ব্রণ মুক্ত ত্বক পাওয়া সহজ টেকনিক জানুনসম্মানিত পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করব
রানের চিপায় চুলকানি কেন হয় এবং রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম ও ওষুধ
সম্পর্কে । বর্তমানে অনেকেরই রানের চিপায় চুলকানি হয়ে থাকে কিন্তু আমরা অনেকে
জানিনা কি কারনে দুই রানের চিপাতে চুলকানি সৃষ্টি হয় ।
পোস্ট সূচিপত্রতাই আজকে আমরা এই
পোস্টটিতে রানের চিপায় চুলকানি কেন হয় ও চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে । আপনি যদি এ রানের চিপায় চুলকানি সম্পর্কে জানতে
চান তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়ুন।
শরীরে যে কোন অংশে চুলকানি বা দাউদ হলে খুব বাজে একটা পরিস্থিতি কেননা সকল সময়
আপনি একটি অস্বস্তিকর পরিবেশে পড়ে যান চুলকানি কোন কিছু মানতে চায় না সকল সময়
মনে হয় আক্রান্ত স্থানে চুলকাতে তাই চুলকানি বা দাউদ কিভাবে আপনি এর থেকে মুক্তি
পাবেন সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হবে এবং চুলকানি ও দাউদের কিছু ক্রিম ও ঔষধের
নাম গুলো উল্লেখ করা হবে তাই আজকের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন ।
রানের চিপায় চুলকানি কেন হয়
রানের চিপায় চুলকানি কেন হয় তারা অনেকগুলো কারণ রয়েছে চুলকানি শরীরে সাধারণত
ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাল ইনফেকশন জনিত কারণে হয়ে থাকে । তবে চুলকানি অনেক ক্ষেত্রে
ছোঁয়াচে হয়ে থাকে যেমন চুলকানি আক্রান্ত কোন ব্যক্তি জামাকাপড় ব্যবহার করলে
তারও চুলকানি হতে পারে চুলকানি সাধারণত পরিষ্কার না থাকার কারণে । আবার বিশেষ করে
নোংরা ধুলাবালি যুক্ত পরিবেশে ওঠাবসা করলেন চুলকানি হয়ে থাকতে পারে ।
এছাড়াও সাধারণত চুলকানির একটি বড় কারণ হচ্ছে এলার্জি দেখা দেয় আপনার শরীরে যদি
এলার্জি থাকে । তাহলে আপনার চুলকানি হতে হবে আমাদের মানব শরীর সবার এক রকম নয়
তাই অনেকের এলার্জির উপর নির্ভর করে তা কতখানি চুলকাবে । তবে এলার্জির কোন
নির্দিষ্ট কারণ নেই কেননা এলার্জি অনেক কারণে সৃষ্টি হতে পারে । যেমন কেউ পারফিউম
ব্যবহার করল তার শরীরে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় কিন্তু ওই পারফিউম অন্য কেউ
ব্যবহার করল তার শরীরে এলার্জি ভাব বা চুলকানি দেখা দিল না ।
আবার লোশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এলার্জি দেখা দেয় এছাড়াও সাবান শ্যাম্পু তেল
ইত্যাদি ব্যবহারে এলার্জির ভাব লক্ষ্য করা যায় । অনেকে এই অ্যালার্জি ভাব থেকে
চুলকানি হওয়ার কারণে চুলকাতে চুলকাতে শরীরে ছোপ ছোপ দাগ সৃষ্টি হয় ।এছাড়াও
শরীরে এলার্জি কারণে হাঁপানে শ্বাসকষ্ট বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে এলার্জি
প্রবণতা বংশ গতভাবে আসতে পারে তাই বলা যায় অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন পোশাক পরলে বা
কোন ধরনের ফাঙ্গাস অথবা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে রানের চিপায় চুলকানি
সৃষ্টি হয় তাহলে বুঝতে পারছেন রানের চিপায় কেন চুলকানি হয় ।
রানের চিপায় চুলকানি হলে করণীয়
রানের চিপায় চুলকানি হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেগুলো আমরা উপরে আলোচনা করেছি
তবে আপনি যদি রানের চিপা চুলকানি সম্পর্কে বা চুলকানি হলে কি করনীয় সেটা এখন
আমরা আলোচনা করব । কেননা চুলকানি হল একটি অস্বস্তিকর বিষয় চলুন তাহলে রানের
চিপায় চুলকানি হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে জানি।
-
প্রথমত আপনাকে রানের চিপায় যদি চুলকানি আক্রান্ত হয় তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে
যে এটা ভাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে কিনা সেজন্য একজন
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।
-
আমরা অনেকেই আন্ডারওয়ার ব্যবহার করে থাকি কিন্তু অনেকেই একটি আন্ডারওয়্যার
টানা অনেক দিন ব্যবহার করি ফলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সৃষ্টি হয়
ফলে চুলকাতে থাকে তাই সেই দিকটা লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে আন্ডারওয়্যার এক দিন
বা দুই দিনে বেশি ব্যবহার না হয়।
-
আপনার রানের চিপায় যখন চুলকানি অনুভব করবেন বা চুলকাতে থাকবে তখন আপনি
সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকার চেষ্টা করবেন এবং লক্ষ্য রাখবেন যাতে দুই
রানের চিপায় অতিরিক্ত না ঘাম সৃষ্টি না হয় ।
-
আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সাবান ব্যবহার করি তবে অনেকেই জানে না কোন সাবান
চুলকানিতে ব্যবহার করা উচিত । তাই সেই দিকে লক্ষ্য রেখে সাবান ব্যবহার করা
উচিত তবে দুই রানের চিপায় চুলকানি সৃষ্টি হলে সাবান ব্যবহার থেকে দূরে থাকাই
ভালো পারলে শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত । কেননা কিটোকোনাজল গ্রুপে শ্যাম্পু
ব্যবহার করলে অনেকটা চুলকানি থেকে আরাম পাওয়া যায় এছাড়াও সিলেট প্লাস
শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ।
-
এছাড়াও আপনি একজন ভালো যৌন ও চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু করবেন ।কেননা চুলকানি খুব অস্বস্তিকর বিষয় তাই যত
তাড়াতাড়ি আপনি একটা চিকিৎসা শুরু করবেন তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন ।
তাই আপনার উচিত একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় ও চিকিৎসা শুরু করা ।
রানের চিপায় ছিলে যাওয়া
আমাদের অনেকেরই রানের চিপায় ছেলে যাওয়ার মতন অবস্থা তৈরি হয়। তবে অনেকেই
এ বিষয়ে ঘাবড়ে যান কিন্তু আসলে এটা সাধারণ বিষয় কেননা আমরা যখন হাঁটা চলাফেরা
করি তখন অতিরিক্ত গরমের ফলে আমাদের রানের চিপায় অতিরিক্ত ঘাম সৃষ্টি হয় ।এর ফলে
সেখানকার চামড়া পাতলা হওয়ার কারণে প্যান্টের সাথে অথবা রানের চিপায় ঘষা কারণে
চামড়া ছিলে যাওয়ার মত সৃষ্টি হয় তবে আপনি এই চিলে যাওয়ার ভালো হওয়ার জন্য ।
আপনাকে কিছু জিনিস যেগুলো পরিত্যাগ করা উচিত যেমন গরমের সময় অতিরিক্ত মোটা কাপড়
ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে । কেননা মোটা কাপড় ব্যবহারের ফলে সেখানে ঘাম সৃষ্টি
হয়ে ব্যাকটেরিয়া জন্য এর ফলে ছিলে যাওয়া বা চুলকানি সৃষ্টি । আবার আমরা অনেকে
আন্ডারওয়্যার ব্যবহার করে থাকি কিন্তু অনেক মানুষ একটি আন্ডারওয়ার তিন থেকে চার
দিন ব্যবহার করে এর ফলে ঘাম সৃষ্টি হয়ে ।
আন্ডারওয়ার শক্ত হয়ে প্রাণের চিপায় ছেলে যাওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি করে তাই
একটি আন্ডারে একদিনে বেশি দুই দিন এর থেকে বেশি দিন ব্যবহার করা উচিত নয়
।এছাড়াও যাদের রানের চিপায় ছিলে যায় তারা সে সময় সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়
পারলে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন ।
দুই রানের চিপায় চুলকানির ক্রিম
দুই রানের চিপায় অনেকেরই চুলকানির মত সমস্যা দেখা দেয় । তাই আজকে আমরা জানাবো
দুই রানের চিপায় চুলকানি ভালো করা কিছু ক্রিমের নাম । যে ক্রিম গুলো ব্যবহার
করলে আপনি চুলকানি থেকে আরাম পেতে পারেন। কেননা চুলকানি হল অস্বস্তিকর বিষয়
তাহলে চলুন আমরা জেনে আসি রানের চিপায় কোন ক্রিম ব্যবহার করা যায় ।
অনেক চিকিৎসক এর দুই রানের চিপায় চুলকানির জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কয়েকটি ক্রিম
নাম উল্লেখ করে থাকে সেগুলো নিচে দেওয়া হল
আপনার রানের চিপায় চুলকানি দূর করার জন্য এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে পারেন এগুলো
ব্যবহার ফলে আপনার চুলকানি দূর হয়ে যাবে । যাদের এগুলো ব্যবহারের পরেও চুলকানি
ভালো হয় না বরঞ্চ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে তারা অবশ্যই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
ডাক্তার পরামর্শ নিতে হবে । কেননা উপরের ক্রিম গুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত
ব্যবহার করা যায় তাই আপনারা অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন ।
চুলকানি দূর করা ক্রিমের নাম
চুলকানি সাধারণত বেশিরভাগ মানুষেরই হয়ে থাকে তবে যে কোন মানুষ যেকোনো সময়
চুলকানি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে ।তবে চুলকানি অবশ্যই একটি স্বস্তিকর
বিষয় না কেননা এটা অনেক সময় আমাদের লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ।তাই
চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই আপনাকে ভালো চিকিৎসকে পরামর্শ নিতে হবে ।
এই চুলকানি থেকে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় তাহলে চলুন রানের চিপায় চুলকানির
দূর করা ক্রিম সম্পর্কে আলোচনা করব । কেননা আপনারা অনেকে গুগলে সার্চ দিয়ে
চুলকানির ভালো হয় ক্রিম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন
চুলকানি দূর করা সম্পর্কে জেনে আসি ।
চুলকানি দূর করার জন্য এই ক্রিমগুলো ব্যবহার হয়ে থাকে তবে ক্রিম গুলো ব্যবহারের
ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ডাক্তারের অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।একজন বিশেষজ্ঞ
ডাক্তারে আপনার চুলকানির অবস্থান দেখে কোন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে সেটা নির্দেশ
করুন তাই অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্রিম ব্যবহার করা
উচিত ।
রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ওষুধ
আমাদের অনেকের অনেক সময় বিভিন্ন কারণে দুই রানের চিপায় চুলকানির মত সমস্যা দেখা
দেয় তবে আপনি চুলকানি দূর করার জন্য প্রাথমিকভাবে ক্রিম ব্যবহার করে চুলকানি দূর
করতে পারে কিন্তু অনেকে জানেন না এই ক্রিম কিভাবে ব্যবহার করতে হয় । যাদের রানের
চিপায় চুলকানির মত সমস্যা আছে তারা অবশ্যই প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন পরে
শুকনো কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে নেবেন
তারপরে আক্রান্ত স্থানে ক্রিমটি ভালোভাবে লাগিয়ে নিবেন এবং সেটা রাত্রে শোবার
আগে ব্যবহার করা উত্তম এছাড়াও আপনি যখন চিপায় চুলকানির মত সমস্যা দেখা দিবে তখন
শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন । শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে
তারপর ক্রিমটি লাগিয়ে নিতে পারেন আপনারা যারা ক্রিম ব্যবহারের পরে চুলকানি
যাচ্ছেনা তারা চুলকানি দূর করার জন্য ক্রিমের পাশাপাশি ওষুধ খেতে পারেন ।
অনেক সময় ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে চুলকানি সমস্যা দূর হয়ে যায় তবে চুলকানি ওষুধ
খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধটি
খেতে হবে । নিচে আমরা কয়েকটি চুলকানি ওষুধের নাম দিলাম কিন্তু এগুলো আপনি নিজে
কিনে খেতে পারবেন না অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে ওষুধ কি সেবন
করতে হবে ।
সাবধানতাঃ উপরের উল্লেখিত ঔষধ গুলো আপনি অবশ্যই
একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন কেননা প্রত্যেকটি ওষুধের
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে । এগুলো ডাক্তাররা রোগীর বয়স ও অবস্থানে প্রেক্ষিতে
দিয়ে থাকেন তাই
নিজে থেকে কেউ কিনে সেবন করবেন না ।
রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
আপনারা অনেকে চুলকানি দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ক্রিমের নাম জানতে
পেরেছেন।কিন্তু আমরা এখন কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে চুলকানি দূর করা যায় সেই সম্পর্কে
আলোচনা করবেন যেগুলো অনুসরণ করলে আপনার রানের চিপার চুলকানি দূর করা সম্ভব কোন
ঔষধ ছাড়াই চলুন তাহলে রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে
আসি ।
লেবুর রসঃ লেবুর রস বা লেবু আমরা সবাই চিনি সকলে এটাকে কেউ খাবারের সাথে
কেউ বা শরবত বানিয়ে খায় কিন্তু চুলকানি ক্ষেত্রে লেবুর রস অনেক বেশি উপকারী তা
আমরা অনেকেই জানি না ।তাই যাদের চুলকানির মত সমস্যা দেখা দিচ্ছে তারা আক্রান্ত
স্থানে লেবুর রস পরিমাণ মতো ব্যবহার করুন লাগিয়ে রাখুন কেননা চুলকানি দূর করতে
লেবুর রস সাহায্য করে ।
নারিকেল তেলঃ নারিকেলের তেল অনেক বেশি গুণসম্পন্ন তেল কেননা চুলকানি
কিংবা অন্য যে কোন ব্যথা নাশক কাজের ক্ষেত্রে নারকেলের তেল ব্যবহার হয়েছে
।আপনারা রানের চিপায় যেখানে চুলকানি সৃষ্টি হয়েছে সেখানে নারিকেলের তেল ভালো
করে লাগিয়ে রাখুন দেখবেন খুব কম সময়ের মধ্যে আপনার চুলকানি ভালো হয়ে গেছে ।
বরফের ব্যবহারঃ চুলকানি দূর করতে আপনি চাইলে ঠাণ্ডা বরফ ব্যবহার করতে
পারেন। কেননা ঠান্ডা বরফ চুলকানি স্থানে ধরে থাকলে চুলকানি অনেকটাই কমে আসে তাই
ঠান্ডা বরফ চুলকানি কমাতে সাহায্য করে ।
ভেজা কাপড় পরিধান না করাঃ অনেকে আছেন যারা ভেজা কাপড় অনেকক্ষণ সময় ধরে
পরিধান করে থাকেন ।ফলে আপনার চিপায় চুলকানির মত সমস্যা দেখা দেয় তাই এই রানের
চিপায় চুলকানি দূর করতে আপনাকে অবশ্যই ভেজা কাপড় পরিধান করা যাবে না ।
অ্যালোভেরা জেলঃ এলোভেরা জেল অনেক বেশি উপকারী শুধুমাত্র চুলকানি ক্ষেত্রে
নয় আরো অনেক গুণ রয়েছে। এই এলোভেরা জেলের তাই আপনার চুলকানি দূর করতে এলোভেরা
জেল ব্যবহার করতে পারেন । এর জন্য আপনাকে এলোভেরা জেল প্রস্তুত করে চুলকানি
আক্রান্ত স্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন দেখবেন আপনার চুলকানি অনেকটা কমে গেছে ।
সহবাস না করাঃ যাদের দুই রানের চিপায় চুলকানির সমস্যা ওই জন্য তারা
কিছুদিন সহবাস করা থেকে বিরত থাকুন । কেননা সহবাস করার ফলে উভয়ের যে বীর্যপাত
ঘটে সেখান থেকে চুলকানির সমস্যা আরো বেশি দেখা দেয় তাই সেসময় সহবাস না করাই
ভালো ।
রানের চিপায় দাউদ হলে করণীয় ও ঘরোয়া উপায়
আমাদের অনেকেরই রানের চিপায় চুলকানির পাশাপাশি দাউদের মতো সমস্যা দেখা দেয়
।আমাদের শরীরের যে কোন স্থানে দাউদ হতে পারে । দাউদ হতে কোন নির্দিষ্ট জায়গায়
প্রয়োজন হয় না তবে তাও সাধারণত রানের চিপায় বগলের তলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা
দেয় । চুলকানির মত দাউদ একটি অসুস্থ কর বিষয় । কেননা দাউদ হলেন দাউদ থেকে
চুলকানির পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পায় তাই আপনাকে অবশ্যই দাউদ হলে সে দাউদের
চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে । এটা ছোট থেকে বড় ধরনের আকার ধারণ করতে পারে তাহলে
চলুন দাউদ হলে ঘরোয়া উপায় গুলো কি সে সম্পর্কে জেনে আসে ।
মধুর ব্যবহার
আমরা সকলেই মধু কি সে জিনিসটা জানি মধু অনেক বেশি উপকারী ও গুণ সম্পন্ন তাই আপনার
ঘরে থাকা মধু দিয়ে দাউদের মতো সমস্যা সমাধান করতে পারেন ।প্রাথমিক অবস্থায়
আপনার দাউদ সমস্যা হলে আক্রান্ত স্থানে পরিমাণ মতো মধু ব্যবহার করুন এভাবে
কয়েকদিন মধুর লাগিয়ে রাখলেন দাউদ ভালো হওয়া সম্ভাবনা বেড়ে যায় । তাদের
লক্ষ্য রাখবেন মধুতে যদি দাউদ না কমে সে ক্ষেত্রে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন ।
এলোভেরা জেল
শুধুমাত্র চুলকানি ক্ষেত্রে এলোভেরা জেল ব্যবহার করা যাবে তা নয় আপনার দাউদের
সমস্যা সমাধানে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারে ।এলোভেরা জেল অনেক গুণ সম্পন্ন
উপাদান রয়েছে যেগুলো দাউদ ভালো করতে সাহায্য করে । তাই আক্রান্ত স্থানে পরিমাণ
মতো এলোভেরা জেল কয়েকদিন ব্যবহার করে দেখতে পারেন ।
ভিটামিন ই
রানের চিপায় দাউদ দূর করতে ভিটামিন ই অনেক বেশি উপকারী তাই আপনাদের খাবার
তালিকায় নিয়মিত ভিটামিন ই রাখার চেষ্টা করুন এতে করে আপনার দাউদের পাশাপাশি
শারীরিক অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে ।
রানের চিপায় কালো দাগ দূর করতে করণীয়
আমাদের মধ্যে অনেকে রানের চিপায় কালো দাগ দেখা দেয় তবে এই কালো দাগ দূর করতে
আপনি এলোভেরা রস ব্যবহার করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে আপনাকে অ্যালোভেরা রস তৈরি করে
রাত্রে ঘুমানোর আগে কালো দাগের স্থানে ভালোভাবে মাখিয়ে রাখুন । সকালবেলা ঘুম
থেকে উঠে কালো দাগের স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন । এভাবে কয়েকদিন করে
এলোভেরা রস লাগিয়ে রাখুন দেখবেন আপনার কালো দাগ আস্তে আস্তে মুছে যাচ্ছে এভাবে
আপনি রানের চিপার কালো দাগ দূর করতে পারে ।
সচারাচার প্রশ্ন
প্রশ্নঃ রানের চিপায় কেন চুলকানি হয়ে থাকে?
উত্তরঃ রানের চিপায় চুলকানি হওয়ার প্রথমত দুইটি কারণ থাকতে পারে একটি হলো ব্যাকটেরাজনিত আরেকটি হলো ফাঙ্গাস এ দুইটির মাধ্যমে আক্রমণ হলে রানের চিপায় চুলকানি হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ রানের চিপায় চুলকানি হলে করণীয় কি?
উত্তরঃ রানের চিপায় চুলকানি হলে প্রথম করণীয় হলো আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে চলাফেরা করা লাগবে ধুলাবালি বা অপরিষ্কার অথবা অন্য কারো জামা কাপড় পরিধান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রশ্নঃ' রানের চিপায় চুলকানি সোয়াচে রোগ ?
উত্তরঃ রানের চিপার চুলকানি অনেক সময় ছোঁয়াচে হয়ে থাকে যেমন যার রানের চিপায় ফাঙ্গাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে চুলকানি হয়েছে তা জামাকাপড় অন্যজন যদি পরিধান করে তারও হতে পারে।
প্রশ্নঃ রানের চিপা ছিলে যাওয়ার কারণ কি?
উত্তরঃ রানের চিপা চিলে যাওয়ার কারণ হলো দুই রানের মাঝখানে যখন অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম ঝরে এই ঘামন্ত অবস্থায় দুই রানের ঘষা খাওয়ার ফলে চামড়া ছিলে যায়।
প্রশ্নঃ রানের চিপার চুলকানির জন্য কোন ডাক্তার ভালো হবে?
উত্তরঃ আপনি রানের চিপার চুলকানির জন্য একজন ভালো যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। কেননা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া আপনার এ সমস্যা ভালো করে অন্য বিভাগের ডাক্তার বুঝবে না তাই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখাবেন।
শেষ কথাঃ রানের চিপায় চুলকানি কেন হয়
আপনারা উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পারছেন রানের চিপায় চুলকানি হয় কারণগুলো ।আমরা
যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে চলাফেরা করে তাহলে এ রানের চিপায় চুলকানি না হওয়ার
সম্ভাবনা বেশি থাকে । তাই সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং যদি
চুলকানিতে আক্রান্ত হয় তাহলে তার প্রাথমিক পর্যায়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করতে হবে।চুলকানি একটি অস্বস্তিকর বিষয় । আজকের আর্টিকেলটি
আপনাদের ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এরকম আরো অন্যান আমাদের
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url