খালি পেটে আপেল খাই তাহলে আমাদের হাট সুস্থ থাকে এবং আপেলে রয়েছে
ফাইবার যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া
আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম, যা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমায়।
গবেষণায় দেখা গেছে প্রচুর পরিমাণে আপেল খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়।
আমরা সবাই জানি যে খালি পেটে আপেল খাওয়া হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং আপেল
ফাইবার সমৃদ্ধ।
তবে সবকিছুর উল্টো দিক থাকলেও, খারাপ দিকটি হল যে অনেক বেশি আপেল গ্যাসের সমস্যা
সৃষ্টি করতে পারে। বিকেলে এবং সন্ধ্যায় আপেল খাওয়া উচিত নয়, এই সময়ে আমাদের
শরীর একটি শিথিল মুহূর্তে প্রবেশ করে যখন শরীর আপেলকে সঠিকভাবে প্রক্রিয়া করতে
পারে না, যার ফলে গ্যাস তৈরি হয়।
আপেল খাওয়ার অপকারিতা - আপেল রান্না করলে কি হয়
আপেলে ম্যালিক অ্যাসিড থাকে, যা হাইপার অ্যাসিডিটির জন্য দায়ী এবং আপেল
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া গবেষণায় বলা হয়েছে, বেশি পরিমাণে আপেল খেলে
কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আপেলে রয়েছে ফাইবার, যা বাচ্চাদের
অন্ত্রের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। আপেল এমন এক ধরনের খাবার যা সহজে হজম হয়।
আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি, যা বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে
সাহায্য করে।বাচ্চাদের 6 মাস বয়স না হওয়া পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত এবং
তারপর ধীরে ধীরে কঠিন পদার্থের সাথে পরিচিত হওয়া উচিত। তবে প্রথমে কোন দানা নেই।
রান্না করা আপেল বাচ্চাদের খাওয়ানো সহজ এবং আপনার বাচ্চাদের হজমে সাহায্য করবে।
আপেলে কি ভিটামিন আছে- আপেল খাওয়ার নিয়ম
একটি মাঝারি আকারের আপেলে থাকে 95 গ্রাম ক্যালোরি, 25 গ্রাম স্যাচুরেটেড
কার্বোহাইড্রেট, 4 গ্রাম ফাইবার, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন কে। আপনি যদি
প্রতিদিন আপেল খেতে চান তবে আপনাকে একটি আপেল খেতে হবে। এটিকে সমর্থন করার জন্য
প্রতিদিন খালি পেটে। আপনার ইমিউন সিস্টেম। আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি, প্রোটিন এবং
অন্যান্য উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে বিশেষভাবে উপকারী।
আপেল সাইডার ভিনেগার সেবনের নিয়ম- আপেল সাইডার ভিনেগারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
খাবারের আধা ঘণ্টা আগে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ আপেল সাইডার মিশিয়ে খেলে
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আপনার যদি গলা ব্যথা বা টনসিল থাকে
তাহলে ঘুমানোর আগে এক কাপ গরম পানিতে আপেল সাইডার ও ভিনেগার মিশিয়ে নিতে পারেন।
অনিদ্রায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা রাতেও এটি খাওয়া উচিত নয়। আপেল সাইডার ভিনেগারে
উচ্চমাত্রার অ্যাসিড উপাদান থাকে, তাই এটি খাওয়া দাঁতের এনামেল নষ্ট করে আপনার
দাঁতের ক্ষতি করতে পারে।
আপেল খাওয়ার সঠিক সময়
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে আপেল খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? তাই আজকে আমরা
আপেল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে আলোচনা করব অনেকে বলেন আপেল খাওয়ার সঠিক সময়
সকালে কিংবা বিকালে অনেকে বলেন আপেল যেকোনো সময় খাওয়া যায় কিন্তু আপেল খাওয়ার
কি কোন নির্দিষ্ট সময় রয়েছে চলুন তাহলে সে সম্পর্কে জানে ।
অনেকের অভ্যাস রয়েছে প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া তাদের জন্য আপেল সকালে
খাওয়াই ভালো । কেননা আপেলের ভরপুর ফাইবার সকালে অনেকটা পুষ্টি শক্তি দিয়ে থাকে
এছাড়াও হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে আপেল সাহায্য করে থাকে।
বিভিন্ন পুষ্টিবিদ বিজ্ঞানীরা মনে করেন সকাল বেলা আপেল খাওয়ার সঠিক সময় । কেননা
আপেলের খোসা ও আস আমাদের জন্য উপকারী অনেকের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়ার কারণে
হজমে সমস্যা হয়ে থাকে । সে দিক থেকে সে যদি সকালে আপেল খায় তখন তার সারাদিনে
হজম ক্রিয়া সুন্দর সুস্থ ভাবে হবে তাই আপেল খাওয়ার সঠিক সময় সকালেই বেছে
নেওয়া হয়েছে।
যারা রাত্রেবেলা আপেল খান তাদের অনেক সময় গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং যার ফলে
শরীরটা অস্বস্তি ফিল করে তার সবদিক বিবেচনা করে আপেল খাওয়ার সঠিক সময় হল
সকালবেলা এতে করে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
আপেল খেলে কি ওজন বাড়ে
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে আপেল খেলে কি ওজন বাড়ে? চলুন জেনে নেওয়া যাক যে
আপেলে কি সত্যি ওজন বাড়ে।
আপেলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার ও পানি যা আপনার পেটকে ভরিয়ে রাখবে ও
ক্ষুধা লাগা থেকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত বিরত থাকবে এদিক থেকে নিশ্চয়ই আপেল ওজন কমাতে
সাহায্য করবে ওজন বাড়াতে নয়।
আপেলে রয়েছে কম পরিমাণ ক্যালরি এবং বেশি পরিমাণ জল ও ফাইবার তাহলে এদিক থেকেও
বোঝা গেল ক্যালোরি কম থাকায় আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে পারবে না আপেল।
আপেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম শর্করা সহ নানান উপাদান
সমূহ যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।কেউ যদি প্রতিদিন একটি করে
আপেল খায় তাহলে তাকে অসুস্থতা থেকে অনেক দূরে থাকতে হবে । তাহলে বোঝা গেল যে
আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে আপেল খান তাহলে আপনার ওজন বাড়বে না বরং ওজন কমাতে
সাহায্য করবে।
গর্ভাবস্থায় আপেল খাওয়ার উপকারিতা
আপেলে রয়েছে শর্করা , ফলিক অ্যাসিড , চিনি , পটাশিয়াম , ক্যালসিয়াম , লৌহ ,
ম্যাগনেসিয়াম , ভিটামিন বি , অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এছাড়াও আরো অন্যান্য উপাদান
সমূহ তাই আপেল আমাদের শরীরের রক্তচাপ ও রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
।
আপেল আমাদের হার্ট ও ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী ফল এছাড়াও হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে
আপেল সাহায্য করে । আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা
আমাদের শরীরের কোষ গুলোকে সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে থাকে।
হজমের জন্যঃ আপেল আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কেননা আপেলে
রয়েছে ফাইবার যা হজম শক্তির ক্রিয়াকে সুন্দরভাবে তৈরি করে সাথে গ্যাসের সমস্যা
দূর হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন সময় হরমোন পরিবর্তনের
কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকে সেজন্য গর্ভবতী মায়েরা আপেল খেতে পারেন ।
কেননা আপেল হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
আয়রনের যোগান দিতেঃ গর্ভকালীন সময় গর্ভবতী মায়েদের রক্তের হিমোগ্লোবিন
অনেক সময় কম থাকে আর হিমোগ্লোবিন কম থাকায় শিশুর সমস্যা হতে পারে । তাই আয়রন
অভাব দূর করতে গর্ভবতী মায়েরা আপেল খেতে পারেন । আপেলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ যা
আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ একটি আপেলে যে পরিমাণ উপাদান সমূহ রয়েছে তা
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।আপনি যদি নিয়মিত একটি করে আপেল খান
তাহলে রোগবালাই থেকে আপনাকে অনেক দূরে রাখবে । তাই গর্ভবতী মায়েরা
গর্ভকালীন সময় আপেল খেতে পারেন আপেলে থাকা ইমিউন সিস্টেমকে ভালো রাখতে সাহায্য
করে।
শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতেঃ গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে
আপেল সাহায্য করে কেননা মায়ের গর্ভে যখন তার শিশু দিন দিন বেড়ে ওঠে তখন তার
শারীরিক শক্তির প্রয়োজন রয়েছে সেজন্য গর্ভবতী মা আপেল খেলে উপকার পাবে।
শরীরের ও হাড়ের গঠন করতেঃ আপেল এমন একটি ফল যা আমাদের শরীরের সবদিক উপকৃত
করতে সাহায্য করে ।তেমনি গর্ভবতী নারী ও তার পেটে থাকা সন্তানের শরীরও হাড়ের
সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে । আপেলে থাকা ক্যালসিয়াম গর্ভবতী মায়ের শরীর ও
হারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে তাই গর্ভকালীন সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ আপেল
খাওয়া যায়।
হার্ট ভালো রাখার জন্যঃ গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের শেষের দিকে অনেক
কষ্ট হয়ে থাকে বুক জ্বালাপোড়া সহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয় এছাড়াও কোলেস্টরে
মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে গর্ভবতী মায়ের আপেল খাওয়া ভালো।
শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতেঃ গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় শিশুর ওজন বৃদ্ধি
করতে আপেল অনেক বেশি সাহায্য করে । কেননা শেষের দিকে গর্ভবতী মায়েরা খাওয়া
দাওয়া অনেকটা কম করে থাকে ।যার ফলে গর্ভের শিশুর ওজন বৃদ্ধি এমন হয় না তাই
সেজন্য একজন একটি করে আপেল খেতে পারেন।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করেঃ আপেল খেলে গর্ভকালীন
সময় যে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে । সেটা থেকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে কেননা আপেলে
থাকা ভিটামিন উপাদান সমূহ রক্তের শর্করা মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ।
এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধেঃ শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে আপেল খাওয়া অনেক বেশি ভালো
আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ফুসফুসকে শক্তিশালী
করতে সাহায্য করে । সেজন্য গর্ব অবস্থায় একজন গর্ভবতী মা আপেল খেতে পারেন তাতে
করে গর্ভবতী মা ও গর্ভের বাচ্চা দুজনাই ভালো থাকবে ।
সাধারণ প্রশ্নাবলী(FAQ)
প্রশ্নঃ প্রতিদিন আপেল খেলে কি উপকার পাওয়া যাবে?.
উত্তরঃ আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে আপেল খান তাহলে অবশ্যই আপনি উপকৃত হবেন। আপেলে
থাকা যে সকল পুষ্টি উপাদানসমূহ রয়েছে যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পটাশিয়াম
ম্যাগনেসিয়াম হাইবার প্রোটিন যেগুলো আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে
হার্টকে ভালো রাখতে এছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
থাকে।
প্রশ্নঃ খালি পেটে আপেল খাওয়া যায় কি?
উত্তরঃ পুষ্টিবিদরা সবসময় সকালে খালি পেটে আপেল খেতে বলেন কেননা আপেলে রয়েছে
আয়রন প্রোটিন যেগুলো আমাদের শরীরের সারাদিনের এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ রাতে আপেল খেলে কি হয়?
উত্তরঃ রাতে আপেল খেলে অনেক সময় আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে
এছাড়াও পেট জ্বালাপোড়া বা পেট ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য আপেল খাওয়ার সঠিক
সময় হলো সকালে।
প্রশ্নঃ আপেল খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি?
উত্তরঃ বিভিন্ন পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে আপেল খাওয়ার সঠিক সময় হল সকাল বেলা। যারা
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হয় এছাড়াও অনেকের যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা
সকালবেলা একটি করে আপেল খেলে তাদের সারাদিনে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
প্রশ্নঃ আপেল খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ আপেল খেলে ওজন বাড়ে না আপেলে রয়েছে ফাইবার ও পানি যা আমাদের শরীরের
পুষ্টি যোগান করতে সাহায্য করে। আপেলে ক্যালরির পরিমাণ কম রয়েছে তাই আপেল খেলে
ওজন বৃদ্ধি হয় না।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন কয়টা করে আপেল খাওয়া যায়?
উত্তরঃ প্রতিদিন আপনি নিয়মিত সকাল সময় একটি করে আপেল খাবেন যা আপনার শরীরের
জন্য ভালো হবে আপনি যদি বেশি পরিমাণে খেতে যান তখন আপনার সমস্যা হতে পারে যেমন
পেট ভারী হওয়া সুগার থাকলে সুগার বেড়ে যাওয়া তাই নিয়ম করে একটি আপেল খাওয়া
উত্তম।
শেষ কথাঃআপেলের উপকারিতা
সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করলাম আপেলের উপকারিতা সম্পর্কে।আজকের আর্টিকেলটি
আশা করি আপনাদের আপেল সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন ।আপেল আমাদের জন্য খুব
একটি উপকারী ফল আপেলে যে পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট ফাইবার পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম
ক্যালসিয়াম ক্যালরি শর্করা । এছাড়াও আপেল খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম
থাকে ডায়াবেটিস রোগ থেকে ঝুঁকি কমার সাহায্য করে থাকে ।তাই সুস্থ থাকার জন্য
প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া উত্তম।
NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url