মরক্কো কোন মহাদেশে অবস্থিত

মরক্কো দেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে পরিচিত।কেননা মরক্কো দেশের প্রায় ৯৯.৬% জনসংখ্যার মতো তারা ইসলাম ধর্মের মানুষ । মরক্কো দেশ ফুটবল খেলা তাদের অনেক বেশি জাতীয় ও জনপ্রিয় খেলা হিসেবে বিবেচিত । এছাড়াও মরক্কো দেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র । তাহলে চলুন আজকে আমরা মরক্কোদের সম্পর্কে জানি।

মরক্কো দেশ হলো আফ্রিকার একটি মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র । মরক্কো দেশের তাদের রাজধানীর নাম রাবাত ।এ মরক্কো দৃষ্টি ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত পশ্চিম সাহারার অনেক এলাকা তাদের নিজের দখলে আয়ত্ত করে রেখেছেন । আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী বেশ কিছু অঞ্চল এবং উত্তরের ভূমধ্যসাগর জি বালটার প্রণালী পর্যন্ত । তাদের অবস্থান মরক্কো দেশের পশ্চিমে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর পূর্বে রয়েছে আলজেরিয়া উত্তরের রয়েছে ভূমধ্যসাগর এবং স্পেন ।

মরক্কো দেশের রাজধানীর নাম হলো রাবাত বা রাবাট । মরক্কো দেশের এ রাবার শহরটি মরক্কোর সপ্তম তম বৃহত্তম শহর । তবে মরক্কোর সবচেয়ে বড় শহরের নাম হলো কাসাব্লাঙ্কা মরক্কো দেশের সকল প্রশাসনে কার্যক্রম এ রাবাত শহরে হয়ে থাকে ।

মরক্কো দেশ একটি রাজতন্ত্র সাংবিধানিক হিসেবে পরিচালিত হয় । মরক্কো দেশটি আপনি প্রিয় দেশ হলেও তারা আফ্রিকান ইউনিয়নের কোন সদস্য নয় মরক্কো দৃষ্টিতে আরব ওআইসি আরব মাগরিব ইউনিয়ন গ্রুপ অব । এছাড়াও আরো অন্যান্য 77 টি ইত্যাদি জোটে সম্মিলিত সদস্য এবং আফ্রিকার ন্যাটো দেশ হিসেবে পরিচিত ।

বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশের তার নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে। তেমনি মরক্কো দেশেরও ইতিহাস রয়েছে চলুন তাহলে মরক্কো দেশের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা জানি।মরক্কো দেশটি যেহেতু তাদের ভৌগোলিক অবস্থান আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভূমধ্যসাগরের কারণে এ দেশটিতে অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে । এই মরক্কো দেশটিতে প্রথম ফিনিসিয়ানরা নিয়ন্ত্রণ করত ।

তারপরে ভিসিক বোথ রোমান ভ্যান ডাল গ্রীকরাও এদেশটি শাসন করেছিল তবে খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীর দিকে এ অঞ্চলে আরব জনগণ প্রবেশ করে এবং তাদের সভ্যতা ও তাদের ইসলাম ধর্মের প্রচার প্রসার ঘটাতে থাকে ফলে সেখানে ব্যাপকভাবে মানুষ ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন তাই দেশটি একটি মুসলিম দেশ হিসেবে বর্তমানে পরিচিত।

মরক্কো দেশটি প্রায় ১৫ শতাব্দীর দিকে পর্তুগিজরা শাসন ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিল যদিও 1800 সালের দিকে ইউরোপীয় দেশগুলো এ অঞ্চলের দিকে তাদের নিয়ন্ত্রণের আগ্রহ ছিল । ফলে ফ্রান্স ১৯০৪ সালে মরক্কো দেশে ওপর নিয়ন্ত্রণ বিস্তার লাভ করেন এবং ১৯১২ সালে মরক্কো কে একটি সংরক্ষিত ফ্রান্সের রাজ্য বলে দাবি করে ।

মরক্কো দেশ এ 1912 সাল থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের শাসন আমলে থাকে এরপরে তারা স্বাধীনতার জন্য তাদের দল গঠন করে এর ফলে ১৯৫৩ সালে সুলতান মোহাম্মদ পঞ্চমকে ফ্রান্স ফ্রান্সে নিবাসী তো করা হয়েছিল এর ফলে মরক্কোরা স্বাধীনতার জন্য আরো বেশি মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে । ১৯ ৫৫ সালে মোঃ পঞ্চম মরক্কোতে ফিরে আসতে সক্ষম হন এবং ১৯৫৬ সালের মার্চ মাসে দুই তারিখে মরক্কো দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে।

মরক্কো দেশটির আয়তন পশ্চিম সাহারা অঞ্চল সহ চার লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৫০ বর্গ কিলোমিটার মরক্কোর আয়তন ৭১০ বর্গ কিলোমিটার ।

মরক্কো দেশের ভৌগোলিক অবস্থান হল উত্তরে ভূ মধ্য সাগর স্পেন এবং জিব্রা টাল প্রণালী মরক্কোর পূর্বে রয়েছে ।আলজেরিয়া মরক্কোর দক্ষিণে রয়েছে পশ্চিম সাহারা অঞ্চল আর মরক্কোর পশ্চিমে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর।মরক্কো দেশের ভৌগোলিক অবস্থান:৩৪°০২′ উত্তর ৬°৫১′ পশ্চিম এছাড়া মরক্কো দেশ পশ্চিম সাহারা অঞ্চলকে তাদের নিজেদের হিসেবে দাবি করে থাকে ।

মরক্কো দেশের বর্তমানে মোট জনসংখ্যা প্রায় তিন কোটি 74 লাখের বেশি । এই দেশে প্রায় 99 শতাংশ মানুষ মুসলিম ধর্ম পালন করে ।মরক্কো দেশের জনসংখ্যার প্রায় ১৮.৬১ মিলিয়ন এর মত মহিলা মানুষ এবং পুরুষ মানুষের সংখ্যা ১৮. ৮৫ মিলিয়ন ফলে আমরা দেখতে পাই মরক্কো দেশের তাদের মোট জনসংখ্যার 49.7 % মহিলারা বসবাস করেন এবং পুরুষের সংখ্যা হল ৫০.৩ ।

মরক্কো দেশের তাদের প্রশাসনিক ভাষা হল আরবি ও আমাজিক এছাড়া ফারসি ভাষা।তবে সেখানে কারা মানুষ বেশিরভাগ , ফারসি ভাষায় ব্যবহার করে থাকেন । তাহলে বুঝতে পারছেন মরক্কোরা ফারসি ভাষায় বেশি কথা বলেন এবং যেকোনো কাজ বুঝেন ।

সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা মরক্কো দেশ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি । যদি আজকের এই পোস্টটিতে কোন ধরনের ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকলে । আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা চেষ্টা করব আমাদের ভুলটি সঠিক করে নিতে । আর এ পোস্টটি ভালো লাগলে আপনারা অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং অন্যান্য তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ ।