চন্দন ক্রিম দাম - চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম
ব্রণ মুক্ত ত্বক পাওয়া সহজ টেকনিক জানুনআপনি কি চন্দন ক্রিমের দাম ও চন্দন ক্রিম
কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সে নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে আপনি সঠিক
জায়গাতে এসেছেন । কারণ আজকের আর্টিকেলটি চন্দন ক্রিমের দাম ও কিভাবে চন্দন ক্রিম
ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা করা যায় এবং চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম বলি সম্পর্কে
বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে ।
পোস্টস সূচিপত্রঃআমরা সবাই চন্দন ক্রিম বা পাউডার সম্পর্কে অনেকে জানে বা পরিচিত রয়েছে । এই
চন্দন ক্রিম সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা
এবং ফর্সা হতে পারবেন। তাই চলুন জেনে নেই চন্দন ক্রিমের দাম ও তার ব্যবহার
সম্পর্কে ।
ভূমিকা। চন্দন ক্রিম দাম -চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম
চন্দন মূলত একটি প্রাকৃতিক উপাদান । চন্দন গাছ থেকে চন্দনে বিভিন্ন উপকরণ
ক্রিম,পাউডার , চন্দন কাঠ ইত্যাদি তৈরি করা হয়ে থাকে । চন্দন গাছ কেটে এ বিভিন্ন
প্রক্রিয়াজাতকরণ মধ্য দিয়ে ক্রিম , পাউডার , কাঠ তৈরি করা হয় । তাই আপনি যদি
সঠিকভাবে চন্দনে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে দ্রুত আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা সহ
চেহারা ফর্সা হওয়া দ্রুতভাবে করতে পারবেন ।
আপনি যদি আজকে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে চন্দনের
ব্যবহার সম্পর্কে সুনিশ্চিত ধারণা পাবেন । এবং এ ধারণার মাধ্যমে আপনি আপনার
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন চলুন তাহলে চন্দন ক্রিমের দাম ও এর ব্যবহার
গুলো জেনে আসি ।
চন্দন ক্রিম দাম
আপনারা অনেকেই চন্দন ক্রিমের দাম সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন ।
চন্দন ক্রিম প্রাকৃতিক উপাদান চন্দন গাছ থেকে প্রক্রিয়াজাতকের মাধ্যমে তৈরি করা
হয় । তাই চন্দন ক্রিমের দাম বাজারে অনেকগুলো কোম্পানী রয়েছে যেগুলো কোম্পানি
ভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হয় । তবে চন্দন ক্রিম ক্রয় সময় আপনাকে অবশ্যই
ভালো চন্দন ক্রিম ক্রয় করতে হবে । নকল চন্দন ক্রিম অনেকে প্রতারিত হতে পারে ।
তাই বাজারে গিয়ে ভালো কোম্পানির চন্দন ক্রিমগুলো দেখেশুনে ক্রয় করবেন ।
বাজারে যে সকল কোম্পানি চন্দন ক্রিম বিক্রয় করে থাকে অনেকগুলো কোম্পানির তার
মধ্যে ওজনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রিমের দাম কম বেশি হয়ে থাকে তাই আপনাদের জানা
সুবিধার্থে আমরা কয়েকটি কোম্পানির চন্দন ক্রিমের দাম এবং ওজন জানাবো । নিচে
চন্দন ক্রিমের দাম ওজন ও কোম্পানির নাম গুলো উল্লেখ করা হলো ।
- মডার্ন চন্দন গোল্ড ফেসওয়াশ ওজন ৫০ গ্রাম দাম হল ১৮৫ টাকা
- মমতাজ স্যান্ডাল চন্দন ক্রিম ওজন 200 গ্রাম দাম হল ১৫০ টাকা
- বার্মিজ চন্দন ক্রিম দাম হল ২৫০ টাকা
- মাসাজ চন্দন ক্রিম ওজন হল ৫০ গ্রাম দাম হল ৫০ টাকা
- থানাকা চন্দন ক্রিম দাম হল ১৫০ টাকা
চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম
চন্দন ক্রিম দাম জানার পর আপনারা অনেকেই এই ক্রিম ব্যবহার করার ইচ্ছা জাগতে পারে
। তাই আপনার অনেকেই এই ক্রিম বাজার থেকে কিনে আনতে পারে । তবে ক্রিম আনার পর
অনেকে ক্রিম ব্যবহার সম্পর্কে জানেন না তখন চিন্তিত হয়ে পড়েন । আপনার চিন্তিত
হওয়ার কোন কারণ নেই কেননা আমরা এখন চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়মাবলী সম্পর্কে
বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে । আপনি যদি চন্দন ক্রিম ব্যবহার করতে চান তাহলে
চন্দন ক্রিম ব্যবহারে নিয়মাবলী গুলো ভালোভাবে পড়ুন ।
আপনারা অনেকেই জানেন আবার অনেকে জানেন না চন্দন ক্রিম তৈরি করা হয় চন্দন গাছের
গোড়ালি থেকে । চন্দন গাছের গোরা ছালকাট থেকে বিভিন্ন প্রকারের রূপচর্চা সহ সৌখিন
জিনিসপত্র তৈরি করা হয়ে থাকে । তবে চন্দন ক্রিম বা পাউডার বেশি ব্যবহার করা হয়ে
থাকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য । চলুন তাহলে চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম
দেখি ।
চন্দন ডে ক্রিম ব্যবহার
চন্দন ক্রিম মূলত দুই ভাগে ভাগ হয়ে থাকে একটি হল চন্দন ডে ক্রিম এবং অন্যটি হলো
চন্দন নাইট ক্রিম । তবে এই দুই রকম চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়মাবলী দুই রকমের
হয়ে থাকে । আমরা এখন চন্দন ডে ক্রিম সম্পর্কে জানব ।
আপনি যদি বাজার থেকে চন্দন ক্রিম কিনে নিয়ে আসেন তাহলে এই ক্রিমের ব্যবহার
সম্পর্কে জানতে হবে চন্দন ডে ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম হল সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি
প্রথমে ফ্রেশ হবেন তারপর আপনি ভালো করে হাত ও মুখ পরিষ্কার করে নেবেন এবং তারপর
চন্দন ক্রিমটি সুন্দরভাবে মুখে লাগিয়ে নিবেন । । চন্দন ক্রিম ব্যবহারের ফলে
আপনার ত্বক ময়েশ্চারাইজ থাকবে ।
চন্দন নাইট ক্রিম ব্যবহার
আপনি যদি রাতে ব্যবহারের জন্য চন্দন নাইট ক্রিম কিনে থাকেন তাহলে আপনাকে রাত্রে
ঘুমানোর আগে আপনার মুখ সুন্দর করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন । এবং আপনার মুখ
ভালোভাবে পরিষ্কার হওয়ার পর চন্দন নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন এতে করে আপনার মুখের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং সেই সাথে রুক্ষভাবগুলো দূর করতে সাহায্য করবে । চন্দন
ক্রিম ব্যবহারে ফলে মুখে থাকা কালো দাগ ও নাকের ব্ল্যাকহেডস দূর হয়ে যাবে ।
তাই চন্দন ক্রিম ব্যবহারে পূর্বে আপনাকে অবশ্যই ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার
করে নিতে হবে এরপর শুকনো কাপড় দিয়ে আপনার মুখমণ্ডল কে ভালোভাবে মুছে নিতে হবে ।
আপনার মুখমণ্ডল সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে গেলে এই চন্দন ক্রিম মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে
নিবেন । এভাবে ব্যবহার করলে আপনার উজ্জ্বলতা তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে । মনে রাখবেন
চন্দন ডে ক্রিম দিনে ব্যবহার করতে হয় আর চন্দন নাইট ক্রিম রাতে ব্যবহার করতে হয়
।
আসল চন্দন চেনার উপায়
চন্দন গাছ হল পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে দামি গাছগুলোর মধ্যে অন্যতম গাছ । কেননা
চন্দন গাছের যে পরিমাণ ঔষধি গুনাগুন রয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না । চন্দন গাছ
সবচাইতে রূপচর্চার কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে । এর জন্য আপনি যখনই চন্দন পাউডার
বা ক্রিম কিনবেন অবশ্যই সেটা আসল নকল দেখে ক্রয় করবেন ।
কেননা নকল চন্দন ক্রিম বা পাউডার ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের উপকারের থেকে ক্ষতি
বেশি হবে তাই চন্দন কেনার সময় আসল চন্দন দেখে কিনতে হবে । আসল চন্দন চেনার উপায়
রয়েছে । চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কিভাবে আসল চন্দন চেনা যায় ।
- প্রথমত চন্দন মূলত হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে । তাই চন্দন কেনা সময় এই হলুদ বর্ণ রংটি লক্ষ্য করতে হবে ।
- দ্বিতীয়ত চন্দন কাঠ অন্যান্য গাছের কাঠের তুলনায় বেশি ভারী হয়ে থাকে ।
- তৃতীয়ত চন্দন কাঠের গুড়া সুগন্ধযুক্ত হয়ে থাকে তাই কেনার সময় সুগন্ধি লক্ষ্য করবেন ।
- চতুর্থত চন্দন কাঠ চেনার অন্যতম উপায় হল চন্দন কাঠের উপরে ভারী বস্তুতে আঘাত করলে সেই স্থানটা নরম স্থল তৈরি হয় তাহলে বুঝবেন সেটি আসল চন্দন গাছের কাঠ ।
- পঞ্চমত যখন আপনি বাজারে গিয়ে চন্দন গাছের ছোট কাঠ হাতে নেবেন তখন দেখবেন সে কাঠ দিয়ে সুগন্ধি বের হচ্ছে কিনা যদি বের হয় তাহলে বুঝবেন সেটা আসল ।
উপরে বিষয়গুলো লক্ষ্য করে আপনি যদি চন্দন কাঠ চিনতে পারবেন । এছাড়াও যারা
পেশাদার কাঠের ব্যবসা করে তাদেরকে দেখালে তারাও আপনাকে চন্দন কাঠ চেনার ক্ষেত্রে
সাহায্য করতে পারবে ।
চন্দন ক্রিমের উপকারিতা
চন্দনের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না । কেননা চন্দন কাঠ হলো ঔষধি কোন সম্পন্ন
কাঠ । পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম দামি গাছের মধ্যে চন্দন গাছ অন্যতম । তাই চন্দন গাছের
কাঠ থেকে তৈরি চন্দন ক্রিম তার উপকারিতা অনেক বেশি চলুন তাহলে চন্দন ক্রিমের
উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসি
- নিয়মিত আপনি যদি চন্দন ক্রিম মাখেন তাহলে আপনার মুখের বলিরেখা মলিন হয় ।
- চন্দন ক্রিম ব্যবহারে ফলে ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে ।
- যারা চন্দন ক্রিম ব্যবহার করেন তাদের অ্যালকেনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে ।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে চন্দন ক্রিম সাহায্য করে ।
- যাদের মুখে চকচক দাগ রয়েছে এ দাগ কমাতে চন্দন ক্রিম সাহায্য করে ।
- চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে চন্দন ক্রিমের অনেক ভূমিকা পালন করে ।
- চন্দন ক্রিম ব্যবহারে ফলে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয় ।
- যাদের ত্বক রুক্ষ শুষ্ক রয়েছে তাদের মশ্চারাইজার করতে চন্দন ক্রিম ব্যবহার প্রয়োজন ।
উপরোক্ত উপকারিতা ছাড়াও আরো অন্যান্য চন্দন ক্রিমে উপকারিতা রয়েছে যেগুলো বলে
শেষ করা যাবে না । তাই বলা যায় চন্দন ক্রিমের অনেক উপকারিতা রয়েছে ।
চন্দনের অপকারিতা
আমরা জানি চন্দনের অনেক উপকারিতা রয়েছে এবং অনেক গুণসম্পন্ন । চন্দনের উপকারিতার
পাশাপাশি তার কিছু অপকারিতাও রয়েছে । প্রত্যেকটি জিনিসের যেমন ভাল দিক থাকে
তেমনি তার খারাপ দিকেও থাকে । তবে চন্দনের অপকারিতা খুব কম তার উপকারী বেশি ।
আপনাদের মাঝে যাদের শরীরে এলার্জির পরিমাণ বেশি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চন্দন
ব্যবহার করলে এলার্জি দেখা দিতে পারে ।
তবে সবার শরীরে যে এলার্জি ভাব দেখা দেবে তা নয় । এটা আপনাকে প্রথমত চন্দন
ব্যবহারের পরে বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীরে কোন চুলকানি বা দাগড়া ভাব হচ্ছে কিনা
। যদি আপনার শরীরে চুলকানি সহ বিভিন্ন রেস দেখা দেয় তবে তাৎক্ষণিকভাবে চন্দন
ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন । অনেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে চন্দন ব্যবহারের জন্য এই
এলার্জি সৃষ্টি হয় ।
তবে সবার জন্য তা নয় । আবার অনেকের চন্দন ব্যবহার করতে গেলে ত্বক জ্বালাপোড়া
হতে পারে তারাও চন্দন ব্যবহার থেকে দূরে থাকবেন । চন্দন ব্যবহার করার আগে হালকা
করে মুখে লাগিয়ে দেখবেন যে আপনার এই জ্বালাপোড়া ভাব বা চুলকানি হচ্ছে কিনা ।
চন্দন লোশন ব্যবহারের নিয়ম
চন্দন ক্রিম পাশাপাশি বাজারে বিভিন্ন কোম্পানি চন্দন লোশন তৈরি করেছে । এই চন্দন
লোশন গুলো বাজারে কিনতে পাওয়া যায় । তবে লোশন শীতকালীন সময়ে বেশি ব্যবহার হয়ে
থাকে । কেননা শীতকালে আমাদের ত্বক উজ্জ্বলতা অনেকটাই কমে যায় এবং ত্বক হয়ে যায়
রুক্ষ ও শুষ্ক এর জন্য ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে আমরা অনেক সময় বিভিন্ন
ধরনের লোশন ব্যবহার করি ।
তাই এসব লোশন ব্যবহার পরিবর্তে আমরা চন্দন লোশন ব্যবহার করতে পারি । কেননা চন্দন
লোশন উপকারিতা অনেক বেশি । চলন তাহলে আলোচনা করা যায় কিভাবে লোশন ব্যবহার করা
যায় ।আমরা সাধারণত লোশন ব্যবহারের সময় কাল দুপুরে অথবা সকালে করে থাকে যারা
সারা দিনের জন্য বাইরে বের হন তারা শীতকালে সকালে লোশন মেখে বের হতে হয় ।
আবার অনেকে যারা দুপুরে বাসায় থাকেন তারা দুপুরে গোসলের পর লোশন ব্যবহার করে
থাকেন । তাই চন্দন লোশন ব্যবহারের নিয়ম আর সাধারণ লোশনের মতই । আপনি দুপুরে অথবা
সকালে যেকোনো সময় চন্দন লোশন ব্যবহার করতে পারবেন । চন্দন লোশন ব্যবহার করা ফলে
আপনার ত্বককে করবে মশ্চারাইজার । এছাড়াও চন্দন লোশন ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকে
রুক্ষ ও শুষ্ক কে দূর করে আরামদায়ক গড়ে তুলুন ।
চন্দন লোশনে ব্যবহারে ফলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা শীতকালে আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে
যাদের ত্বক খসখসে ভাব রয়েছে তারা এই চন্দন লোশন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও
যারা সারাদিন বাসায় আসেন না তারা রাতে ভালো করে হাত মুখ ধুয়ে এই চন্দন লোশন
ব্যবহার করতে পারেন ।
তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন কিভাবে চন্দন লোশন ব্যবহার করবেন । চন্দন লোশন ব্যবহার
করার ফলে আপনাদের ত্বক কে বেশি উপকারিতা পাবেন । তাই অন্যান্য লোশন ব্যবহার না
করে চন্দন লোশন ব্যবহার করতে পারেন ।
চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
আপনারা যারা চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার কথা ভাবছেন কিন্তু কিভাবে ফর্সা হবেন সে
উপায় জানেন না তারা এখন মনোযোগ সহকারে নিচের অংশটুকু পড়ুন । কেননা এখন
আপনাদেরকে কয়েকটি ধাপে চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানানো হবে ।
আমরা অনেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ফর্সা হওয়ার উপায় খুঁজে থাকে আজকে তারা এ
অংশটুকু পড়ার মাধ্যমে সে উপায় সম্পর্কে জানতে পারবে চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে
সে উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে আসি ।
ধাপ নাম্বার ০১ঃ
আপনারা যারা ফর্সা হতে চান অথবা ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে চান তাদের জন্য প্রথমত
হল চন্দন পাউডার এর সাথে যে এলোভেরা পাওয়া যায় সে এলোভেরা জেল ভালোভাবে মিশিয়ে
একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবং আপনার মুখমণ্ডল ও হাতে পায়ে ভালোভাবে পরিষ্কার পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
এবার শুকনো কাপড় দিয়ে মুখমন্ডলসহ হাত পা মুছে ফেলুন এবার আপনার তৈরি করা পেস্ট
টি ভালোভাবে মাখিয়ে রাখুন প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখার পর ভালোভাবে পরিষ্কার
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার করলে আপনার ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে ।
ধাপ নাম্বার০২ঃ
যারা ত্বকের উজ্জ্বলতা দ্রুত বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য এ ধাপ টি । এর জন্য
আপনাকে চন্দন পাউডারের সাথে কাঁচা হলুদ বাটা পরিমাণ মতো এবং তার সাথে পরিমাণ মতো
গোলাপ জলে পানি সুন্দরভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন । এবং পূর্বের বলা
অনুযায়ী মুখমণ্ডল ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
তারপরে আপনার তৈরি করা পেস্ট টি ব্যবহার করুন । ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখার পর
ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে সপ্তাহে দুইদিন করলে আপনি আপনার
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন ।
ধাপ নাম্বার০৩ঃ
আপনার ত্বকের মশ্চারাইজার ফিরিয়ে আনতে এই তৃতীয় ধাপটি অনুসরণ করতে পারেন । এর
জন্য আপনাকে তৈরি করতে হবে এক চামচ চন্দন পাউডার তার সাথে পরিমাণ মতো মুলতানি
মাটি এবং গোলাপজল পরিমাণ মতো ও তার সাথে টমেটোর রস দিয়ে ভালোভাবে মিস করে নিয়ে
একটি পেস্ট তৈরি করুন । এরপর আপনার মুখমন্ডল হাত-পা সহ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন
।
তারপরে শুকনো কাপড় দিয়ে সুন্দরভাবে সেগুলো মুছুন । আপনার তৈরি করা পেস্ট টি
ভালোভাবে মাখিয়ে রাখুন । ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি ঠান্ডা পানি
মিশ্রণে সেগুলো ধুয়ে ফেলুন । এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহারে ফলে আপনার
ত্বক অনেক বেশি ফর্সা হবে ।
ধাপ নাম্বার০৪ঃ
আপনাদের যাদের ত্বকের রুক্ষ ও শুষ্ক রয়েছে তারা ২ চামচ চন্দন পাউডারের সাথে
পরিমাণ মতো গরুর দুধ এবং তার সাথে তিন থেকে চার ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে
মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন । তারপর সে পেস্ট টি ব্যবহার করুন । ১৫ থেকে ২০ মিনিট
হয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে সেগুলো ধুয়ে ফেলুন । এভাবে আপনি সপ্তাহে কয়েকদিন
করলে আপনার উজ্জ্বলতা আগে থেকে অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে ।
উপরোক্ত উপায় গুলোর মাধ্যমে চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়া যায় । আপনি যদি আপনার
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে উপরে উভয়ের মাধ্যমে করতে পারেন । উপরের
উপায়ে মধ্যে যে সকল উপকরণ গুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো সবগুলোই প্রাকৃতিক ।
চন্দন পাউডার ফেস প্যাক
চন্দন পাউডার শুধু আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আপনার ত্বকের
যেকোনো ধরনের দাগ ও অন্যান্য সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে সাহায্য করে । তাই সে
প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত চন্দনের ব্যবহার হয়ে আসছে । চন্দন মূলত দুই
প্রকারের হয়ে থাকে একটি হল সাদা চন্দন আর একটি হলো লাল চন্দনের গাছ । তবে
পৃথিবীতে লাল চন্দন গাছের চাহিদা অনেক বেশি ।
আমরা এখন চন্দন পাউডারের ব্যবহার নিচে আলোচনা করব । যাতে আপনি ঘরে বসে চন্দন
পাউডার ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ফর্সা ভাব নিয়ে আসতে পারেন । তাই আপনার
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চাইলে নিচের অংশটুকু ভালোভাবে পড়ুন ।
চন্দন ও নিমপাতা গুড়ো ফেসপ্যাক এর ব্যবহারঃ
নিমপাতা বাটা বা নিমপাতার শুকনা গুড়ের সাথে চন্দন গুড়ো পরিমিত পরিমাণে মিশিয়ে
একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে ।পেস্টি যাতে একটু নরম হয় তার জন্য সামান্য পরিমাণ
পানি মিশিয়ে নিতে পারেন তাহলে এটি মুখের ত্বকে লাগাতে সুবিধা হবে আর এটি লাগানোর
ফলে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি সহ মুখে ব্রণ ও ছোট ফুসকুড়ি থাকলে সেগুলো খুব সহজেই
দূর হয়ে যাবে । এ পেস্টি মুখে লাগানোর পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখতে হবে । আর
অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এই সময় কথা না বলা কারণ পেস্ট টি মুখে লাগানোর পর কথা
বললে স্কিন শুকানোর সময় মুখের স্কিন ফেটে যেতে পারে ।
চন্দন গুড়া ও দুধের ব্যবহারঃ
মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য চন্দন ঘোড়ার সাথে দুধ অথবা দুধের সর মিশিয়ে
ভালোভাবে ফাটিয়ে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগাতে হবে । এরপর এটি ২০ থেকে ৩০
মিনিট লাগিয়ে রাখুন এটি যখন শুকিয়ে আসবে তখন পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে
ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন । এবং তারপর পরিষ্কার নরম তোয়ালে অথবা কাপড় দিয়ে
মুখমণ্ডল ভালো হবে মুছে নিন এভাবে রোজ ব্যবহার করার ফলে খুব দ্রুত আপনার মুখের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে ।
চন্দন গুড়া দই ও হলুদ এর ব্যবহারঃ
ত্বকের উজ্জ্বলতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি করতে ও সৌন্দর্য স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে
নিয়মিত যে ফেসপ্যাকগুলো ব্যবহার করা উচিত তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চন্দন গুড়ো
হলুদ ও দইয়ের মিশ্রণে তৈরি ফেসপ্যাক টি অন্যতম তাই এটি তৈরি করার জন্য এই তিনটি
উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বক এ লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং শুকিয়ে
গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে
মুখের ত্বকের স্থায়ী ও এককালীন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে ।
চন্দন ও অ্যালোভেরার ফেসপ্যাকঃ
চন্দন পাউডারের সাথে এলোভেরা জেল পরিমাণ মতো মিশিয়ে নিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি
করুন এবং তারপর সেটি আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন । এ ফেসপ্যাক এর মাধ্যমে আপনার
ত্বকের দাগ ও ওরা ভাব সহ অন্যান্য দাগগুলো দূর হয়ে যাবে ।
চন্দন পাউডার ও গোলাপজলের মিশ্রণঃ
চন্দন পাউডারের সাথে পরিমাণ মতো গোলাপ জলে পানি মিশিয়ে খুব সহজে ও কম সময়ে একটি
ফেসপ্যাক তৈরি করা যায় । বাসায় এভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করে আপনার ব্যবহারিত স্থানে
মাখিয়ে নিন এরপর কিছুক্ষন 20 থেকে 25 মিনিট ব্যবহার করার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি পাবে ।
চন্দন পাউডার এর উপকারিতা
চন্দন পাউডারের অনেক উপকারিতা রয়েছে । ইতিমধ্যে আমরা চন্দন ক্রিম ও চন্দন গাছের
যে উপকারিতা গুলো পাওয়া যায় তেমনি চন্দন পাউডারে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় ।
চলুন তাহলে চন্দন পাউডারের উপকারিতা সম্পর্কে জানি ।
মুখে তৈলাক্ত ভাব কমাতেঃ
মুখের তৈলাক্ত ভাব কমাতে চন্দন পাউডারের গুরুত্ব অপরিসীম । যাদের মুখ তৈলাক্ত ভাব
রয়েছে তাদের গালে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় এছাড়াও ব্রণ সৃষ্টি হয় তাই এই
তৈলাক্ত ভাব কমাতে চন্দন পাউডারে অনেক উপকারিতা রয়েছে এটা সহজেই মুখে তৈলাক্ত
ভাবকে শোষণ করে নেয় ।
ব্রণ কমাতে চন্দন পাউডারঃ
মুখে ব্রণের সমস্যার সমাধানে চন্দন পাউডারের গুরুত্ব অপরিসীম । চন্দন পাউডার শুধু
মুখে তৈলাক্ত ভাব কমাতে সাহায্য করে না বরং মুখে ব্রণের সমস্যার সমাধান করে থাকে
। এছাড়াও ব্রণের কারণে যে ফোলা ভাব দেখা দেয় সেটাও কমাতে সাহায্য করে ।
চোখের নিচে কালো দাগ কমাতেঃ
চন্দন পাউডার ব্যবহারে ফলে আমাদের চোখের নিচে যে কালো দাগ পরে সে কালো দাগ তুলতে
সাহায্য করে । এর জন্য আপনাকে চন্দন পাউডারের সাথে পরিমাণ মতো গোলাপজল মিশিয়ে
চোখের চারপাশে লাগিয়ে রাখুন দেখবেন এভাবে সাত দিন ব্যবহার করার পর আপনার কালো
দাগ দূর হয়ে গেছে ।
অন্যান্য দাগ কমাতেঃ
চন্দন পাউডার ব্যবহারের ফলে মুখের কোলাজেন বৃদ্ধি পায় ফলে আমাদের ত্বকের দাগ ও
মুখমন্ডলের দাগ সহ অন্যান্য দাগ দূর করতে চন্দন পাউডার সাহায্য করে । এছাড়াও
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চন্দন পাউডারের কোন জুড়ি নেই ।
চন্দন পাউডারের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না । তাই উপরোক্ত উপকারিতা ছাড়াও
অন্যান্য উপকার করে থাকেন . তাই চন্দন পাউডার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক বেশি
উপকারী উপাদান
চন্দন সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ আসল চন্দন গুড়া বাজারে পাওয়া যায় কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ আসার চন্দন গুড়া বাজারে পাওয়া যায় ।
প্রশ্নঃ চন্দন ক্রিম কখন কখন ব্যবহার করা যায়?
উত্তরঃ চন্দন ক্রিম যদি ডে ক্রিম হয় তাহলে আপনি দিনের বেলা আর যদি নাইট ক্রিম
হয় তাহলে রাত্রেবেলা ব্যবহার করতে পারবেন ।
প্রশ্নঃ চন্দন ক্রিম বা পাউডার ব্যবহার করা কি নিরাপদ?
উত্তরঃ চন্দন ক্রিম বা পাউডার ব্যবহার করা নিরাপদ তবে আসল চন্দন ক্রিম বা পাউডার
ব্যবহার করতে হবে ।
প্রশ্নঃ চন্দন কয় ধরনের হয়ে থাকে?
উত্তরঃ চন্দন মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি লালচন্দন আরেকটি সাদা চন্দন ।
প্রশ্নঃ রূপচর্চার জন্য কোন চন্দনটি ভালো?
উত্তরঃ রূপচর্চার জন্য লাল চন্দনটি ভালো কিন্তু সাদা চন্দন খারাপ নয় ।
প্রশ্নঃ কোন চন্দন টি বাজারে বেশি পাওয়া যায়?
উত্তরঃ সাদা চন্দন বাজারে বেশি পাওয়া যায় । কিন্তু লাল চন্দন বাজারে পাওয়া
গেলেও খুব বেশি একটা দোকানে পাওয়া যায় না ।
শেষ কথা। চন্দন ক্রিমের দাম - চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম
সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করলাম চন্দন ক্রিমের দাম ও ব্যবহার সম্পর্কে
আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন । চন্দন
পাউডার বা চন্দন ক্রিম ব্যবহার করে অনেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসছে ।
আপনি চাইলেও বাজারে গিয়ে ভালো চন্দন ক্রিম অথবা পাউডার নিয়ে এসে ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন । সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ ।
NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url