যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা বিস্তারিত জানুন
ভিটামিন বি ১২ এর প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিত জানুনবর্তমান সময়ে মানুষ অসুস্থ
হলে তারা ঔষধের ওপর বিশ্বাস ও আস্থার সাথে সেবন করে থাকে। কিন্তু আমাদের চারপাশে
এমন কিছু ভেজস উদ্ভিদ রয়েছে যেগুলো অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয় ।
পোস্ট সূচীপত্রঃকিন্তু আমরা জানি না বা অনেকে চিনে না আবার কেউ চিনলে সেসব উদ্ভিদের ওপর বিশ্বাস
বা আস্থা পায় না । যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে এছাড়াও
অন্যান্য অসুখে থানকুনি পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আজকেরে আর্টিকেলটিতে আমরা
থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব । আপনার যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি
পাতার রস প্রতিদিন সকালে অথবা যে কোন সময় এক গ্লাস দুধের সাথে পাঁচ থেকে ছয়
চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে ।
আপনার মুখে সৌন্দর্য অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও থানকুনি পাতার রস পেটের
সমস্যার জন্য অনেক বেশি উপকার রয়েছে । বর্তমানে ঔষধের অনেক দাম বেড়ে গেছে
স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ওষুধ খাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য । এছাড়াও আমরা যে সকল ওষুধ
সেবন করে করে থাকে সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য
মোটেও ভালো না । কিন্তু আপনি যদি ভেজস উদ্ভিদের পাতা বা তার রস পরিমাণ মতো খান
তাহলে আপনার শরীর অনেকটাই ভালো থাকবে।
থানকুনি পাতার বৈজ্ঞানিক নাম
সকল উদ্ভিদের একটি করে বা তারও বেশি বিজ্ঞানসম্মত নাম রয়েছে তেমনি থানকুনি পাতার
একটি বিজ্ঞানসম্মত নাম রয়েছে চলন তাহলে থানকুনি পাতার বৈজ্ঞানিক নাম জেনে আসি ।
থানকুনি বৈজ্ঞানিক নাম হলঃCentella asiatica এটি আকারে খুব ছোট বর্ষজীবী ভেষজ
উদ্ভিদ। এছাড়াও বৈজ্ঞানিক পরিবারের ম্যাকিনলেয়াসি নামা অনুসারে তাকে এপিকেসের
উপপরিবার ধরা হয়ে থাকে ।
থানকুনি পাতা খাওয়ার উপকারিতা
থানকুনি পাতা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকার সে প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান
পর্যন্ত থানকুনির পাতা বিভিন্নভাবে ব্যবহার হয়ে আসে এটা আপনি খাবারের মধ্যে
মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা থানকুনি পাতা রস তৈরি করে খেতে পারেন । থানকুনি পাতা
উপকারিতা অনেক রয়েছে ।
যেমন থানকুনি পাতা রস আমাদের শরীরে কোন স্থানে কেটে গেলে সে ক্ষতস্থান ভালো করতে
থানকুনি পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে। আবার পেটের অসুখ দূর করতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
করতে , শরীরের রক্ত প্রবাহ সঠিকভাবে রাখতে থানকুনি পাতার রস ব্যবহার হয়ে থাকে ।
চলুন তাহলে থানকুনি পাতার রস বা থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসি ।
ত্বক সতেজ রাখতেঃ
বর্তমানে আমরা সবাই ত্বকের উপর অনেক বেশি যত্ন নিয়ে থাকি । তবে বাজারে অনেক
অসাধারণ রয়েছে যেগুলো আমরা ত্বকের সতেজতায় ব্যবহার করে থাকি । যা আমাদের শরীরের
জন্য অনেক সময় ক্ষতিকর দিক হয়ে প্রকাশ পায় । তাই আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে
ত্বকের সতেজ রাখতে থানকুনি পাতা ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন ।
থানকুনি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং তার সাথে রয়েছে
অ্যামাইনো এসিড যেটা উচ্চমানের । এজন্য থানকুনি পাতার ব্যবহার ফলে আপনার সৌন্দর্য
যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি আপনি শরীরে ক্লান্তি ভাব দূর করে ত্বকের সতেজতা ধরে রাখতে
সাহায্য করবে ।
মানসিক অবসাদ দূরঃ
মানসিক অবসাদ দূর করতে থানকুনি পাতার ব্যবহার সে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে ।
আপনারা যারা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য থানকুনি পাতা অনেক বেশি উপকারী ।
তবে এ ধরনের সমস্যায় থানকুনি পাতা রস নিয়মিত খেতে হবে তবে মিলবে মানসিক অবসাদ
দূর করার সমাধান । থানকুনি পাতায় রয়েছে এমন গুণান্বিত উপাদান যা সেরোটো নিন
হরমোন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয় যে কারণে স্ট্রে হরমোনের প্রভাব কমতে শুরু করে যার
ফলে অ্যাংজাইটি ও মানসিক অবস্থা থেকে প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে ।
ভালো ঘুমের জন্যঃ
বর্তমানে মানুষের অনেক সমস্যার মধ্যে একটি প্রধান সমস্যা হল ঘুম না আসা অর্থাৎ
অনেক মানুষের মুখে শোনা যায় ভালো করে ঘুম হয় না তাদের জন্য থানকুনি পাতার
ভেজানো পানে অনেক বেশি উপকারী কেননা এতে করে আপনার স্নায়ু শিথিল হবে এবং যার ফলে
আপনার ঘুম আরামদায়ক হতে সাহায্য করবে ।ভালো ঘুমের জন্য থানকুনি পাতার ব্যবহার
অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছি আমরা অনেকে তা জানি না । তাই ভালো ঘুমের জন্য নিয়মিত
পরিমান মত থানকুনি পাতা ভেজানোর পানি খেতে পারেন ।
পেটের সমস্যা দূর করতেঃ
পেটের সমস্যা দূর করতে প্রাচীন যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত থানকুনি পাতার ব্যবহার
হয়ে থাকে। পেটের রোগ বা সমস্যা দূর করতে থানকুনি পাতার উপকারিতা অনেক বেশি । কেউ
যদি নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেয়ে থাকে পরিমাণ মতো তাহলে তার পেটে সমস্যা থেকে
মুক্তি পাবে । এছাড়াও হজম শক্তি বৃদ্ধিতে থানকুনি পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে ।
পেটের ডায়রিয়া বা আলসার সমস্যায় সমাধানে থানকুনি পাতা ব্যবহার হয়ে থাকে ।
মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃ
কেউ যদি নিয়মিত থানকুনি পাতার ব্যবহার করে থাকে তাহলে তার শরীরে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও তার সাথে পেন্টাসাক্লিক ট্রিটারপেনস নামক উপাদান মাত্রা
বাড়তে শুরু করে যার ফলে ব্রেন সেলে অনেক সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে এবং
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।
আলসার দূর করতেঃ
আপনার পেটের আলসার দূর করতে থানকুনি পাতা অনেক বেশি উপকারী । কারো যদি পেতে আলসার
হয় এবং আলসারের পরিমাণ কম থাকে তাহলে সে নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে আস্তে আস্তে
আলসার নিরাময় করা যায় । তাই থানকুনি পাতার মাধ্যমে পেটের সমস্যাও দূর হয়ে থাকে
।
শরীরের জ্বালাপোড়া দূর করতেঃ
শরীরে জ্বালাপোড়া আমাদের অনেকেরই সমস্যা হয়ে থাকে যারা সাধারণত এই সমস্যায়
ভুগেন তারা থানকুনি পাতা ব্যবহার করতে পারেন । থানকুনি পাতা রয়েছে ম্যাডেকাসসাইড
যা ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করতে সাহায্য করে । এবং শরীরের মধ্যে তাপমাত্রার
নিয়ন্ত্রণ রেখে শরীরকে ঠান্ডা ও প্রশান্ত করে থাকে । বলা যায় থানকুনি পাতার
ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরের জ্বালাপোড়া দূর করা যায় ।
রক্ত প্রবাহ সচল করতেঃ
আমাদের মাঝে অনেকেরই থ্রম্বোসিসের সমস্যা থাকে এবং অনেকেরই দেহে শরীরের রক্ত
প্রবাহ হতে সমস্যা দেখা দেয় তাদের জন্য থানকুনি পাতা অনেক বেশি উপকারী কেননা
থানকুনি পাতার রস খেলে আপনার রক্তকে রাখে বিশুদ্ধ । এছাড়াও শরীরের প্রতি কোষে
অক্সিজেন বৃদ্ধি করতে থানকুনি পাতা রস সাহায্য করে এবং শারীরিক অনেক জটিলতা দূর
করতে থানকুনি পাতা উপকারিতা অনেক ।
যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতাঃ
তারুণ্য ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা অনেক বেশি । বর্তমানে আমরা যৌবন ধরে
রাখতে অনেকে চাই কিন্তু তারা সঠিক পরামর্শ পায় না । তাই আপনি যদি আপনার ত্বকের
উজ্জ্বলতা ও যৌবন ধরে রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সঙ্গে পাঁচ থেকে
ছয় চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খান এতে করে আপনার আস্তে আস্তে ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে তাই যৌবন ধরে রাখতে
থানকুনি পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ
শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে থানকুনি পাতা অনেক বেশি উপকারী কেননা
এতে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ
প্রতিরক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । এবং সেই সাথে শারীরিক নানা জটিলতা দূর
করতে সাহায্য করে । তাই প্রতিদিন পরিমাণ মত থানকুনি পাতার রস খেলে অনেক উপকারিতা
পাওয়া যায় ।
মুখের ঘা ও ব্রণ দূর করতেঃ
থানকুনি পাতা ব্যবহার করে মুখের মধ্যে ঘা ভালো করা যায় । এছাড়াও মুখে ব্রণ হলে
ব্রণের চিকিৎসায় থানকুনি পাতার ব্যবহার রয়েছে । কেননা থানকুনি পাতায় রয়েছে
এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ইনফাল মেটরি এই উপাদানগুলো ব্রণ থেকে মুক্তি লাভ করতে
সাহায্য করে । ব্রণের দাগ দূর করতে থানকুনি নির্যাস অনেক বেশি উপকারী ।
ঠান্ডা কাশি কমাতেঃ
শীতের সময় আমাদের অনেকেরই কাশির সমস্যা হয়ে থাকে তাই এই সমস্যা সমাধান করতে
থানকুনি পাতার রসের সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে খেলে কাশি ও শ্বাসতন্ত্রের অনেক
বেশি উপকার করে । এছাড়াও থানকুনি পাতার সাথে তুলসী পাতা ও পরিমাণ মতো গোলমরিচ
খেলে ঠান্ডা ও জ্বর নিরাময়ে কাজ করে থাকে। আপনার গলা ব্যথা ও কাশি নিরাময়ের
জন্য থানকুনি পাতার রসের সাথে সামান্য চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন ।
ত্বকের ক্ষত কমাতেঃ
শরীরের ক্ষত কমাতে অর্থাৎ কোন জায়গায় কেটে গেলে বা ক্ষত সৃষ্টি হলে সে ক্ষত
সারাতে থানকুনি পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে । ক্ষত স্থানে থানকুনি পাতার ব্যবহারের
মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে ক্ষত সারতে সাহায্য করে । তাই বলা যায় ত্বকের ক্ষত কমাতে
থানকুনি পাতা উপকারিতা রয়েছে ।
ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোদঃ
থানকুনি পাতাতে রয়েছে অনেক পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং সক্রিয় উপাদান যা
ম্যাডেকাসসাইড অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে কাজ করে থাকে । এতে করে আপনার দূষণ ও
সূর্যরশির অতিরিক্ত ক্ষতিকর থেকে ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে ।
এছাড়াও ত্বকের মধ্যে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে তাকে নমনীয় ও কোমল
করতে থানকুনি পাতা অনেক বেশি উপকারিতা পাওয়া যায় ।
চুল পড়া রোধ করতেঃ
আপনাদের যাদের চুল পড়ার মত সমস্যা রয়েছে তারা থানকুনি পাতা খেতে পারেন কেননা
থানকুনি পাতা নিয়ম অনুসারে খেলে মাথার স্কাল্পের ভেতরে পুষ্টি ঘাটতি দূর করতে
সাহায্য করে এর ফলে মাথার চুল পড়া সমস্যা দূর হয় এছাড়াও চুল পড়া রোধ করতে
থানকুনি পাতা ব্যবহার করতে পারেন ।
থানকুনির পাতা কোথায় পাওয়া যায়
থানকুনি পাতা আমাদের সবার অতি পরিচিত একটি ভেষজ উদ্ভিদ। আবার অনেকে থানকুনি পাতা
কোথায় পাবেন সেটা বুঝতে পারছেন না আসলে থানকুনি পাতা আমাদের আশেপাশে যারা গ্রামে
থাকেন সাধারণত তাদের পুকুরের পাড়ে বা কোন দিঘির পারে অথবা কৃষি আবাদে মাঠে আইলে
আশেপাশে দেখা যায়। এছাড়াও যারা শহরের মানুষ তারা বাজারে থানকুনি পাতা কিনতে
পাবেন ।
থানকুনি পাতা খেলে কি হয়
থানকুনি পাতা খেলে আপনার শারীরিক অনেক সমস্যায় সমাধান পাওয়া যায় যেমনঃ
- শরীরের রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখতে ।
- শরীরে জ্বালাপোড়া কমাতে থানকুনি পাতা খেতে পারেন।
- পেটের আলসার দূর করতে থানকুনি পাতা ।
- মানসিক অবসাদ দূর করতে থানকুনি পাতার ব্যবহার ।
- মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ও ভালো ঘুমের জন্য থানকুনি পাতা খেতে পারে ।
- ত্বকের সতেজাতায় ও ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ থানকুনি পাতা খেতে পারেন ।
থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম
আমরা অনেকে থানকুনি পাতা খাওয়ার কথা শুনেছি কিন্তু কিভাবে খেতে হয় বা থানকুনি
পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানিনা । চলুন তাহলে আমরা থানকুনি পাতার খাওয়ার
নিয়ম সম্পর্কে জেনে আসি ।
- সকালে হালকা গরম পানির সাথে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেতে পারেন ।
- এছাড়াও কাঁচা দুধের সঙ্গে থানকুনি পাতা রস মিশিয়ে খাওয়া যায় ।
- থানকুনি পাতার তেতো স্বাদ দূর করতে চিনি অথবা মধুর সঙ্গে মিশে খেতে পারেন ।
- কাশি থেকে আরাম পাওয়ার জন্য থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে সেবন করলে ভালো হয় ।
- থানকুনি পাতার ভর্তা খেতে পারেন । এতে করে আপনার সার্বিক সুস্থতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
থানকুনি পাতার অপকারিতা
থানকুনি পাতার যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমন তার অপকারিতাও রয়েছে । কেননা
প্রত্যেক জিনিসেরই যেমন ভাল দিক থাকে তেমনি খারাপ দিক থাকে । চলুন তাহলে থানকুনি
পাতার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসি ।
- যারা পেটের সমস্যা দূর করতে থানকুনি পাতা ব্যবহার করেন কিন্তু তারা যদি পরিমাণ মতো না খায় বা বেশি খেয়ে থাকে তাহলে তার জন্য পেট ব্যথা হতে পারে ।
- থানকুনি পাতা প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত বেশি খেয়ে ফেললে মাথা ঘোরার সমস্যা তৈরি হতে পারে ।
- যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তারা থানকুনি পাতা খেতে পারবেন না । এতে করে তাদের অনেক শারীরিক সমস্যা হতে পারে ।
- যারা শরীরে কোন বড় ধরনের অপারেশন করিয়েছেন তারা থানকুনি পাতা না খাওয়াই ভালো ।
- থানকুনি পাতা খাওয়ার ফলে অনেকের এলার্জি বা খোশ-পাচড়া হতে পারে ।
সাধারণ প্রশ্নাবলী (FAQ)
প্রশ্নঃ থানকুনি পাতার রস খাওয়া যায় কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানির সঙ্গে থানকুনি
পাতার রস মিশিয়ে খেতে পারেন ।
প্রশ্নঃ থানকুনি পাতার রস স্বাদ কেমন?
উত্তরঃ থানকুনি পাতার রসের স্বাদ অনেকটা তেতো । তাই আপনি চাইলে তার সঙ্গে মধু
অথবা চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন ।
প্রশ্নঃ থানকুনি পাতা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে?
উত্তরঃ থানকুনি পাতাতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট ওএমাইনো এসিড যা আমাদের শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।
প্রশ্নঃ পেটের আলসার সমস্যা থানকুনি পাতা খাওয়া যাবে?
উত্তরঃ পেটের আলসার সমস্যা সমাধানে ধানকুনি পাতা খাওয়া যায় তবে আলসারের পরিমাণ
বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া আপনার প্রয়োজন ।
শেষ কথা যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা
সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করলাম থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আজকের
আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন । থানকুনি পাতা
আমাদের জীবনে অনেক বেশি উপকারী জিনিস যেগুলো গ্রাম গঞ্জের মানুষ বিনামূল্যে পেয়ে
থাকে এবং বাজারে কিনতে গেলেও তার দাম নাগালের মধ্যেই থাকে তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে
থানকুনি পাতার ব্যবহার করতে পারেন এতে করে প্রাকৃতিক উপায়ে সুস্থ থাকা যায় ।
NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url