শরীর দুর্বল হলে করণীয় কি - শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয়

ব্রণ মুক্ত ত্বক পাওয়া সহজ টেকনিক জানুনসুস্থ শরীর সুস্থ মন অর্থাৎ আপনার শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে আপনার মন সুস্থ থাকবে। কেননা শরীরের সাথে মনে সম্পর্ক গভীরভাবে আকৃষ্ট । তাই শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিনিয়ত আমরা ভালো খাবার থেকে শুরু করে ব্যায়াম করে থাকি । তবে অনেক ক্ষেত্রে ভালো খাবার খেলেও আমাদের শরীর মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে যায় বাসরের দুর্বল হয়ে পড়ে ।

শরীর দুর্বল হলে করণীয় কি

পোস্ট সূচীপত্রঃশরীর দুর্বল হলে করণীয় কি এবং শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয় সেটা যদি আপনি জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টে আপনার জন্য । আজকের এই পোস্টটিতে শরীর দুর্বল হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে । আপনার শরীর যদি দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে কোন খাবারগুলো খেতে হবে সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে ।

শরীর দুর্বল হয় কেন

শরীর দুর্বল হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শরীর দুর্বল হওয়ার প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে কয়েকটি কারণ হচ্ছে রক্তস্বল্পতা, অল্প বয়সে ডায়াবেটিস আক্রান্, লিভার রোগে আক্রান্ত , কিডনির সমস্যা । থাইরয়েডের সমস্যা, হার্ট অ্যাটাক সহ পাতলা পায়খানা ও মানুষের অভাব এছাড়াও ক্যান্সারের জন্যও শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ।

বর্তমানে আমাদের দেশে অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ খাবার গ্রহণ করা হচ্ছে না এছাড়াও খাবারের নিয়ম মাফিক না খাওয়াই ও রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে বিভিন্ন শাকসবজি উৎপাদন করায় মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধছে এর ফলে মানুষ ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ছে ।

রক্তস্বল্পতাঃ
শরীর দুর্বল হওয়ার অন্যতম কারণ হলো রক্তস্বল্পতা । বিশেষ করে মেয়েদের এ রক্তস্বল্পতা বেশি হয়ে থাকে এছাড়াও দেহে যদি কৃমি ও মহিলাদের অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তস্রাব বের হয় তাহলে তারা দুর্বল হয়ে পড়ে । এবং যাদের রক্তের হিমোগ্লোবিন কম তারা স্বাভাবিকভাবে তাদের শরীর দুর্বল হয়।

আমিষের অভাবঃ
আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আমিষের চাহিদা অনুযায়ী না থাকে তাহলে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন মুখ ফুলে যাওয়া হাত পায়ের গোড়ালি ফোলা , পেটে পানি হওয়া সহ ইত্যাদি তাই আমি সে চাহিদা পূরণ করতে আপনাকে নিয়মিত শাকসবজি ডিম মাছ মাংস দুধ এগুলো খাবার খেতে হবে ।

লিভার রোগ আক্রান্তঃ
শরীর দুর্বলের আরো একটি কারণ হচ্ছে আমাদের শরীরের লিভার যদি আক্রান্ত হয় তাহলে যদি শরীরের লিভারে জন্ডিস আক্রান্ত হয় অথবা আপনার এস জিপিটি এন বেড়ে যায় তাহলে আপনি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়বেন । এছাড়া মানুষ মদ্যপান ও অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেলে লিভার অ্যাটাক হয়ে থাকে তাই এগুলো খাবার থেকে নিজেকে বিরত থাকতে হবে ।

কিডনি রোগে আক্রান্ত হলেঃ
দুর্বল হওয়ার আরো একটি অন্যতম কারণ হলো আপনি যদি কিডনি রোগে আক্রান্ত হন তাহলে আপনার শরীর আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়বে। কেননা কিডনি হলো শরীরের একটি অমূল্য সম্পদ যেটা বিষাক্ত ও বর্জ্য পদার্থ প্রসবের মাধ্যমে বের করতে সাহায্য করে ।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলেঃ
শরীর দুর্বল হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হন । বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রায় 65 থেকে 70 পার্সেন্ট মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত । এই ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা আপনার শরীরকে ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় করে ফেলবে । ডায়াবেটিস হলে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে দুর্বল হয়ে পড়ে ।

থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত হওয়াঃ
শরীর দুর্বলের আরও একটি কারণ হলো থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত হলে । যাদের রক্তে থাইরয়েড রয়েছে তারা অনেকে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে দুর্বল হয়ে পড়ে । তাই শরীরকে সবল রাখতে হলে অবশ্যই থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে ।

শরীর দুর্বল এর লক্ষণ

শরীর দুর্বল হলে অনেক কিছু লক্ষণ দেখা যায়। কেননা মানব দেহ বা শরীর সুস্থ থাকলে আপনার সবকিছুই ভালো লাগবে আর যদি আপনার শরীর অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে আপনাকে কোন কিছুই ভালো লাগবে না অর্থাৎ আপনার কাজকর্ম ক্ষেত্রে বা ঘুরাঘুরির ক্ষেত্রে এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে যে কাজকর্মগুলো করে থাকেন তার কোনগুলো করতে আপনার মন চাইবে না । তাহলে চলুন শরীর দুর্বলের লক্ষণগুলো কি কি সে সম্পর্কে জেনে আসি।

বারবার অসুস্থ হয়ে পড়াঃ
শরীর দুর্বলের অন্যতম লক্ষণ হল আপনি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আপনার শরীরে দুর্বলের কারণে বিভিন্ন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ফলে আক্রান্ত হয়ে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন । তাই বারবার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়লে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে গেছে 

সর্বক্ষণ ক্লান্তি বোধ করাঃ
দুর্বল শরীরের লক্ষণ হল সর্বক্ষণ নিজেকে ক্লান্ত মনে করা। আপনি কোন কাজ করতে যাচ্ছেন সে কাজে মনোযোগ হচ্ছে না অথবা যে কাজটি করতে চাচ্ছেন সেটার জন্য আপনাকে ক্লান্ত বোধ লাগছে । তাই যখন নিজেকে সব সময় ক্লান্ত বোধ মনে হবে তখন আপনার বুঝে নিতে হবে এটা শরীর দুর্বলের লক্ষণ ।

এলার্জি সমস্যাঃ
আপনার শরীর যখন দুর্বল হয়ে পড়বে তখন আপনার দেহের রোগ প্রতিরক্ষতা কমে আসবে হলে তখন আপনি অল্পতেই এলার্জি সমস্যা গুলো উপলব্ধি করতে পারবেন ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে । তাই শরীর দুর্বলের অন্যতম লক্ষণ হলো এলার্জিজনিত সমস্যা ।

খাবার হজমের সমস্যাঃ
শরীর দুর্বল হলে আপনারা যে খাবারগুলো খান তখন তা হজম হতে সমস্যা দেখা দেয়। কেননা শরীর দুর্বলের ফলে আপনার পাকস্থলী ঠিকভাবে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে খাবারগুলো হজম করতে পারে না এর জন্য আপনার অল্পতে পেট ব্যথা গ্যাসের সমস্যা পেট খোলা কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যা শরীর দুর্বলের অন্যতম লক্ষণ ।

ক্ষত নিরাময়ঃ
আমাদের চলাফেরায় অনেক সময় শরীরের বা ত্বকের কোন কিছু আঘাত লাগার ফলে ক্ষত সৃষ্টি হয় এ ক্ষত যদি সঠিক সময়ের মধ্যে না সেরে ওঠে তখন সেটা শরীর দুর্বলের অন্যতম লক্ষণ হিসেবে ধরা হয় কেননা শরীর দুর্বল হলে আপনার দেহে থাকা এন্টি বডি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না এছাড়াও ক্ষত তাড়াতাড়ি না সারলে সেটা আবার ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে ।

প্রচন্ড মাথা ব্যথাঃ
শরীর দুর্বলের অন্যতম লক্ষণ হলো হঠাৎ করে প্রচন্ড মাথা ব্যথা করা । যাদের শরীর দুর্বল তারা লক্ষণ করলে বুঝতে পারবেন হঠাৎ হঠাৎ আপনার মাথায় প্রচন্ডভাবে ব্যথা করছে । তাই এ প্রচন্ড মাথা ব্যথা শরীর দুর্বলের অন্যতম লক্ষণ ।

বিভ্রান্তিবোধঃ
শরীর দুর্বল থাকলে অনেক সময় আমরা বিভিন্ন বিভ্রান্তি বোধ মধ্যে পড়ে যাই । কেননা আপনার শরীর সুস্থ থাকলে মন সুস্থ থাকে আর শরীর যদি অসুস্থ থাকে তাহলে আপনার মন অসুস্থ হয়ে যায় এর ফলে মানুষ শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে বিভ্রান্তির মধ্যে ভুগতে থাকে যা শরীর দুর্বল অন্যতম কারণ ।

মাংসপেশীতে ব্যথা অনুভব করাঃ
শরীর দুর্বলের আরো একটি অন্যতম কারণ হলো সারা শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব করা । এছাড়াও হাতে-পায়ে বা গিটে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা করতে পারে ।

মাথা ঘোরাঃ
শরীর দুর্বলের অন্যতম লক্ষণ হলো সব সময় মাথা ঘোরা মত সমস্যা দেখা দেয় । আপনার শরীর যদি দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে আপনার মাথা ঘোরার সমস্যাটি বেশি দেখা দেয় ।

খিদে কমে যাওয়াঃ
শরীর দুর্বলের অন্যতম কারণ হলো খিদে কমে যাওয়া । আপনি যদি শরীর দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে আপনার ক্ষুধা কম লাগে ফলে আপনি আরো দুর্বল হয়ে পড়েন তাই দুর্বলের অন্যতম কারণ হলো খিদে কমে যাওয়া ।

শ্বাস নিতে সমস্যা হয়ঃ
যাদের শরীর দুর্বল তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে হঠাৎ করে সমস্যা দেখা দেয় । তাই শরীর দুর্বলে অন্যতম কারণ হলো তার শ্বাস নিতে অনেক সময় হঠাৎ করে সমস্যা হয়ে যায় । তাই শরীর দুর্বলের অন্যতম লক্ষণ হলো শ্বাস নিতে সমস্যা হয় ।

দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তনঃ
শরীর দুর্বলের ফলে দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন ঘটতে থাকে অর্থাৎ আপনার সরে যেতে দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে আপনি চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন তাই শরীর দুর্বলের অন্যতম লক্ষণ হলো চোখে ঝাপসা দেখা বা দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন ।

শরীর দুর্বল হলে করণীয় কি

আমাদের শরীর দুর্বল হলে আমাদের কি করণীয় সে সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত কেননা শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে আপনাকে কোন কিছু করতে ভালো লাগবে না তাই শরীর দুর্বল হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে জানতে চাইলে নিচে ভালোভাবে পড়ুনঃ

সকালের সূর্যের আলো গ্রহণঃ
আপনার শরীর যদি দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব থাকতে পারে এছাড়াও আমাদের দেহের হারের গঠন ও শরীরে শক্তি না পাওয়ার অন্যতম কারণ ভিটামিন ডি তাই শরীর দুর্বল হলে আপনার করণীয় হলো প্রত্যেকদিন সকালে ভোর বেলার সূর্য ওঠার পর আধা ঘন্টা সূর্যের আলোতে দাঁড়িয়ে থাকা । অবশ্যই সেটা সূর্য ওঠার সাথে সাথে যে রোদ পাওয়া যায় সে রোদ গ্রহণ করতে হবে ।

অতিরিক্ত পরিমাণে চা কফি পরিহার করুনঃ
শরীর দুর্বলতা কমিয়ে আনার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে যারা চা কফি পান করেন তা থেকে বিরত থাকুন কেননা এ চা কফির মাধ্যমে আপনার শরীরে যে পরিমাণ সুগার যায় তাতে করে আপনার শরীর আস্তে আস্তে ডায়াবেটিসের দিকে এছাড়াও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগতে থাকেন ।

পরিমাণ মতো পানি পান করুনঃ
শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে হলে আপনাকে পরিমাণ মতো প্রতিদিন পানি পান করতে হবে । শরীরকে সতেজ রাখার অন্যতম মাধ্যম হলো পানি । তাই প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে পানি পান করুন এতে করে আপনার দুর্বলতা কেটে যাবে ।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমঃ 
শরীর দুর্বল হওয়ার অন্যতম কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়া । ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ । কেননা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হলে যেমন আপনাকে খাবার প্রয়োজন তেমনি আপনার শরীর সুস্থ রাখতে হলে আপনার ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে । তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাবেন তাহলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে ।

সুষম খাবার গ্রহণ করাঃ
শরীর দুর্বল হলে করণীয় হলো সুষম খাবার খেতে হবে । অতিরিক্ত পরিমাণে পাসপোর্ট জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কেক ড্রিংস জাতীয় খাবার গুলো বর্জন করতে হবে ।

শাকসবজি পরিমাণ মত খেতে হবেঃ 
শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন শাকসবজি খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন । শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই আপনার শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন রয়েছে তাই শাকসবজি শরীরকে সুস্থ রাখার অন্যতম কারণ।

আমিষ খাবার গ্রহণঃ
শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আমিষ জাতীয় খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে । শরীরে যেমন শাকসবজির প্রয়োজন রয়েছে এমন আমিষ জাতীয় খাবারের প্রয়োজন রয়েছে তাই আপনার খাবারের তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন ।

হঠাৎ শরীর দুর্বল হওয়ার কারণ কি

সুস্থ শরীর সুস্থ মন অর্থাৎ আমরা আগেই বলেছি আপনার শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে আপনার মন সুস্থ থাকে। হঠাৎ শরীর দুর্বল হলে তার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে যেমনঃ আপনার শরীরে রক্তস্বল্পতা তৈরি হওয়ার জন্য আপনার দুর্বল রাখতে পারে আবার ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে ,ঘনঘন ডায়রিয়া হলে । 
হঠাৎ করে ব্লাড সুগার অতিরিক্ত কম বা অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে, রক্তচাপের প্রবণতা অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপের জন্য আপনার শরীর হঠাৎ করে দুর্বল হয়ে যেতে পারে । তাই তাই আপনার শরীর যদি হঠাৎ করে দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে প্রথমত আপনি দুইটি জিনিস অবশ্যই কোন ডাক্তারের কাছে চেক করে নিবেন।

  • প্রথমতঃ ব্লাড প্রেসার অর্থাৎ পেশার বেশি আছে কিনা হাই প্রেসার নাকি লো প্রেসার সেগুলো চেক করে নিতে হবে ।
  • দ্বিতীয়তঃ ব্লাড সুগার অর্থাৎ ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা কিংবা ডায়াবেটিস বেশি বা কম হয়েছে কিনা সেগুলো চেক করে নিতে হবে ।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

সুস্থ শরীরের জন্য শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ প্রয়োজন রয়েছে । আমাদের মানব দেহ বিভিন্ন ভিটামিন দ্বারা সমৃদ্ধ করা রয়েছে । এর মধ্যে প্রত্যেকটি ভিটামিনের আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে । তেমনি কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় সে ভিটামিন টা ও নির্ধারণ করা রয়েছে । তাহলে চলুন আমরা জেনে আসি কোন ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ।

ভিটামিন বি ১২ এর জন্য আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়েন । কেননা ভিটামিন বি ১২ এর জন্য শরীরে যে অভাব গুলো সৃষ্টি হয় সেগুলো হলঃ ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায় , দুর্বলতা , সব সময় মাথা ঘোরা দুশ্চিন্তা করা , বিষন্নতায় ভোগা ইত্যাদি সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে , ভিটামিন বি১২ জন্য পাকিস্তানি সমস্যা বেড়ে যায় এর জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় । ভিটামিন বি ১২ ভ জন্য অল্প পরিশ্রম করে হাপিয়ে ওঠা বা ক্লান্তি বোধ করা , বুক ধরফর করা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে । এছাড়াও শরীরের অনেক অংশ ফ্যাকাশে ত্বক দেখা যায় ।

ভিটামিন বি১২ যেসব খাবারে পাওয়া যাবেঃ শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি পূরণের জন্য যেসব খাবারগুলোতে পাওয়া যাবে সেগুলো হলোঃ ছোলা, দুধ , দই ও দুটো জাতীয় খাবার, ডিম , মাশরুম , মাংস ও কলিজা , বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ , খাবার ডাল সহ আর অন্যান্য খাবারে ভিটামিন বি ১২ ভ পাওয়া যায় ।

শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয়

শরীর দুর্বল হলে আমরা অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ি যে কিভাবে এই শারীরিক দুর্বলতা কাটানো যায় । তাই শরীরের সুস্থতা ফিরে আনতে আমরা অনেক খাবারের খোঁজ করি । কেননা শারীরিক সুস্থতা একটি অমূল্য সম্পদ । তাই শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয় সে সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো চলুন তাহলে জেনে আসি।

ডিমঃ আপনার শরীর দুর্বলতা কাটাতে সবচেয়ে ভালো খাবার হলো প্রতিদিন সকালে একটি করে সিদ্ধ ডিম খাওয়া । তবে মনে রাখবেন ডিম তেলে দিয়ে ভেজে খেলে তেমন কোন উপকারে আসবে না । তাই আপনাকে সিদ্ধ করে প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খাবেন ।

দুধঃ শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর জন্য যতগুলো খাবার রয়েছে তার মধ্যে দুধ হলো অন্যতম । দুধ শরীরকে সুস্থ সবল করে রাখে তাই দুধ হল শারীরিক দুর্বলতার কাটানোর জন্য খুব ভালো খাবার এছাড়াও দুধ আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম তৈরি করে অর্থাৎ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে । তাই নিয়মিত এক গ্লাস করে দুধ খাবেন । যাদের ডায়াবেটিস নেই তারা দুধের সাথে হালকা করে মধু মিশেও খেতে পারেন এতে শারীরিক দুর্বলতা অনেকটা কেটে যাবে ।

মধুঃ মধু শরীরকে সতেজ রাখতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে কেননা মধুতে রয়েছে সিলিকন , ক্যালসিয়াম , ফসফরাস ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম সহ শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে অনেক বেশি কাজ করে থাকে তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় সকালবেলায় এক চামচ মধু ও পরিমান মত কালোজিরা খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন ।

প্রোটিনঃ প্রোটিন শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে তাই প্রোটিনযুক্ত খাবার আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় নিয়ম করে পরিমাণ মতো রাখুন । ডাল ও মটর জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় ।

কলাঃ কলাতে রয়েছে ডোপামিন ও শেরাটনের । তাই পালাতে ভিটামিন এ ,বি ,সি এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায় তাই শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে নিয়মিত আপনি একটি করে কলা খেতে পারেন এছাড়াও শরীরে টেস্টারন মাত্রা বাড়াতে কলা খেতে পারেন ।

ভিটামিন সিঃ শরীর দুর্বলের জন্য আমরা অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি তাই আপনি যদি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খান তাহলে আপনার ক্লান্তি ভাব টি আর আসবে না ভিটামিন সি এর জন্য বেশি করে আপনাকে টক জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে। যেমন কমলা, লেবু , আঙ্গুর সহ ইত্যাদি ফল গুলো ।

ডার্ক চকলেটঃডার্ক চকলেট এতে রয়েছে ফেনীলিথিয়ামিন ও শেরাটনের ফলে এই চকলেট শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে ।

রসুনঃ রসুন খুব গুরুত্বপূর্ণ খাবারের একটি অংশ । আমরা প্রতিদিন খাবারের মধ্যে রসুনকে খুঁজে পাই রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি১ , ভিটামিন বি৩ , ভিটামিন বি২ , ভিটামিন বি৫ , ভিটামিন বি ৯ এছাড়াও আরো অন্যান্য ভিটামিন সমৃদ্ধ রয়েছে । রসুনকে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক বলা যেতে পারে। তাই শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর জন্য রসুন খাওয়া যেতে পারে।

আদাঃ শরীরের দুর্বলতা কাটানোর জন্য অনেক বেশি উপকারী । আদাতে রয়েছে অনেক ভিটামিন ও খনিজ উপাদান তাই হাজার রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে অনেক বেশি উপকার পাবেন ।

শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে - শরীর দুর্বল হলে কি ঔষধ খেতে হবে

শরীর দুর্বল হলে আপনি বিশেষ করে যে ভিটামিন গুলো খেতে পারেন সেগুলো হচ্ছে ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি , ভিটামিন বি১২ , তবে বিশেষ করে মাংসপেশী দুর্বলতা কাটানোর জন্য ভিটামিন ডি এর অনেক বেশি প্রয়োজন রয়েছে তাই প্রতিদিন ভোরবেলা সূর্যের প্রথম আলো আধা ঘন্টা রোদ দাঁড়িয়ে থেকে তা পাওয়া যায় অথবা আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ডি ওষুধ পাওয়া যায় সেটা কিনে খেতে পারেন ।

সচরাচর প্রশ্ন(FAQ)

প্রশ্নঃ শরীর দুর্বল ও ক্লান্তির কারণ কি?

উত্তরঃ আপনার শরীর দুর্বল ও ক্লান্তি লাগার অন্যতম কারণ গুলো হলো অতিরিক্ত কাজ , পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমানো অতিরিক্ত টেনশন করা এছাড়াও একঘেয়েমি কিংবা ব্যায়াম না করার কারণ।

প্রশ্নঃ সব সময় ক্লান্তি ভাব কিসের লক্ষণ?

উত্তরঃ সব সময় ক্লান্তি ভাব এটা আপনার শরীর দুর্বলের লক্ষণ তবে আপনাকে অবশ্যই প্রথমত দুইটা জিনিস চেক করে নিতে হবে যে আপনার ব্লাড প্রেসার আছে কিনা ও ডায়াবেটিস আছে কিনা ।

প্রশ্নঃ পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম কত ঘন্টা?

উত্তরঃ একজন সুস্থ মানুষের জন্য দৈনিক রাত্রে সাত থেকে আট ঘন্টা হল তার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম ।

প্রশ্নঃ শরীর দুর্বল হলে কোন ভিটামিন খেতে হবে?

উত্তরঃ আপনার শরীর দুর্বল হলে আপনি ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গুলো বেশি করে খাবেন কেননা ভিটামিন ডি এর কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ।

প্রশ্নঃ ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হতে কত দিন সময় লাগে?

উত্তরঃ আপনি যদি ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার নিয়মিত খান পরিমাণ মতো তাহলে আপনার ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে সেটা পূরণ হওয়ার কথা ।

প্রশ্ন কোন ভিটামিনের জন্য ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়ে যায়?

উত্তরঃ ভিটামিন বি৭ এর অভাবে মাথার চুল ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।

শেষ কথা

সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করলাম শরীর দুর্বল হয় এর কারণ এবং এর লক্ষণ সম্পর্কে আজকের এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন । আর আপনার যদি এরকম আরো কোনো তথ্যের প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন । সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

NETEINFO ওয়েবসাইটে এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন কেননা প্রতি কমেন্টের রিভিউ করা হয়

comment url