টিবি রোগের লক্ষণ - টিবি রোগীর খাবার তালিকা
সিজারে পর খাওয়ার তালিকা জেনে নিনটিবি রোগ আমরা অনেকে এই রোগ সম্পর্কে জানি আবার
অনেকে জানেন আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা টিবি রোগ সম্পর্কে আলোচনা করব। টিবি রোগ কেন
হয় কিভাবে হয় টিবি রোগের লক্ষণ গুলো কি কি এবং টিবি রোগ আছে কিনা সে সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃআপনি যদি টিবি রোগ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ুন
এছাড়াও টিবি রোগের চিকিৎসা কি কি এবং কিভাবে দ্রুত সময়ে মধ্যে টিবি রোগ ভালো
করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে চলুন তাহলে আমরা টিবি রোগ সম্পর্কে জেনে
আসি।
টিবি রোগ কেন হয়
টিবি রোগ আক্রান্ত হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে আবার আমরা মনের অজান্তে এই রোগে
আক্রান্ত হতে পারে ।কেননা টিভি রোগটি ছড়ায় কাশি হাঁচি কথা বলা সময় থুতু বের
হয়ে আসেন ইত্যাদি কারণে। যেমন আমরা অনেক সময় যখন কথা বলি কথা বলার সাথে কাশি বা
হাঁচি দিয়ে থাকে তখন আমরা বাতাসে এক ধরনের মাইক্রো ফোটা ছাড়ই। আরে এই
মাইক্রোড্রপলেট এগুলোই হল টিবি । যাদের শরীরে টিবি রোগ রয়েছে তারা যখন বাতাসে
মাইক্রো ছেড়ে দেয় ।
তখন অন্য ব্যক্তির টিবি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। এভাবে টিবি
রোগ প্রতিনিয়ত মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে যা টিবি নির্ণয় করা অনেক সময় কঠিন
হয়ে পড়ে। টিবি রোগ একটি পুরনো রোগ অনেক বছর ধরে এই রোগ পৃথিবীতে রয়েছে এমন এক
সময় ছিল যখন টিবি রোগ হতো কোন ব্যক্তি তখন সে প্রায় মারা যেত সঠিক চিকিৎসার
অভাবে পৃথিবীতে প্রায় চার মিলিয়ন মানুষ টিবি রোগ আক্রান্ত এর মধ্যে প্রায় ২০
শতাংশ বেশি মারা যায় ।
এছাড়াও টিবি বা যক্ষা রোগের প্রধান কারণ হচ্ছে এইচআইভি রোগ আক্রান্ত হলেন
বর্তমানে এইচএবি রোগের সংখ্যা অনেক বেড়েছে এবং পাশাপাশি অনেক মানুষ এ রোগে
আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে কেননা এইচআইভি রোগের সঠিক কোন চিকিৎসা আজ পর্যন্ত বের
হয়নি। টিবি রোগ এক ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া মাধ্যমে ছড়ায় । মাইক্রো
ব্যাকটেরিয়া টিউবার কুলোসিস এর ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমণ হয়ে টিবি ছড়ায় যদি
কোন ব্যক্তি টিবি রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তার শ্বাস-প্রশ্বাস হাঁচি কাশির
মাধ্যমে এবং মুখে কথা বলার সময় থুতু বেড়ে আসা মাধ্যমে অন্য মানুষ টিবি রোগে
সংক্রমণ ঘটে।
টিবি রোগের লক্ষণ
একজন ব্যক্তি যখন টিবি রোগে আক্রান্ত হয় তখন তার শারীরিক অনেক কিছু পরিবর্তন
লক্ষ্য করা যায়। টিবি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সর্দি কাশি সহ ক্ষুধা মন্দ জর
ইত্যাদি সিমটমগুলো প্রকাশ পায় । তবে বি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপর পর্যালোচনা
করে এই টিবি রোগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
প্রথমতঃ সুপ্ত রক্ষাঃ সুপ্ত যক্ষা বা টিবি বলতে বোঝায় একজন ব্যক্তি টিবি
রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেও তার শারীরিক কোন উপসর্গ বা লক্ষণ গুলো বোঝা যায় না ।
এই ধরনের টিবি যার আক্রান্ত তাদের ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন
রয়েছে কেননা চিকিৎসা না করলে পরবর্তীতে সক্রিয় টিবি হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়তঃ সক্রিয় টিবি বা যক্ষাঃ সক্রিয় টিবি বলতে বোঝায় আপনি টিবি
আক্রান্ত হয়ে পড়ে অর্থাৎ অন্য ব্যক্তির দ্বারা যে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস পানির
ফোটার মাধ্যমে বাতাসে ছড়ায় এবং তা আপনাকে সংক্রমণ করেছে ফলে আপনার দেহে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় আপনি টিবি আক্রান্ত হয়ে ছেন।
টিবি রোগের লক্ষণ গুলো দেওয়া হলঃ
দীর্ঘ সময় কাশিঃ যদি আপনার কাশি তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অবিরাম হতে
থাকে তাহলে আপনার টিবি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে । কেননা টিবি রোগে
আক্রান্ত ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় কাশির লক্ষণগুলো দেখা যায়।
ক্ষুধামন্দাঃ যে সকল ব্যক্তি টিবি রোগে আক্রান্ত তাদের ক্ষুধার বেশি লাগে
না যার ফলে তারা দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই তাই টিবি রোগের অন্যতম লক্ষণ হলো
ক্ষুধা মন্দা হওয়া।
অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়াঃ অতিরিক্ত পরিশ্রম ছাড়াই ক্লান্ত হয়ে পড়লে
এবং সেটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসলে সেটা টিবি রোগের লক্ষণ হতে পারে। কেননা টিবি রোগে
আক্রান্ত হলে ব্যক্তির ক্ষুধা মন্দা সহ ক্লান্তি ভাব চলে আসে।
কাশি ও শ্বাসকষ্টঃ টিবি রোগে অন্যতম লক্ষণ হল কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট শুরু
হয় এবং শ্বাসকষ্ট সাথে ব্যথা ও থাকে যদি কেউ দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগেন
তাহলে তার টিবি পরীক্ষা করা উচিত।
রাতে অতিরিক্ত ঘামঃ যাদের রাতে অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হয় এবং সেটা
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে তাহলে তার টিবি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
শরীর ঠান্ডা অনুভব করাঃ টিবি রোগের অন্যতম লক্ষণ হলো মাঝেমধ্যে শরীর
ঠান্ডা অনুভব করা এগুলো জন্য টিবি রোগ পরীক্ষা করা উচিত।
দ্রুত ওজন কমে যাওয়াঃ যাদের ওজন স্বাভাবিকভাবে না কমে দ্রুতভাবে ওজন কমে
যাচ্ছে তাদের টিবি রোগ আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করা উচিত।
ঘন ঘন জ্বর হওয়াঃ টিবি রোগে আক্রান্ত হলে তার অন্যতম লক্ষণ হলো ঘন ঘন
জ্বর হওয়া। এবং জ্বরের সাথে সর্ব শরীর ব্যথা অনুভব করা।
টিবি রোগের পরীক্ষা
টিবি রোগের আক্রান্ত হলে পরীক্ষা করা প্রয়োজন রয়েছে ।কেননা এর পরিমাণ যদি বেশি
হয়ে থাকে তাহলে মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই আপনারা যারা মনে করছেন
উপরে লক্ষণগুলো আপনার মাঝে রয়েছে তাহলে তারা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
গিয়ে । এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে টিবি রোগ পরীক্ষা করাতে পারেন
বর্তমান সময়ে টিবি রোগীদের জন্য যে সকল ওষুধ প্রয়োজন সেগুলো সরকার থেকে
বিনামূল্যে দেয়া হয়ে থাকে ।
যারা টিবি রোগে আক্রান্ত তাদেরকে ডাক্তারেরা রোগের রক্ত পরীক্ষা বুকের এক্সরে
রিপোর্ট এছাড়াও কপ পরীক্ষা আরো অন্যান্য টেস্ট করার মাধ্যমে টিবি রোগ শনাক্ত করে
থাকেন। তবে টিবি রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ডাক্তাররা সর্বপ্রথম রোগের মেডিকেল
হিস্টরি শোনেন অর্থাৎ রোগের সাথে বিগত সময় গুলো কোন কোন লক্ষণ গুলো ছিল সে
সম্পর্কে জানতে চান যেমন কাশি কতদিন ধরে হচ্ছে জ্বর কেমন সময় থাকছে ইত্যাদি
সম্পর্কে ডাক্তাররা সেই উপসর্গগুলো বুঝে টিবি রোগের পরীক্ষা গুলো করতে দেয়া
হয়।
তবে যাদের কাশির সাথে রক্ত বের হয়ে আসে সেসব ক্ষেত্রে টিবি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা
অনেকটাই বেশি থাকে। তাই আপনার যদি উপরের লক্ষণগুলো দীর্ঘ সময় হয়ে আসে তাহলে
আপনি ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিয়ে টিবি রোগ পরীক্ষা করতে পারেন। টিবি রোগ
নির্ণয়ের জন্য সাধারণত ডাক্তাররা যে পরীক্ষা করে থাকেন সেগুলো হলো এম টি টেস্ট
,স্পুটাম টেস্ট, স্মিয়ার টেস্ট, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, কালচার টেস্ট, এফএনএসি
এছাড়াও সবচেয়ে আধুনিক জিন এক্সপার্ট পরীক্ষা করা হয়ে থাকে ।
টিবি রোগ কি ছোঁয়াচে
আমাদের আশেপাশে যখন কোন মানুষ বা পরিবারে কোনো সদস্য টিবি রোগে আক্রান্ত হয় তখন
আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে বসবাস করে আবার অনেকের মনে সংশয় জাগে যে টিবি রোগ কি
ছোঁয়াচে। টিবি রোগ ছোঁয়াচে কিনা এর সঠিক কথা হল যে ব্যক্তি টিবি রোগে আক্রান্ত
বা যক্ষা হয়েছে তখন তার আশেপাশে মানুষের টিবি রোগ হতে পারে টিবি রোগে সাধারণত
তারা হাঁচি কাশি মাধ্যমে ছাড়িয়ে থাকে। যেমন ধরুন কোন একজন ব্যক্তি আপনার বাসার
পাশে বা আপনার বাসার সদস্য তখন তার যদি টিবি রোগ ধরা পড়ে ।
তাহলে সে যখন হাসি বা কাশি দেয় তখন তার সামনে থাকলে তার হাঁচি বা কাশির সামনে
থাকলে যে ব্যাকটেরিয়া ছাড়ে ওই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আপনার টিবি রোগ হতে পারে।
তাই আপনার উচিত হলো আশেপাশের অথবা বাসার কোন সদস্য টিবি রোগে আক্রান্ত হলে তার
সামনাসামনি কথা বলার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করে কেন না তা সংস্পর্শে গেলে
আপনার টিবি রোগ হতে পারে বাসায় থাকলে অথবা বাসার বাইরে মাস্ক ব্যবহার করবেন।
টিবি রোগ এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ কেন না এই রোগটি হাঁচি কাশি ও থুতু মাধ্যমে
ছড়িয়ে থাকে।
টিবি রোগের প্রতিরোধের উপায়
যখন আপনি কোন টিবি রোগে ই আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন তখন কথা বলার সময়
মুখে মাক্স অথবা রুমাল ব্যবহার করবেন এবং তাও যদি সম্ভব না হয় মুখে হাত দিয়ে
রাখবেন কেননা টিবি রোগের জীবাণু ছড়ায় হাঁচি কাশির মাধ্যমে যারা টিবি রোগে
আক্রান্ত তারা যেখানে সেখানে থুতু-কফ না ফেলে কোন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে
হবে এবং কোথাও ফেলে রাখলে সেটা পরিষ্কার করে মুছে ফেলতে হবে।
যারা টিবি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারা কারো সামনে কথা না বলা বা যারা টিবি রোগের
সাথে কথা বলবেন তার একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বলবেন । যক্ষা রোগীকে
পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করতে হবে এবং যক্ষা রোগ ভালো না হওয়া পর্যন্ত সুস্থ
ব্যক্তিকে সে স্থান থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। এছাড়াও যক্ষা রোগ ভালো না হওয়া
পর্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে ।
এবং যক্ষা বা টিবি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সম্পন্ন
ওষুধ সেবন করতে হবে অর্থাৎ ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে রোগী যেন ওষুধের ফুল ডোজ শেষ
করে । তাহলে বুঝতে পারছেন সাবধানতা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মাধ্যমে এবং সচেতনতা
দিয়ে টিবি রোগ ভালো করা যায় ।
টিবি রোগ কি ভালো হয়
টিবি রোগ নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নাই। বর্তমান সময়ে প্রেক্ষিতে টিবি রোগ শনাক্ত
হলে এবং তার ঔষধ সঠিক মেয়াদ পর্যন্ত সেবন করলে টিবি রোগ ভালো হয় । আগে যুগে
অনেক মানুষ টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে কিন্তু বর্তমান সময়ে চিকিৎসা
পদ্ধতি উন্নত হয় মানুষ আর আগের মত টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে না ।
এছাড়াও বর্তমানে মানুষ সচেতন অর্থাৎ টিবি রোগ সম্পর্কে তারা জানতে পারছে এবং
কিভাবে ছড়ায় সেটাও বুঝতে পারছে । আর আপনাকে নিজেকে সতর্কতার সাথে চলাফেরা করলে
আপনি টিবি রোগ থেকে মুক্তি পাবেন । এছাড়াও টিবি রোগীদেরকে পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ
করতে হবে কেননা তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে । ফলে বলাই যায়
টিবি রোগ সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা পেলে ভালো হয়।
টিবি রোগ হলে করনীয়
যদি কোন ব্যক্তি শরীরের টিবি রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তাহলে দ্রুততার সাথে
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার
মাধ্যমে টিবি রোগ আছে কিনা সেগুলো দেখবে । বর্তমান সময়ে টিভি রোগীদের টিবি রোগ
শনাক্ত হলে এবং সময় অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে টিবি রোগ সম্পূর্ণভাবে ভালো হয়ে থাকে
। তাই আপনার যদি টিবি রোগের হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত ভাবে ডাক্তারের কাছে যোগাযোগ
করুন ।
মনে রাখতে হবে টিবি রোগ যেহেতু দীর্ঘ সময় পর প্রকাশ পায় তাই তার চিকিৎসায়
দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধ সেবন করতে হয় । মনে রাখতে হবে টিবি রোগীদের ওষুধ খাওয়ার
ক্ষেত্রে অবশ্যই ধৈর্য ধরে ডাক্তার যে কয় মাস ওষুধ প্রেসক্রিপশন করবে সম্পূর্ণ
ঔষধ সেবন করতে হবে । আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ মাস খেয়ে ভালো
হয়ে বাদ দেন কিন্তু সম্পন্ন মাস ওষুধ সেবন করেননি সে ক্ষেত্রে আপনার আবারো টিবি
সম্ভাবনা রয়েছে ।
এছাড়াও টিবি রোগেদের কে পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়াতে হবে। কেননা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে গেলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য প্রয়োজন রয়েছে সঠিক সময়ে যদি আপনি
টিবি রোগে চিকিৎসা না করা তাহলে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে । তাই টিবি রোগ
সম্পর্কে জানুন এবং সচেতন থাকুন।
টিবি রোগ হলে সহবাস করা যায়
টিবি রোগ হল এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ । এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে যাওয়া মানে
নিজে টিবি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে । কেননা আমরা পূর্বেই
বলেছি টিবি রোগ হল এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ । তাই টিবি রোগে আক্রান্ত হলে সে
ব্যক্তির সাথে নির্দিষ্ট দ্রুততা বজায় রাখা ভালো । তাই বলা যায় টিবি রোগে
আক্রান্ত হলে সহবাস করা থেকে বিরত থাকতে হবে । এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে ।
টিবি রোগের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
টিবি রোগের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন করে
দেবেন এবং আপনার উচিত হবে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা ।
এছাড়াও আপনার ফ্যামিলির যদি কেউ টিবি রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে আপনাকে নজর রাখতে
হবে যে সে ওষুধ সেবন করছে কিনা । এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে যে কয় মাস ওষুধ
সাজেস্ট করবে সে কয় মাসে ওষুধ সেবন করতে হবে । সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা নিলে টিবি
রোগ ভালো হয়।
টিবি রোগীর খাবার তালিকা
টিবি রোগী আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাবারের দিকে নজর রাখতে হবে । কারণ টিবি রোগে
আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করতে হবে । শরীরে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যে সকল খাদ্য পুষ্টিকর হিসেবে বিবেচিত এই
খাদ্যগুলোকে টিবি রোগে আক্রান্ত রোগীকে খাওয়াতে হবে । চলুন তাহলে টিবি রোগীদের
কোন খাবার গুলো পুষ্টিকর ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সে খাবার গুলো
সম্পর্কে জেনে আসি ।
ক্যালোরি নির্ভর খাবারঃ টিবি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একটি সমস্যা দেখা
দেয় সেটা হল দিন দিন ওজন কমে যাওয়া তাই তাদেরকে প্রচুর পরিমাণে যে খাবার গুলো
নে ক্যালোরি রয়েছে সে ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবারগুলো দিতে হবে । ক্যালোরি নির্ভর
খাবারগুলো হল যেমন কলা , বাদাম , গম ইত্যাদি ।
ভিটামিন যুক্ত খাবারঃ টিবি রোগীদের ভিটামিন যুক্ত খাবার সরবরাহ করতে হবে ।
যে সকল খাবারে ভিটামিন এ সি ই রয়েছে এমন খাবার দিতে হবে । যে সকল খাবারগুলো নেয়
আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A , C .E পাবেন সেগুলো হলো কমলালেবু , আম , গাজর ,
পেয়ারা , টমেটো , বাদাম , আমলকি টিভি রোগের জন্য এই খাবারগুলো খেতে পারে ।
প্রোটিন খাবারঃ প্রোটিনযুক্ত খাবার আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন রয়েছে
কিন্তু তার থেকে টিবি রোগী আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য অতি প্রয়োজনীয় । শরীরের রোগ
প্রতিরো ধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে প্রোটিন খাবার খেতে হবে । মাছ ও মুরগিতে প্রচুর
পরিমাণ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও তার সাথে প্রাণিজ প্রোটিন পাওয়া যায় এছাড়াও
পনির ,সোয়া , ডিম ইত্যাদি ।
জিংক যুক্ত খাবারঃ যে সকল খাবারে জিংক যুক্ত রয়েছে সে খাবারগুলো টিবি
রোগেদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জিংক
এর প্রয়োজন রয়েছে। এ খাবারগুলো হল দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, বাদাম, শিম,
মাশরুম ইত্যাদি। শাক–সবজিতে বিদ্যমান রয়েছে ।
সাধারণ প্রশ্নবলি(FAQ)
প্রশ্নঃ টিবি রোগ কি ছোঁয়াচে রোগ?
উত্তরঃ হ্যাঁ টিবি রোগ ছোঁয়াচে রোগ। তাই আপনাকে টিবি রোগে সাথে কথা বলার সময়
সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।
প্রশ্নঃ টিবি রোগ কি সম্পন্ন ভালো হয়?
উত্তরঃ টিবি রোগ যদি সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যায় তাহলে সম্পূর্ণভাবে টিবি
রোগ ভালো হয়
প্রশ্নঃ টিবি রোগীদেরকে কত দিন ওষুধ ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে?
উত্তরঃ টিবি রোগে ঔষধ সেবন এর ক্ষেত্রে একমাত্র ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন করে থাকেন
তার শারীরিক অবস্থার উপরে যে সে কতদিন টিবি রোগের ওষুধ সেবন করবেন ।
প্রশ্নঃ টিবি রোগ হলে সহবাস করা যায় কি?
উত্তরঃ টিবি যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ তাই টিবি রোগে আক্রান্ত হলে সহবাস না করাই উত্তম
। এছাড়াও আপনি ডাক্তারের কাছে পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন ।
শেষ কথা টিবি রোগের লক্ষণ
সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করলাম টিবি রোগের লক্ষণ ও টিবি রোগের আক্রান্ত
ব্যক্তিদের খাবার তালিকা নিয়ে । আশা করে আজকের এই পোস্টটিতে আপনারা টিবি রোগ
সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছে । তাই টিবি রোগে আক্রান্ত হলে কি করা লাগবে এবং
আপনার করণীয় কি সেটা আমাদের পোস্ট থেকে বুঝতে পারছেন । আজকের এই পোস্টটি ভালো
লেগে থাকলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন । এরকম আরো অন্যান্য তথ্য পেতে আমাদের
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ভালো থাকবেন ধন্যবাদ ।
NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url